ভুতুড়ে বাক্স

লেখক : প্রীতম চক্রবর্তী

পিয়ালী সেদিন রাতে স্কুটি নিয়ে অফিস থেকে ফিরছিল। কৃষ্ণা চতুর্দশীর জমকালো অন্ধকারে চতুর্দিক নিস্তব্ধ। তার উপর সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পথঘাট একদম ফাঁকা। তখন রাত প্রায় সাতটা বাজে। পিয়ালী পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ চলার …

ভ্রাম্যক

লেখক : শুভ্রনীল দত্ত

লোডশেডিং এর মধ্যে গল্পের শেষ অধ্যায়টি লিখছিল অপু। বাইরে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে প্রবল বেগে। এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ। দরজা খুলতেই সোজা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল একটি ষণ্ডামার্কা লোক। অপু কিছু বলার আগেই লোকটি বলল,
–একদম …

পুনশ্চ মিরা…

লেখক : প্রিয়াংকা রাণী শীল

সময়টা এখন জানুয়ারির শেষ। শীতের আমেজ শুরু হয়েছে ভালোভাবেই। বাইরে হালকা কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া । ট্যাক্সিতে বসে অনিন্দ্যর ঠাণ্ডা লাগছে ভীষণ। ছুটির দিন হওয়াতে সকাল সকাল রাস্তা একদমই ফাঁকা বললে চলে। ট্যাক্সিও তাই …

একটি অলীক স্বপ্ন

লেখক : দেবাশিস চৌধুরী

একটা বাড়ি। একতলা। বেশ বড়। অনেক গুলো ঘর আছে তাতে। এই বাড়িটা স্বপ্নে প্রায়ই দেখেছি। ছ- সাতবার হবে। আর আশ্চর্য! প্রতি বারই একই রকম। কোন বদল ফের হয়নি। এক ঘর, এক জানলা, এক দরজা, এমনকি বাড়িটার …

লিপস্টিকের দাগ

লেখক : মধু মঙ্গল সিনহা

      পর্দাটা সরিয়ে ঘরে ঢোকার আগেই চোখে পড়ল- সে দুটো ঠোঁট টানটান করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে । ডাক্তার ছাত্রের চতুর্থ মাঙ্গ্লিক অনুষ্ঠান- তারা দুই সই ননদ বৌদি আমন্ত্রিত সেখানে। অনুষ্ঠানে যাওয়ার যে ব্যপার সেপার সেটা হঠাৎ করে

সবুজ সিগনাল

লেখক : ইলা সূত্রধর

          হঠাৎ হাত ধরে টানতেই সম্বিত ফিরে এলো নিরুপমার। তাকিয়ে দেখল সামনে দিয়ে একটা গাড়ি হুস করে চলে গেল। নিরু আজকাল এমনই আনমনা হয়ে থাকে ‌‌। নেহা শাসনের সুরে বলল — “আর একটু হলেই চাপা পড়ে যেতিস।

বুদ্ধং শরণং

লেখক : রাণু শীল

সারাবাড়ি নিঝ্ঝুম। একটু আগেই, নিচের বিশাল ঘন্টা দেওয়া ঘড়িতে রাত বরোটা বেজে গেছে। ওদের বাড়িতে জ্যেঠু সবচেয়ে দেরিতে ঘুমোন। তবে তিনি ঠিক এগারোটা কুড়িতে একটা আর সাড়ে এগারোটায় একটা ঘুমের ওষুধ খান ও বারোটায় বই মুড়ে …

প্রথম দেখা

লেখক : ইচ্ছেমৃত্যু

 

‘পিঠে সেই চাপ্পড়ের ব্যথাটা এখনও আছে… জানিস!’
‘কোন ব্যথাটা?’
‘সেই আট বছর আগে আজকের দিনে যে চাপ্পড়টা মেরেছিলি…’
‘কই দেখি কোনখানটা?’
‘এই তো এইখানে’ বলে ডান কাঁধের নিচের জায়গাটা দেখায় ঋতম।
হৃতিতা একটা দুম করে কিল বসিয়ে …

গল্প হয়েও সত্যি

লেখক : দেবজিত ঘোষ

২৬ শে নভেম্বরঃ
“হ্যালো, মিস্টার শ্রীবাস্তব? হা, মেই দেবমাল্য চ্যাটার্জী বোল রাহা হু। হা, সার, ম্যায় সারে চার বাজে তাক্ পোঁহচ জায়ুঙ্গা! ওকে সার, ওকে।”
 
ফোন টা কেটে দেবমাল্য চায়ের কাপে চুমুক দিল।
 
(প্রাক কথা)
দেবমাল্য

নীল খাম ও মিরা…

লেখক : প্রিয়াংকাকলি

ইদানীং ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস, অফিস শেষে বাসায় আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শেষে একটু ঘুম। এরপর আবারও অফিসের কাজ নিয়ে ল্যাপটবে বসা। দিন চলে যাচ্ছে এভাবেই। এত ব্যস্ততার মধ্যে একটু প্রশান্তি আনে …

বেশ্যার চিঠি

লেখক : ইচ্ছেমৃত্যু

মাননীয় শুভব্রতবাবু,

     কালকের কাগজে আপনার লেখা ‘শাকিলা’ গল্পটি বেরিয়েছে। আপনার সাবলীল লেখনী পাঠকচিত্ত হরণ করে রেখেছে বিগত কয়েক বছর। এই লেখাও সমস্ত পাঠকের, বিশেষ করে নারীদের মন জয় করে নেবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। আপনি এখনও শাকিলাকে মনে …

মিরা…

লেখক : প্রিয়াংকা রাণী শীল

অনিন্দ্য যখন স্টেশনে এলো তখন প্রায় সকাল সাতটা। স্টেশনে মানুষের  ভিড় তখন নেই। কিছুক্ষণ আগে একটা ট্রেন যেতে দেখেছে অনিন্দ্য। হয়তো এই কারণে স্টেশনটা এখন ফাঁকা। অনিন্দ্য অবশ্য যাত্রী নয়। সে এসেছে মিরার জন্যে। মিরা …

উল্কি

লেখক : রুবাই শুভজিৎ ঘোষ

সামনের সপ্তাহে পাখির বিয়ে। বাড়িতে তাই একটা খুশির তরঙ্গ বইছে। শুধু বাড়ির মানুষজনের মধ্যেই না, বাড়ির ইট কাঠ পাথরেও সে খুশি বইছে। বইবে নাই বা কেন! পাখি যে বাড়ির বড় মেয়ে। এই প্রজন্মের প্রথম বিয়ে …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum