লেখক : শারমিন শিলা রিয়া
নিজেকে ভীষণ একগুঁয়ে মনে হয়!
মিশতে পারার অপর্যাপ্ততা তাও বলছি না!
নিজেকে আড়াল করে রাখতেই কেবল ইচ্ছে হয়!
গল্প করার জন্য কেউ ডেকে নিয়ে গেলেও…
আমি যেন হয়ে যাই নির্বাক শ্রোতা।
এই যে এই মাঝপ্রহরে আমি করছি
ক্ষুদ্র জীবনের হিসাব-নিকাশ।
ঘড়ির কাঁটা টিং টিং শব্দে জানান দেয়।
সময় যে ঘনাচ্ছে…
ওই দিকে সবার ঘুম জানান দেয়!
নতুন ভোরের আশায় এ প্রহর কাটে!
কতশত কল্পনা, বাস্তবতার মাঝে।
আমার মায়ের মুখখানা যেন এখন চোখে
ভাসছে হাজার কোটি বার!
ঘুমের মাঝে মুখখানা গিয়ে দেখে আসি
এ সাধ্যি আমি করছি না।
ক্লান্তিমাখা মুখ, ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত
মায়ের মুখ দেখলে নিভৃতে নামে
চোখের কোণে জল আমার।
আমার মায়ের ধৈর্য্যের খেতাব
পাড়াজুড়ে রয়েছে সুনাম।
আমার মায়ের হাসিতে যেন
দুঃখ হয়ে যায় ফুল
তবে সেই হাসিটা সচরাচর দেখা ভীষণ ভার।
আমি কবে হবে কারণ
আমার মায়ের হাসির
সেই অপেক্ষায় করছি
কত দিবস রজনী পার।
আমার বাবা ভীষণ সুখী।
ভাইবোনেরা মিলে বলি
একথা অতিকথার চলে।
আসলে কি সুখী??
লিখতে বসে আপন সমাচার
পার করে দিয়েছি অনেক রাত
উঠব আমি ঘুমের নেশায়।
চোখ যে আমায় ভাসায় ভিন্ন নেশায়
এই প্রহর কাটাই কেবল
বিষাদের পাল্লায়।
এলোমেলো চিন্তাধারায়।
নিজেকে নিয়ে ভাবাতেই
বিষণ্ণতায় হুট করে আকাশে
জমে যায় আঁধারকালো মেঘ।
ভেতরের অবুঝতা সেই কবে
দিয়েছি মাটিচাপা।
এখন আমায় তাড়া করে বেড়ায়
রূঢ় বাস্তবতা।
আমাকে কেউ কখনও কাঁদতে দেখেনি।
দেখেছে কেবল হাসতে!
তবুও যারা দেখেছে কাঁদতে
তারাই আমার হৃদয়ে রাখা আপন মানুষ
আর যে ক’জন দেখেছে মোরে হাসতে
তারাই আমার প্রিয়জন!
এই ক্ষুদ্র জীবনে
হচ্ছি বারংবার হতাশ
ভাবনায় আমার হাজার কথা।
দিবসরজনী দিচ্ছে তা ব্যাথা
একটা সময় ভীষণ খারাপ লাগে
মন চাইলেই বলতে পারি না কোন কথা।
এখানেই আমি হইলাম ভীষণ রহস্যময়…
লেখক পরিচিতি : শারমিন শিলা রিয়া
জন্ম সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। লেখালেখি করতে ভালবাসি। বৃক্ষ, কবিতা, বই পড়তে, ঘুরতে পছন্দ করি।