লেখক : জয়তী মুখার্জি
নাম জানি না ,
কী নাম নদীর?
তুমি দিলেই দিতে পারো।
নাম রেখেছে অনেক জনে
হয়তো হাজার, সাতসতেরো।
বলতে পারো
সেই নদীটার
বাঁকটা কোথায় মেশে?
ওই যে সূর্য লাল হয়েছে
মাঠের কোলটি ঘেঁষে।
পাহাড় থেকে
যে পথ নামে,
সেই সে পথের দূরে।
ওই নদীটার বাড়ি বোধহয়
অনেক রাস্তা ঘুরে?
আল পেড়িয়ে
মাঠ ডিঙিয়ে
চলছে নদী নিরন্তর।
থামার ইচ্ছে নেইকো মোটে,
ধুইয়ে ছোটে দু’ প্রান্তর।
জীবন নামক
গতির গাড়ির,
বাঁকের মুখে বিপর্যয়।
চলতি পথে না এর প্রহার
মনে মনে বেদম ভয়।
নদীর আছে
অসীম সাহস,
নামার আছে ক্ষিপ্রগতি।
তরতরিয়ে ছন্দে তালে,
নামের গুণে ময়নামতি।
নামটা কেমন?
চেনা চেনা?
এমন যদি হয় আদতে,
তবেই রঙিন রামধনু রঙ;
পাতবে দু’হাত ওই নদীতে।
ভরসা রাখো।
চলছো সিধে;
হচ্ছ কেবল দিশেহারা!
এমন মনে শক্ত বাঁধন
রাখলে হবে জীবন সারা।।
লেখক পরিচিতি : জয়তী মুখার্জি
মধ্য কলকাতার যৌথ পরিবারে জন্ম, পড়াশুনো ও বেড়ে ওঠা। কলমকে আজীবনের সঙ্গী করে বাঁচা। বিবাহ পরবর্তী জীবনে দক্ষিণ কলকাতায় বাস স্বামী ও দুই কন্যাকে সঙ্গে করে। আর আছে পায়ের তলার নির্মল মাটি ও জল আর মাথার ওপরের উদাত্ত আকাশ।
Khub khub shundor
অসাধারণ হয়েছে লেখাটা ❣️
ভীষণ ভালো. আমাদের সবার জীবন টাই তো এই নদীর মতন. সিধে চলতে চলতে দিশেহারা হয়ে পড়ি. সারাদিনের ব্যস্ততা সামলে আবার নিজের জীবনের গতিবিধি তে এসে দাঁড়াই. খুব ভালো লেখো তুমি জয়তি দি.
Khub sundor osadharon
অসাধারণ