মোহনার সীমা
লেখক : মিত্রা হাজরা
ও বউ ! দেখ্ বাইরে—ঋণ শোধ করছে বর্ষার মেঘ। অমল হেঁকে বলে মনিকাকে।
কিসের ঋণ?
ঐ যে গরমে শুকিয়ে ফেলে নদী নালা পুকুর।
উড়ে যাওয়া আঁচলের টানে, নতুন বৃষ্টি মানকচুর চাদরে। এসে গেল বনফুলের রেণু যতখুশি …
ও বউ ! দেখ্ বাইরে—ঋণ শোধ করছে বর্ষার মেঘ। অমল হেঁকে বলে মনিকাকে।
কিসের ঋণ?
ঐ যে গরমে শুকিয়ে ফেলে নদী নালা পুকুর।
উড়ে যাওয়া আঁচলের টানে, নতুন বৃষ্টি মানকচুর চাদরে। এসে গেল বনফুলের রেণু যতখুশি …
আনমনে এগিয়ে চলেছে দিবারাত্রি। অন্ধকারের শরীরে পা রেখে নিঃশব্দে ভেঙে গিয়েছে কখনও কখনও। ওর নীরব কান্নার ঢেউ আছড়ে পড়েছে সুদীর্ঘ জনহীন সমুদ্র সৈকতে। শুকনো ঝরা বালির বুক ভিজিয়ে মোহনায় মিশে গিয়েছে, কৃষ্ণপক্ষের ঘন, কালো রাত্রি। পাহারায় …
নীলু কাকা লাঠিটা উপরে তুলে সজোরে ঘা বসালেন কুকুরটার গায়ে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো সে। তার আর্তনাদের সুর আশপাশ এর হাওয়া কাঁপিয়ে পৌঁছে এলো আমার কানে। মনে যেন জ্বালা ধরিয়ে দিলো। তীর বেগে আমি অগ্রসর হলাম …
নতুন বাড়িতে আসার পর ছাদে যাওয়া হয়নি কখনো। আরো পাঁচঘর ভাড়াটের মত সেও এক ভাড়াটে। বাড়ির আধবুড়ো, আইবুড়ো, অকর্মণ্য মেয়েটি নাকি আত্মহত্যা করেছিল মনের দুঃখে। তাই ছাদে যাওয়া নিষেধ। ছাদের পাঁচিল থেকে শরীরটা পড়তে পড়তে আমগাছের …
“উমম!”
চায়ে ভেজাতেই কুকিজটা এত মজার হয়ে উঠলো যে মনের অজান্তে, চোখ বন্ধ হয়ে এল। চোখ মেলে দেখি আর মাত্র দুটো কুকিজ বাকি।
“চকলেট কুকিজ খাচ্ছিস! আগে বলবি না? ” এই কথা বলে ভাইয়া হাঁটতে হাঁটতে …
মিত্র বাড়িতে বছর দুয়েক হল দোল উৎসব বন্ধ আছে। কিন্তু এ’বছর মিত্রগিন্নি নিজে উদ্যোগ নিয়ে উৎসব করবেন শুনে অমল বলল, ‘মা ভুলে গেলে, বছর দুয়েক আগে দোলের দিনেই সীমান্ত থেকে দাদার কফিন বন্দি দেহটা …
কল্পের বয়স ষোল। অভাব অনটনের সংসারে বাপ মায়ের একমাত্র ভরসা কল্প। সমুদ্র তীরে ঝিনুক কুড়িয়ে অতিকষ্টে সংসার চালায় সে।
একদিন ঘর থেকে না বেরোলে চুলোয় হাঁড়ি চড়ে না তাদের। বিগত দুইদিন কল্পের ভীষণ জ্বর। তাই ঘরে …
বাড়ির চতুর্পাশে তার পেঁচিয়ে আলোকসজ্জা; যাহোক সেটা নিভৃতে নীরবে!
যতক্ষন না কোন মানবচক্ষু কে নিজের রঙিন আলোর মোহে বেঁধে ফেলে ‘ ঠিক ততক্ষন পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই…
তারা এই পৌষের আটপৌরে রাতে জানান দিচ্ছে,
~বাড়ির কন্যার আজ …
ছাদের মাথায় বসে থাকতে দেখে মিমি বায়না ধরলো। ওকে নিয়ে এসো না মা। ও খুব ছোট্ট … ও তো পড়ে যাবে। আমিও ভাবলাম সত্যিই তো .. ও তো খুবই বাচ্চা … ওর মা কোথায় ? ওর …
ব্যস্ত সমস্ত হয়ে অফিসের দিকে রওনা দিচ্ছে আভাষ, সকালবেলা। এমনকি মায়ের বেরে দেওয়া খাবারটুকুও পুরো শেষ না করেই। দেরি হয়ে গেছে যে। আজকে আবার ভাইফোঁটার জন্য হাফ ডেতেই বেরনোর তাড়া। একটুও টাইম নষ্ট করা যাবে …
।। ১ ।।
নিশ্চুপ পূর্ণিমার রাত্রি। বাড়ির পিছনে পূর্ণিমার আলোয় ঝলসানো ঝিলটার পাশে বসে আছে অনন্ত আর মাধবী। মাধবীর চোখে মুখে পূর্ণিমার আলোর হাসি আর তৃপ্তি। অনন্ত বলল, “বিয়ের পর থেকেই প্রতি পূর্ণিমার রাতে তুমি আমায় …
পিয়ালী সেদিন রাতে স্কুটি নিয়ে অফিস থেকে ফিরছিল। কৃষ্ণা চতুর্দশীর জমকালো অন্ধকারে চতুর্দিক নিস্তব্ধ। তার উপর সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় পথঘাট একদম ফাঁকা। তখন রাত প্রায় সাতটা বাজে। পিয়ালী পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ চলার …
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
