ট্রিপ

লেখক : রাজীব চক্রবর্ত্তী

দু’মাস হয়ে গেল। আর মাস সাতেক সময়। ডাক্তারবাবু বলেছেন হাজার তিরিশেক টাকা রেডি রাখতে। মানে মাসে প্রায় হাজার পাঁচেক টাকা। দিনে দেড়শো থেকে দুশো টাকা বেশি কামাতে হবে।
“লাইন এসে গেছে। গাড়ি আগে কর বুম্বা।”
লাইন

নীরব জয়

লেখক : স্বয়ামদিপ্তা মিত্র

রায়গড়ের আকাশ সেদিন অস্বাভাবিকভাবে স্থির ছিল। পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা মেঘগুলো যেন নড়তেও ভয় পাচ্ছিল। দুর্গের উঁচু প্রাচীর ছুঁয়ে হাওয়া উঠছিল ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যেও একটা থমথমে অপেক্ষা লুকিয়ে ছিল—যেন ইতিহাস নিজেই নিঃশ্বাস আটকে আছে। ছত্রপতি

পরিণতি

লেখক : অর্পিতা চক্রবর্তী

ঠিকানা অনুয়ায়ী ঠিক বাড়িতেই এসেছে পুলক। বাড়িটা বেশ বড়, শুধু রক্ষণাবেক্ষণের একটু অভাব আর সেটা দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। দরজাটা একবার না, বেশ কয়েকবার খটখট করাতে ভিতর থেকে একটা ক্ষীণ আওয়াজ ভেসে আসল। ঐ তো ওখানে …

অফিসার্স স্টাইল

লেখক : আলো রাণী ভট্টাচার্য্য ঘোষ

আজ থেকে বছর পঞ্চাশ আগেকার কথা। ইণ্ডিয়ান নেভির নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে একদল তরুণ যুবক তৎকালীন বম্বেতে গেল নেভির ট্রেনিং নিতে। বেশিরভাগই বাবা-মায়ের দুধুভাতু ছেলে। কারও বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল …

বায়েজিদ

লেখক : মোঃ রিমেল

কামারখাড়া হতে তিন মাইল পথ হাঁটলে নান্নয়ার বাজারের বুড়বুড়িয়া গ্রাম। আজকাল গ্রামের সবার মুখে এক গল্প শোনা যায়। রাজা গোবিন্দ মাণিক্য নয়, এক সাধারণ পরিবারের একটি ছেলের গল্প। খালেক মিয়ার ছেলে বায়েজিদ গ্রামের একমাত্র ছেলে হিসেবে …

নরাসুরমর্দিনী

লেখক : বিপ্লব নসিপুরী

সামনে সোজা রাস্তা পেয়ে জোর গতিতে চার বক্রাকার পায়ে এগিয়ে চলেছে এসইউভি। পুজোর আগে সব মিটমাট। আর হবে নাই বা কেন, যার হাতে কড়ি তাকে কে পরাবে দড়ি? সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর আজ বেরিয়েছিল ওরা। ওরা …

শেষ দেখা

লেখক : মানব মন্ডল

আমার আর নীলাঞ্জনার শেষ দেখাটা এতটাই অপ্রত্যাশিত হয় যে, শেষবারের মত ‘বিদায়’ বলারও সুযোগ পাওয়া যায় নি। নারী ততক্ষণই আপনার, যতক্ষণ সে রাগ করে, অভিমান করে, অধিকার খাটায়, বিরক্ত করে, ভালবাসে, খেয়াল রাখে। কিন্তু যখনই আপনি …

আকবর ডাকাত

লেখক : ইহতেমাম ইলাহী

পাটের আঁশ পাক দিয়ে দিয়ে দড়ি বানাচ্ছেন আছিমত মিয়া। দড়ি পেঁচিয়ে রাখছেন বাঁশের বেতের একটা চারকোণা কাঠামোতে। প্রতি হাটবার তিনি এই দড়ি বিক্রি করেন। বেশি দাম পাওয়া যায় না অবশ্য। তবে মৌসুমের পাট বিক্রি করে দেয়ার

এক বৃষ্টি দিনে

লেখক : অর্পিতা সাহা

ক্যাণ্টিন থেকে বেরিয়ে ধীরপায়ে হেঁটে অফিস করিডর পেরিয়ে নিজের কেবিনের দিকে এগিয়ে চলল মৃত্তিকা। নামী একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর অফিসার পোস্ট হোল্ড করে ও, ওদের অফিসের চত্বরটা সবুজে সবুজ। খুব যত্ন ও পরিকল্পনা করে চারিদিকে গাছ লাগানো। …

অলৌকিক

লেখক : আলো রাণী ভট্টাচার্য্য ঘোষ

সকাল থেকে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি হয়ে চলছে। গত দেড় মাস ধরেই চলছে। প্রথম দিকে বৃষ্টি শুরু হ’লেই সাথে সাথে বাজ পড়তে শুরু করে। আগে এ’রকম ছিল না। বর্ষা শেষ হওয়ার দিকে ভাদ্রমাস নাগাদ বৃষ্টির সঙ্গে …

ফিনিক্স

লেখক : মধুমিতা ঘোষ

গাড়িতে হর্ণ দেওয়া মাত্র মুন্যা নিচে নেমে এল। দেখলাম হ্যাণ্ডব্যাগ ছাড়াও আর একটা ছোট ব্যাগ নিয়েছে। সেটা আমিও নিয়েছি। বলা তো যায় না, আজ যদি ফিরতে না পারি! মুন্যা আমার বড়মামার মেয়ে। লেকটাউনে থাকে। আমি থাকি …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা

মাসিক দীপায়ন পুরস্কার pop up