কবি: শৈলেনকুমার দত্ত
যে কোনো পথ দিয়ে হেঁটে যায় ছেলেটি
খানাডোবা চোরাগলি রাজপথ রেস্তোরাঁ শ্মশান মসান
কত রাত কেটে যায় আনমনে দাগ কেটে নদীর গভীরে
অবিন্যস্ত চুলদাড়ি, চোয়ালে ফেনিয়ে ওঠা কুড়ি বছরের ক্রোধ
দেখে তবু বোঝা যায় আজও কোনো কবিবন্ধু পেলে
সহসা আস্তিন থেকে টেনে আনে অবাধ কবিতা।
#
যুবতী গোলাপ গাছ যার দম বন্ধ করে কুমড়োর লতা
সেখানেই ঝরে ওর শীর্ণ আঙুল থেকে অজস্র শুশ্রূষা
অপুস্ট হাড়ের মধ্যে ওইটুকু বুক, সবটাকে ছাপিয়েছে মস্ত হৃদয়
কমজোরি ফুসফুস জান্তব পৃথিবী তাতে দেয়নিকো একটু বাতাস
হা হা করে হৃদপিণ্ড ! সে তবু তো কারো কাছে চায়নি আশ্রয়
দেবতাকে চেনে না সে, দেবালয়ে মাথা নোয়াবার গোছানো বয়স তার নেই
পিতামহ জন্মদাতা কাকে সে মানবে আজ !
সব কিছু ভেঙ্গে চায় নিজেকে আপন করে নিতে
জন্মের ঋণ সে তো রক্ত দিয়ে দিতে চায় শোধ
কে পেতেছে আঁচল তার কাছে!
#
কোথা সে হারিয়ে যেত, ক্রোধ তার থেকে যেত ক্রোধ
কিন্তু অবাক কাণ্ড ! সেদিন এক বিষণ্ণ দুপুরে
নিছক খেলার ছলে অচেনা কিশোরী
উঁকি দিয়ে চেয়ে দেখে ঠোঁট থেকে বুকে
কী ভীষণ ভালোবাসা জমা ছিল স্বার্থপর দৈত্যের মুঠোতে!
#
অমৃতস্য পুত্র গেল পায়ে হেঁটে সংসারের সাবেকী বাগানে!
ছবি: প্রণবশ্রী হাজরা
লেখকের কথা: শৈলেনকুমার দত্ত
আমি দীর্ঘ দিন লিখছি। কবিতা এবং ছড়া আমার সমস্ত পত্রিকায় প্রকাশিত। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা পঁচাত্তর। ১৯৮৭ সালে আমি শিশুসাহিত্যে রাস্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়া রয়েছে অন্যান্য অনেক পুরস্কার।