লেখক : শিখা চক্রবর্তী
নিঙাড়িয়া নীল শাড়ি আর আসে না কেউ
ভাসিয়ে নিয়েছে তারে সময়ের ঢেউ
বকের পাখায় আলো আজও কি লুকায়
কোন আঁখি তার তরে তৃষিত কি হয়
হেলে পড়া বট সে কি কোনও নদী কূলে
কারও পথ চেয়ে আজও বাতাসেতে দোলে
‘কুবো কুবো কুব কুব’ পাখির সে ডাক
অবহেলা পেয়ে বুঝি আজ নির্বাক
প্রকৃতির বুকে আজও খোলা তার খাতা
কুয়াশায় ঘেরা তাতে অস্পষ্টতা
শুকতারা আজও একা আকাশের গায়
তার মুখও ঢেকে দেয় সেই কুশায়ায়
বীজ থেকে অঙ্কুর, যত কিশলয়
সারল্যে নেই আর কারও পরিচয়
মহীরুহ দেহ ধরে সে অতি কঠিন
অতীতের কথামালা আজ কে মলিন
মেঘের পরতে মেঘ, সে আর এক ছবি
রূপকার কবেকার এক মহাকবি
বিরহীর দূত হয়ে ভেসে চলে যায়
আষাঢ়ের আকাশেতে প্রতি বরষায়।।
লেখক পরিচিতি : শিখা চক্রবর্তী
গৃহবধূ, নিবাস কোন্নগর, শ্রীরামপুর কলেজের স্নাতক। স্বামীর কর্মসূত্রে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বসবাস করার সৌভাগ্য এবং তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়। বইপড়ার ভীষণ নেশা ছিল, কিন্তু শারীরিক কারণে বর্তমানে তাতে ছেদ পড়েছে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই একটু ছড়া লেখার অভ্যাস ছিল, তারপরে সব বন্ধ। এতদিন পর কন্যা ও জামাতার উৎসাহে, প্রেরণায় পুনরায় লেখার শুরু। দেশকাল বলে একটা ম্যগাজিনে আমার একটা লেখা বেরিয়েছিল ১৯৯৫-এ।