লেখক : সুপ্রিয়া মণ্ডল
চলছে গুলি, উড়ছে ধোঁয়া, ক্ষমতার এই মিথ্যে শোষণ;
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শেষে, ক্লান্ত সবাই এখন ভীষণ।
ঝান্ডা ধ’রে মোড়ের মাথায়, উঠছে কথা কথার ফাঁকে;
কোরান, গীতা এক হয়ে যাক বিভেদ ভুলে বইয়ের তাকে।
রহিম-রামের দ্বন্দ্ব আজও, লড়ছে তুলে আপন জাত;
বন্ধ ঘরের আগল খুলে, সবার পাতে থাকুক ভাত।
টান পড়েছে কোষাগারে, নড়ছে টনক জনতার;
তবুও কিছু অন্ধজন, বড়াই করে সভ্যতার।
মানুষ নামের মুখোশ প’রে, যোনির সুখে মত্ত যারা,
ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে, সমাজ বিধান লিখছে তারা।
শরীরজোড়া আঁচড় নিয়ে, যে মেয়েটা আজ কাঠগড়ায়,
সেই মেয়েটাই নিজের হয়ে, প্রশ্ন ছুঁড়ুক বিচারসভায়।
মন-ভোলানো ভালবাসা তাদের জন্য অভিশাপ,
ঘরবন্দি জীবনে যাদের মনের মধ্যে নিম্নচাপ।
যে ছেলেটা আটকে গেছে, দিন যাপনের ঘূর্ণিপাকে,
সেই ছেলেটাই ছুটছে ভোরে, মুছতে বেকার তকমা-কে।
সূর্য ওঠা দেখতে গেলে আর কত পথ বাড়তি হয়?
নিকষকালো দিনের পরেই, আসবে জেনো নতুন জয়।
হারতে হারতে ভুলছে যারা, স্বপ্ন দেখা রোজ রাতে;
কয়েক জোড়া হাত বাড়িয়ে, ভরসা রাখুক সেই হাতে।
ঈদের চাঁদ হোক, বা, পূর্ণিমার; সালমা, সরমা যাক মিশে,
বহুদিনের স্বপ্ন দেখা যুদ্ধহীন এক নতুন দেশে।
ভালবাসার জোরেই চলুক ঘরে ঘরে পুজো, নামাজ;
মনুষ্যত্বকে সঙ্গী ক’রেই বদলে যাক এই ধূসর সমাজ।
লেখক পরিচিতি : সুপ্রিয়া মণ্ডল
সেরকম কোনো পরিচিতি এখনও গড়ে তুলতে পারিনি