নৈঃশব্দের সেলুরারে বন্দী হিসেবের তর্জমা,
রৈখিক ব্যবধানে আর্তনাদের অনুভূতি
একান্ত ফেলে আসা স্মৃতির দিকে…
ক্রমশঃ বিবর্তন হতে হতে
মিশে যাওয়া যত গ্লানি একদি্ন
মুছে যাবে আদিগন্তের পথে
হিসেবের বর্ণমালা বহু পথ ধরে,
ক্লান্তমুখর জনস্রোত হারিয়ে যাবে…
টুনটুনি,ল্যাজঝোলা
যারা দ্যাখে তারাই দ্যাখে
নিমাই-রতন-ভোলা
কাজের ফাঁকে,পড়ার ফাঁকে
নিয়ে ধুলো-বালি
যারা খেলে তারাই খেলে
খোকন-তপন-তুলি
বঁড়শি নিয়ে,ঘুনি
যারা ধরে তারাই ধরে
মৌরলা,দারকিনি।
যারা শোনে তারাই শোনে
ভ্রমর,ঝিঁঝির রব;
তোমরা যারা নিছক ভাবো
নগন্য এসব-
অনাবিলের …
কি করে হয়ে গেছি এত অচেনা ?
কিভাবে কখন কোথায় হয়ে গেছি এত অজানা
পারি না তাকাতে নিজের দিকে
জীবনের বর্ণিল আল্পনাগুলো হয়ে আসছে ফিকে
হারিয়েছি নিজের অস্তিত্ব,হারিয়েছি ভালোবাসা
জীবন সায়াহ্নে এসেও পূরণ হয়নি কোনো আশা…
প্রাণহীন নিঃসঙ্গ এক শহর যেন
থমকে থাকা নাভি:শ্বাস
ছাড়িয়াছে,আপন বেদনার পাহাড়সম
যার ভার, অতি কষ্টে সামলানোই ভার;
তবু কাটে নিঃসঙ্গে সময়;
তখন হয় না মনে সময় অপচয়,
শুধু কাটে ক্ষণ যেন অচলায়তন।
আশেপাশে যেন রুদ্ধ এক …
ছিলনা কোনো আগাম সতর্কবার্তা
না ছিল কোনো বৃষ্টির পূর্বাভাস
হঠাৎ এক ফাগুন শরীর জুড়ে
দমকা হাওয়ার চরম দীর্ঘশ্বাস।।
আঁধার করে বৃষ্টি এল নেমে, ঝরে জল,
বাজে রুদ্রনীলের রাগিনী সম্ভার
বোবা চিৎকারে ব্যর্থ নিলয়
মুছে যাওয়া দিনগুলো
এখন আয়নার কথা বলে
এক পা, দু’পা – প্রতি পায়ে পায়ে
ইতিহাস জড়িয়ে থাকে
কথা পাল্টানো মুহূর্তে…
“তুমি” নামে একটা ছায়া
আজ অতীতের দরজায় কড়া নাড়ে
ব্যর্থ পরিহাসের কথনে
অসমাপ্ত চিঠি আমার বালিশের …
মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত, কুণ্ঠিত মানব হৃদয়
মানুষ আর হচ্ছেনা এখন মানুষের প্রতি সদয়।
তাকিয়ে দেখুন পথেঘাটে, ওই জরাজীর্ণ বস্তিতে
এই কনকনে শীতে দিন কাটছে না ওঁদের মাস্তিতে।
ধুসর, জরাজীর্ণ দেহে ছেঁড়া-ফারা কাপড় —
দিন যাচ্ছে ওঁদের …
অজস্র নীল গোলাপ
সমুদ্রের ঢেউ এর মতন ,
ফুটে আছে ।
আকাশে শূন্য চিল উড়ে
পাক খায় ! কি সে খোঁজে ?
আদিগন্ত নীল পারাবার
বিচ্ছিন্ন করেছে এই দ্বীপ।
নেটওয়ার্ক কাভারেজ ? নেই !
বিস্তৃত বালুকা …
সূর্য বসছে পাটে।
দিনের বিদায় অনুষ্ঠানে-
মেঘেরা সিঁদুর খেলায় মাতছে,
তাই আকাশ রাঙিয়ে উঠছে।
পাখিরা বাসায় ফিরছে,
একক ভাবে নয়ত দলগত ভাবে,
কেউবা দল ছেড়ে ছন্নছাড়া হয়ে।
হালকা বাতাস উপহার দিয়ে সন্ধ্যা এগিয়ে আসছে।
দীঘির পাশের …
এখন পৃথিবী ছুটছে অত্যাধুনিক স্রোতের অনুকূলে।তাই ফুল নয় ঘামের গন্ধে নেশাগ্রস্ত শ্রমিক থেকে বর্তমান যুবসমাজ। ভালোবাসার ফলস্বরূপ তোমার শরীরের যে পুলকাশ্রু, ঘামে ভেজা রূপালি জল। নীল আকাশের মত ঠান্ডা, সুন্দর আর পবিত্র।
ঘামে ভেজা শরীরের ব্যথাতুর …
অন্ধকার নেমে এলে
আমি আকাশের দিকে তাকাই
নীরবতা জুড়ে অসমাপ্ত সময়
আমায় ঢেকে দেয় ইচ্ছার নৈপুণ্যতায়
পরিত্যক্ত মুহূর্ত
বৃষ্টির ঘোলা জলে জীর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
রঙ চটা বিভিন্ন অক্ষর
নক্ষত্র মালা হয়ে অমাবস্যার গায়ে
আমাকে মেঘের…
যদি কখনও মনে পড়ে
তোমার নাকের উপর লম্বা চুল
তুমি চুল গোছাতে গোছাতে বাড়ি নিও
আমার শাহাদাত হাসি।
যদি কখনও মনে পড়ে
কোন এক কালোসন্ধ্যা ব্রেকাপলিপি
বিচ্ছেদের চেয়ে উঁচু বাবরিওয়ালা
লাল ঠোঁটের আপেল আগুনে
কবর দিও। …
নীল আকাশের পর্দাতে
সাদা মেঘের চাঙড়গুলো
চপল খেলায় ওই মাতে।
নীল সায়রের ক্যানভাসে
শাপলা-শালুক-পদ্ম-
পাঁপড়ি-ওষ্ঠ মেলে ওই হাসে।
সুবাস-আতর-সুগন্ধী
কে ছড়ালো শিউলি বনে
আকাশ থেকে ভু অব্দি?
ধানের মাঠে উপচে ওঠে
সবুজ রঙের ফাগুয়া,
পান্না-সবুজ চাঁদোয়া!…