কবি: কথিকা বসু
সাড়ে পাঁচ ফুট,
সাড়ে পাঁচ ফুটের একটা লাশ ঝুলছে, রাস্তার ধারের গাছটা থেকে, খবর পেয়ে ছুটে এসেছিল পুলিশ,
সাথে মিডিয়াও।
ময়নাতদন্তে জানা গেছিল লাশটার পেটে বাড়ছিল, আমাদের দেশের একটা অংশ, একটা আস্ত কন্যাভ্রূণ।
মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছিল না মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল, এই নিয়ে চর্চা চলেছিল বহুদিন।
ব্রেকিং নিউজ, খবরের হেডলাইনস জুড়েও অনেকদিন ছিল লাশটা,
তারপর আস্তে আস্তে চাপা পড়ে গিয়েছিল অন্য খবরের আড়ালে।
মর্গে অবশ্য আরো কিছুদিন ছিল লাশটা, কিন্তু কেউ দাবী না জানানোয়,
শেষমেশ পুরসভার ডোমেরা অনেকগুলো বেওয়ারিশ লাশের সাথে একসাথে পুড়িয়েছিল
লাশটাকে।
আসলে স্পষ্ট সত্যিটা শুনতে-বলতে চাইনি কেউই, যে এদেশে শুধুমাত্র মেয়ে পেটে ধরবার অপরাধে, মরে যেতে হলো এক মাকে!
অথচ কী আশ্চর্যের বিষয়,
আমাদের এদেশ স্বাধীন,
আর এখানকার বাসিন্দারা নিজের দেশকে মা বলে সবসময় সম্মান করে থাকে!
ছবি: কুন্তল
লেখকের কথা: কথিকা বসু
কথিকা বসুর জন্ম আশির দশকের শেষ দিকে। ইংরেজীতে স্নাতক, লেখিকার লেখালিখির শখ ছোট থেকেই। বর্তমানে নানা লিটল ম্যাগাজিন এবং ফেসবুক পেজে লেখালিখির সাথে যুক্ত আছেন লেখিকা।
অগ্রগতির শীর্ষে এসেও কোন একটা জায়গায় মুখ লুকাতে বাধ্য হই কিছু মানুষের জন্য । চরম লজ্জার স্বাধীনতা আমাদের। এমন অসাধারণ মনের ভাব প্রকাশের জন্য কুর্নিশ জানাই আপনাকে।