লেখক : শ্রী অজয় কুমার দে
আত্মারূপে হরি ইহা শাস্ত্রের বচন,
ভক্তের ভগবান ঐ আদি নিরঞ্জন।
লোচনে সদাই রতি প্রেম বরিষণ ,
বরিষণে হইবে সকল ইন্দ্রিয় দমন।
শ্রীনাম রাশিতে সদাই হৃদয় মন্থন,
মন্থন মন্থনে পরিপূর্ণ ভজন সাধন।
শ্রী হরি লুটে যাহাই করেন ভক্ষণ,
সেইতো স্বতঃসিদ্ধ তত্ত্ব নিরূপণ।
মুক্ত শুদ্ধ আত্মা মুক্ত ভব বন্ধন,
অক্লেশে পাইবে শ্রী ব্রজেন্দ্রনন্দন।
ব্রজের কৃষ্ণ সেই নদের শচীনন্দন,
রাধা অভিন্ন গদাই কহে প্রণবনন্দন।।
লেখক পরিচিতি : শ্রী অজয় কুমার দে
একজন সনাতন ধর্মের গৌড়ীয় বৈষ্ণব,ধর্ম প্রচারক ও ভাগবত পাঠক।অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম।পিতা শ্রী লক্ষ্মণ চন্দ্র দে এবং মাতা শ্রীমতি মমতা দে।তিনি এক উদীয়মান তরুণ বৈষ্ণব পদকর্তা এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তি সাহিত্যর গবেষক ও কবি ,প্রাবন্ধিক,সাহিত্যিক,ঔপন্যাসিক,পত্রিকা সম্পাদক,শিল্পকলা ও ইতিহাস গবেষক হিসেবেও সুপরিচিত। বাংলা সাহিত্য তিনি কিশোর বয়স থেকেই অবদান রেখেছেন।তাঁর কবিতায় গৌর লীলা,রাধা কৃষ্ণের লীলা ও আধুনিক জীবনের সংগ্রাম, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ, স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে সংঘাতের মতো বিষয় খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠে।কবি হিসেবে বহু পত্রিকায় সম্মানিত হয়েছেন।মুর্শিদাবাদ জেলার ঝড় পত্রিকায় বিশিষ্ট সাংবাদিক হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন।জিরো পয়েন্ট দৈনিক পত্রিকা থেকে 'নজরুল আওয়ার্ড 'প্রাপ্ত । ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে বিশিষ্ট কবি হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন। এছাড়াও অঙ্গাঙ্গি, প্রাঙ্গণ, বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণ , যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা, পারিজাত সাহিত্য পত্রিকা, মনভাষী পত্রিকা থেকে বেশ কয়েকবার সন্মানিত হয়েছেন। বিঃ দ্রঃ " প্রণবনন্দন " ভণিতায় উনি পদ রচনা করেন।