কবি: শিবানী পান্ডা
‘স্বাধীনতা’ ইভেন্টে তৃতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত কবিতা
সিংহাসনে সিরাজদ্দৌলা বাংলার দক্ষ নবাব,
রবার্ট ক্লাইভের পলাশীর যুদ্ধে হলেন কুপোকাত।
কোম্পানির শাসন কায়েম হল সমগ্র দেশ জুড়ে,
ব্রিটিশ বণিক মানদণ্ড ভুলে রাজদণ্ড ধরে।
ইংরেজ রাজে স্বৈরাচারে নির্মম নির্যাতন,
পরাধীনতার শৃংখলে শৃঙ্খলিত ভারতীয় জনগণ।
অকল্পনীয় অবিস্মরণীয় সূচনা সংগ্রাম সাধনা,
নরম চরম দুই দলের স্বাধীনতা অভীষ্টে ভারত মা।
পরাধীনতার শক্ত মাটিতে মুক্তির লড়াই ডাক,
এখনো উজ্জ্বল বিপ্লবী ভাইয়ের রক্তে রাঙানো দাগ।
ভারত মাতার কোল জুড়ে ঠাঁই আমাদেরই অধিকার,
নবীন প্রবীণ সহ-সংগ্রাম মানেনি ওরা হার।
ফাঁসির দড়িতে শুনতে কি পাও শহীদ ক্ষুদির গান?
“ফিরবো আমি” আগাম বার্তা মরবে না মোর প্রাণ।
নরমপন্থীর ভারতছাড়ো স্লোগান গান্ধীজীর,
চরমপন্থী আজাদহিন্দ ফৌজ বঙ্গপুত্র নেতাজির।
লোহার বেড়ির ঝমঝম সুর ওঠে সেলুলার জেলে,
বীর সাভারকর লাখো বিপ্লবী অনশন অত্যাচারে মরে।
দুশো বছর আত্মত্যাগে ভারতে স্বাধীন সূর্য উদিত,
দুঃখ-সুখের পনেরো-ই আগস্ট প্রতিবছর উদযাপিত।
তিয়াত্তর বছর পার হয়েছে তবু সত্যি মোরা স্বাধীন?
প্রশ্নেরা দিচ্ছে তাড়া উত্তর আজও ক্ষীণ।
বেকারত্বে পেটের জ্বালা নারী সুরক্ষা কোথায়?
জ্বলছে যুবা অর্থ তাড়ায় নারী পতিতালয়ে যায়।
শিক্ষা-দীক্ষা থাকা-খাওয়ার চাই স্বনির্ভরতা,
দাঙ্গা-লড়াই দলের-বড়াই ভোলো বৈষম্য সাম্প্রদায়িকতা।
প্রেম-প্রীতি দিয়ে গড়ুক ভারত ফিরুক শান্তির নম্রতা।
প্রণতি লহ ভারত-মাতা বিশ্ববরেণ্য গৌরবজ্জল স্বাধীনতা।
“সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা”
ছবি: কুন্তল
লেখকের কথা: শিবানী পান্ডা
শিবানী পাণ্ডার জন্ম ৬ই ফ্রেব্রুয়ারী ১৯৯৬, মেদিনীপুর জেলার নস্করপুর গ্রামে। বাবা সঞ্জীব পান্ডা, মাতা সবিতা পান্ডা। প্রাথমিক শিক্ষা বাসুদেবপুর মতিলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তী উচ্চশিক্ষা গনেশ্বরপুর দেবী হেমাঙ্গিনী হাই স্কুলে। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার পর পরই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ। স্বামী চন্দন কুমারের অনুপ্রেরণায় পড়াশুনার পাশাপাশি জীবন নিয়ে লেখালেখিও থেমে থাকেনি। সাংসারিক কাজ সামলে, ইগনু থেকে গ্রাজুয়েশান করে এখন এম এ পাঠরতা।
Kub valo hoa6a
“মুক্তির স্বাধীনতা”– অপূর্ব লেখনী।
সুন্দর অভিব্যক্তি। পাঠে মুগ্ধতা নিয়ে গেলাম।
অসাধারণ নিবেদন।
বেশ লাগল।
অনিন্দ্য সুন্দর ভাবনার বহিঃপ্রকাশ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। চমৎকার ভাবে কবিতার নামের সংগে সাযুজ্য রেখে কবিতার লাইনে ফুটে উঠেছে।।
সত্যিই অসাধারণ প্রতিভা ,,তুমি এগিয়ে চলো তোমাকে আরো অনেকঅনেকটা এগোতে হবে আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।।। খুব ভালো লাগলো 😍😍😍
Lekha ta khub sundor bonu
‘মুক্তির স্বাধীনতা’পড়লাম ভালো লাগলো👌💐
Darun hoyeche
অপূর্ব অনবদ্য লেখা, স্বাধীনতা সবসময় আমাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার লেখা আমাদের সবার ভালোলাগার মতো একটি লেখা। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
Khub sundor ❤️
খুব ভালো লেগেছে কবিতাটি। বঙ্গ সন্তান নিয়ে লেখা কবিতাটি , পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবে ।
খুব ভালো লাগলো 👌👌 আরও ভালো কিছু লেখার অপেক্ষায় রইলাম
চমৎকার লেখা, এভাবেই কলম এগিয়ে চলুক।
ভালো লাগলো
খুব সুন্দর হয়েছে,,,,,,,,🙂🙂🙂🙂
যারা জলে ভেজা তারা পোশাক বদলায়
যারা ঘামে ভেজে তারা সমাজ বদলায়।
ফুটপাতের ক্ষুধার্ত শিশু স্বাধীনতা না চায়
একটু নুন ভাত ওরা কবে পাবে হায়।
স্বাধীনতা কি? কোথায় আছে? খায় না মাখে?
জেনে রেখো এ পোড়া দেশ আজও অসহায়।
যারা জলে ভেজা তারা পোশাক বদলায়
যারা ঘামে ভেজে তারা সমাজ বদলায়।
ফুটপাতের ক্ষুধার্ত শিশু স্বাধীনতা না চায়
একটু নুন ভাত ওরা কবে পাবে হায়।
স্বাধীনতা কি? কোথায় আছে? মাখে না খায়
জেনে রেখো এ পোড়া দেশ আজও অসহায়।
খুব সুন্দর👏
খুব ভালো হয়েছে লেখাটা👌👌👌
খুব সুন্দর
khub sundor
অসাধারণ লেখা
সুন্দর
Khub valo likhecho.pore moner Santi ar desh vokti jeno bere gelo.
“অসাধারণ”হয়েছে বোন,এইভাবে এগিয়ে চলো!পেছনে ফিরে তাকাবে না,কেমন!!
এইবারে বলবে,আমি কিন্তু শিখে গিয়েছি তাই না বোন!!
অসাধারণ।। পাঠকের হৃদয় জুড়িয়ে যাবার মত লেখা।।❤️❤️
বোন, খুব সুন্দর লিখেছো। মনে হল যেন ভারতের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত সার পড়লাম।
~দাদাভাই।
অসাধারন
Beautiful 👌👌
Darun
এক কথায় অনবদ্য
সত্যিই অসাধারণ
Valo legechhe.
Jothesto sabolil .