ঈমান
লেখক : কেয়া রায়
ধাইয়ের মুখে খবরটা শুনে আমিনা সঙ্গে সঙ্গে আঁচলের গিঁট খুলে পঞ্চাশটা টাকা তার হাতে দিল। তারু ধাই এইটুকুতে খুশী হল না। কচর কচর পান চিবোতে চিবোতে বলল, “কী আমিনা ফুপি! এত্তো বড় খুশির খপরটা দিলাম, মোট্টে …
ধাইয়ের মুখে খবরটা শুনে আমিনা সঙ্গে সঙ্গে আঁচলের গিঁট খুলে পঞ্চাশটা টাকা তার হাতে দিল। তারু ধাই এইটুকুতে খুশী হল না। কচর কচর পান চিবোতে চিবোতে বলল, “কী আমিনা ফুপি! এত্তো বড় খুশির খপরটা দিলাম, মোট্টে …
কফি হাউসে মিনিট দশেক আগেই পৌঁছে গেল অলকেশ। কলেজে আজ শেষ ক্লাস না নিয়ে আগেভাগেই সে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে এসেছে কলেজ থেকে। সায়নী ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিল, তার আসতে একটু দেরি হবে। শিয়ালদহের কাছে বাসে আছে, …
কিশোর ও তার সাত বন্ধু মিলে কলেজের ছুটি কাটাতে অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে এক রিসর্টে গিয়ে যখন পৌঁছয়, তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে, চারদিক শুনশান। দূর থেকে মাদল বাজার আওয়াজ ভেসে আসছে। সারাদিনের পথযাত্রার ক্লান্তি। ওরা …
একটা নীলচে আলো এক ঝলকে ঢুকে পড়ল ঘরে। মেয়েটি হাঁটু মুড়ে বসল। আলোটা বিন্দু হয়ে রির দুই ভ্রুর ঠিক মাঝখানে ছুঁয়ে থাকল। একমিনিট, দু’মিনিট, তিন মিনিট – মেয়েটা অপেক্ষা করতে থাকল। এ অপেক্ষার শেষ আছে। রি …
“দুত্তোর, সক্কাল সক্কাল জ্বালিয়ে দিল একেবারে।” বলে বিরক্তির সাথে সান্যালদা মোবাইল ফোনটা টেবিলে খবরের কাগজের উপরে একরকম ছুঁড়েই ফেলল।
“কী হয়েছে সান্যালদা?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ভর সক্কালবেলা এত মাথা গরম কেন?”
সান্যালদা কপালের দু’পাশে রগদুটো বুড়ো …
অধ্যায় ১: কৌতূহলের দরজা
তানিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ইতিহাস বিভাগে পড়ে, কিন্তু ওর কৌতূহল ইতিহাসের বাইরেও — বিশেষ করে অদ্ভুত, রহস্যময় জিনিসের প্রতি।এক রাতে রিসার্চ করতে করতে Reddit-এর একটা পোস্টে ওর চোখ যায়:
“যদি সাহস …
রবিবার, ঘড়ির কাঁটা ছুঁই ছুঁই করছে রাত বারোটা। কোলাহলমুখর ঢাকা শহর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। অফিস শেষে আয়ান মাত্রই ফিরেছে বাসায়। ক্লান্ত শরীর, অবসন্ন চোখ। গোসল, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ঠিক তখনই বেজে ওঠে …
বেলুন, কাগজের শিকল, আর ফুল দিয়ে ঘর সাজিয়ে বাবার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ছেলেমেয়েগুলো। কেক কেনার টাকা যোগাড় হয়নি, কড়াইতে বালি গরম ক’রে, কেক-মিশ্রণের পাত্র রেখে সুন্দর কেক বানিয়েছে অনু।
“মানুষটা রিটায়ার করেছে, এমনিতেই রোজগার …
“হে হে হে, জবরদস্ত দিয়েছে গুরু,” আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলাম।
সান্যালদা চায়ের কাপে প্রথম চুমুকটা দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করল, “কী কেস, অভীক?”
“আরে তুমি নিজেই দেখো গুরু,” বলে হাসতে হাসতে ফোনটা সান্যালদার দিকে এগিয়ে …
ইনভিটেশন কার্ডটা বাড়িয়ে ধরলেন সমীরণ বসু, “আমার স্ত্রীর স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ফাংশান আছে। আপনি এলে ভাল লাগবে।”
আয়তকার টেবিলের ওপারে বসা উচ্চপদস্থ অফিসারের উদ্দেশে কথাটা বললেন। কার্ডটা হাতে নিয়ে প্রিয়ম জিজ্ঞেস করল, “আপনার স্ত্রী স্কুলের সেক্রেটারি?”…
“হ্যালো, হ্যালো… আরে বলছি তো পরশু দিয়ে দেব, এনইএফটিটা ফেল করেছে… আপনাদেরই তো সার্ভার ডাউন, সেটা কি আমি গিয়ে তুলে দিয়ে আসব?… আগের সতেরোটা ইনস্টলমেণ্ট তো সময়মতই পেয়ে গিয়েছিলেন, কোন গাফিলতি হয়েছিল কি?… আরে বাবা, বলছি …
খুব শীত পড়েছে এ’বছর। খুনখুনে বুড়োবুড়ি অনেকেই পটল তুলল আশপাশের গ্রামে। মহিশবেড়ের হিরু নাপিত, ঝগড়পাড়ার পতা বামনি, শ্রীহরিপুরের মদনা পাড়ুই আর এ গাঁয়ে নীলু। বুদে শীতে হি হি করতে করতে বাড়ির সামনের রোয়াকে এসে গুটিসুটি মেরে …
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
