বিবাহিত জীবন্তজন

লেখক : রতন চক্রবর্তী

বৃদ্ধ কেউ চিতাভস্ম হবে অথবা কবরে
দেহদানের চলও বাড়ছে ক্রমশ।
শেষতক ছাই উড়ে যায় অস্থি জলাশয়ে।
দাতার দেহ ইঁদুর দন্তক্ষত সামলে হয়ত চিকিৎসাবিদ্যাশিক্ষা শেষে,
কানাগলি গণ-ঐক্য-চিতা বা ভাগাড়ে!
মরদেহ হলেও জীবন্তের স্মৃতি ও সত্তায়
তারা কিছুকাল জেগে রয় নিশ্চয়
তারপর বিস্মৃতির অতলে নিশ্চুপ।

এরা সব সূক্ষ্মদেহ পেয়ে নাকি বাতাসবাহিত হয়!
অতঃপর গুরুপদ, স্নেহাস্পদ, প্রেমাস্পদ বন্ধুজন
অলীক শিরস্পর্শ পদস্পর্শ আলিঙ্গন করমর্দনে
স্বপ্ন বা বিভ্রম আতঙ্কে স্থবির।

মহাজন কখনই নয় সর্বজনীন
দেশ-কাল-সম্প্রদায়-পাত্র ভেদে তাদের
ভাগাভাগি চির দস্তুর।
ধর্মের কর্কশ বা শানিত দর্শন আবরণ
যদি বা থাকে
বিপরীত শক্তিদ্বন্দ্বে একদা মরদেহ জীবন্ত বিক্রম দেখায়।
লোকক্ষয়ের পরিণামের দায় তাদের প্রতি অনুগত্যে বর্তায়।
মহাজনের এই স্মৃতি মানবতার ট্র‍্যাজিক উল্লাস।

তবুও শতক বা সহস্র বর্ষ পেরিয়ে মানুষ অমর রহে সৃষ্টির আনন্দ বেদনে
প্রত্নস্মৃতি জনশ্রুতির ঢাল বেয়ে লোকস্মৃতি হয়।
চারু কারু কাব্যকথায় কিছু সুপ্রাচীন শবদেহ
ব্যক্তি-সমষ্টির চেতনায় দেশকালের গণ্ডির দণ্ডি ভেঙে কোন কোন মহাপ্রাণ
পুরুষানুক্রমে
বিবাহিত হতে হতে নবায়িত রূপরসে
শিলীভূত দশা ছেড়ে চিন্ময় হয়।


লেখক পরিচিতি : রতন চক্রবর্তী
অর্ধশতক সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। দৈনিক, সাপ্তাহিক বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাকরির পাশাপাশি কাজ করেছেন বিদেশি দূতাবাসের কলকাতা তথ্য দপ্তরে। তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন। লিখেছেন ছোট গল্প, নাটক চিত্রনাট্যও। মার্কসীয় দর্শনে বিশ্বাসী। জন রিডের টেন ডেজ দ্যাট স্যুক দ্য ওয়ার্ল্ড নামে রুশবিপ্লবের দশ দিনের কাহিনি নিয়ে বিশ্বখ্যাত রিপোর্টাজ গ্রন্থ অবলম্বন করে লিখেছেন নাটক অভ্যুত্থান যা ৭৪ জন কুশীলব নিয়ে অভিনীত হয়।

One comment

  1. Tanusree Ghosh

    ‘পার্বতী ওয়েডস্ শিব ‘ নামক একটি গল্প পাঠিয়েছিলাম। ১৯ তারিখে প্রকাশিত হওয়ার কথাছিল।ওটা কোথায় দেখা যাবে?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

দীপায়ন ৩ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ছবিতে ক্লিক করুন