ভুলিনি কিছু

লেখক : সাজিদুল ইসলাম

যত না কেন দূরে থেকো
নিশির স্বপনে কাছে আসো।
ভুলবো না তোমাকে আমি
আমার মন কেড়েছে জানি,
কেন তুমি চুপ আমার কথায়!
বল কিছু শুনে যাই।
যা দেখেছি দূর থেকে তোমাকে
ভুলিনি কিছু এখনো মনে পড়েছে।…

লেখালিখি ওয়েবজিন, উৎসব সংখ্যা – ১৪৩০

সববাংলায় এর সাহিত্য বিষয়ক বিশেষ উদ্যোগ “সববাংলায় লেখালিখি”। যদিও মণিপুর থেকে প্যালেস্টাইন সর্বত্রই যুদ্ধের আবহ তবুও উৎসব আসে। দৈনন্দিন জীবনযাপন – সেও তো এক যুদ্ধ! সেই সমস্ত রকম যুদ্ধ আমাদেরকে লড়ে যেতে হবে, আর সেই যুদ্ধ জয়ের জন্য কিছুটা রসদ …

বিজ্ঞাপন-জ্ঞাপন

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

কথায় আছে- প্রচারেই প্রসার। পণ্যের ব্যাপক প্রচার না হলে সেটার কাটতি কম হয়। তাই পণ্যের বিজ্ঞাপন খুবই জরুরী। বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্যের প্রচার করতে গিয়ে এর মালিক-পরিচালকগন এমন মরিয়া হয়ে ওঠেন যে, প্রসারের জন্য মানুষকে প্রেসার …

ম্যাজিকল্যাণ্ড

লেখক : দালান জাহান

জবাবহীন প্রশ্নোত্তরে তিনি দিয়ে থাকেন নদী ও মাছ জীবনের সম্প্রনিনাদ।

এই সুখগুলো নাকমুখ বন্ধ করে
তিন দমের বাড়ি যায়
আবার লাফাতে লাফাতে বিক্রি হতে হাজির হয় মুখহীন দাঁতহীন জল টেবিলে।

এই সব শুদ্ধশূণ্য গল্পতৃষ্ণার
অলংকৃত ফটোগুলো…

নিরাকার

লেখক : উজ্জ্বল চ্যাটার্জি

সবাই যে বলে – ঈশ্বর নিরাকার, ঠিকই বলে। প্রতি মুহূর্তেই তিনি আমাদের সাথে আছেন, বিভিন্ন রকম রূপ নিয়ে। তার নিজের কোনো নির্দিষ্ট রূপ নেই, কিন্তু সব সময় একটা রূপ নিয়ে হাজির। আমাদের যখন যেভাবে দরকার, তিনি

আমি অমর হতে চাই

লেখক : অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

এইখানে এই মনের মাটিতে প্রিয়াকে দিয়েছি কবর,
ওর শোক যাতে আমাকে না ঘিরে ধরে তাই মৃতদেহটা নিজের দেহে করেছি ধারণ-
ফাঁকা-ফাঁকা লাগে না, পাশে কেউ নেই এই ভাব জাগে না।
মনের মাটিতে কবর দিলে-
সে দেহে …

পাপ

লেখক : আবদুল হক

ভুলে কি গেছ গত জন্মের পাপ

অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথে 

পাড়ি দিয়েছো শুধু পঙ্কিল পথ 

শেষে মাথা ঠুকে মরেছো 

সম্ভাবনার দেয়ালে 

ওখানে তোমাকে সান্ত্বনা দেবার

ছিলনা কেউ 

লেখক পরিচিতি : আবদুল

গাঁয়ের বঁধূ

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

কাকডাকা ভোরে,
বিছানাটা ছেড়ে,
বঁধু গেছে চানে,
সবাই তা জানে।

আলো ফুটার আগে,
একাই সে জাগে।
ঘরের কাজ যত
করছে অবিরত।

গুছিয়ে সব কাজ,
অল্প একটু সাজ,
গাঁয়ের পাশে নদী
বইছে নিরবধি।

ঘর থেকে বেরিয়ে,…

বোধ

লেখক : আলী ইব্রাহিম

(শিক্ষক ও কবি মাকছুদা বেগম মুক্তা স্মরণে)

সেই কবিমেলায় প্রথমবার তোমাকে দেখেছিলাম।
তুমি এসেছিলে মুখভর্তি কবিতার হাসি নিয়ে।
শাড়ির প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে ছিল মুক্তার মুগ্ধতা।
প্রথম দেখাতেই তোমাকে চিনতে পেরেছিলাম।
এরপর কতবার কতবার ভেবেছি কবি। তোমাকে।…

দাঁত দিয়ে যায় চেনা

লেখক : দীপালী ভট্টাচার্য

কাল থেকে কাজের মেয়েটিকে ফোন করছি, ফোন সে ধরলে তো! আজ সক্কাল সক্কাল ফোন করলাম তাও ধরে না! আজ অন্নপূর্ণা পুজো। ঘরের পুজো সেরে মন্দিরে যাব পুজো দিতে!

সকাল আটটায় সে এলো। “কিরে কাল থেকে ফোন করছি, ধরছিস না …

এবার ঘুমাও… কবি

লেখক : দাউদুল ইসলাম

ঘুমাও নি… কবি
কেন পোড়াও…  নিষুপ্ত রজনী 
কোন সুখে?
আর কত জাগবে বিষন্ন প্রহরী,
নিজেকে একা রেখে!.. 
কিসের এতো হাহাকার বুকে 
নিরাকার পাথর চেপে
সইছ ব্যথা ধূকে ধুকে!..
যাও এবার…  ঘুমাও 
শ্রাবণের নিশিযাপনে
মিলন হোক দুচোখের …

তোমার কাছে কি?

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

আলো ছড়িয়ে আছে
পাশাপাশি রং
পরস্পর মিশ্রিত হয়ে
কোথাও পান্না, কোথাও পোখরাজ
প্রবাল-নীলা-চুনি
তোমার কাছে কি?
রং ছড়িয়ে আছে
পাশাপাশি ঢ্যালা
পরস্পর মিশ্রিত হয়ে
সোনা-রুপো-লোহা
কোথাও টিন, কোথাও সীসে
নিকেল-তামা-প্লাটিনাম
তোমার কাছে কি?
জল

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।