দুর্গাপুজো

লেখক : দীপাঙ্কনা বোস

আসছে পুজো ক’দিন বাদেই
সইছে না যে দেরি,
মনেপ্রাণে স্বাগত জানাই
দুগ্গা মা’কে আমি।
সবশেষে আসছে আবার
আনন্দ উৎসবের দিন,
সমস্ত দুঃখ ঘুচে যাবে
আসবে সুখের দিন।।
শিউলি ফুলের গন্ধে সবার
মেতে উঠেছে মন,
আনন্দের সাথে হবে এবার
পুজো উদযাপন।
মা আসছেন বছর পরে
হাসি নিয়ে মুখে,
ঢাকে কাঠি পড়লে হবে
পুজো জমজমাটে।।
মায়ের আগমনে সবার
আনন্দে ভরবে মন,
মা দুগ্গা করবে এবার
সব মনস্কামনা পূরণ।
মা আসছে বাপের বাড়ি
বছর পরে আবার,
মায়ের হাত ধরেই আসবে
সুখের দিন সবার।।


লেখক পরিচিতি : দীপাঙ্কনা বোস
আমার নাম দীপাঙ্কনা বোস। আমি জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লক এর সুল্কাপাড়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করি ২০০৭ সালে।

One comment

  1. ভাবার্থ ও তাৎপর্য
    রূপের বর্ণনা (স্থায়ী): মা কালীর রূপ জগতের সব সৌন্দর্যের ঊর্ধ্বে। তিনি কোটি চন্দ্রকে জয় করেন, তবুও তিনি অরূপিণী—যাঁর কোনো সাধারণ রূপ নেই। কবি সেই লীলাময়ী শ্যামা রূপিণীকে দর্শন করেন।
    দ্বৈত সত্তা (প্রথম অংশ): মা একই সাথে শ্মশানবাসিনী যোগীন্দ্রাণী (বৈরাগ্য) এবং ভক্তের হৃদয়ক রঙ্গিণী ভবানী (প্রেম)। তিনি কেবল কালী নন, ত্রিনয়নী জ্ঞানস্বরূপা।
    শক্তির প্রকাশ (দ্বিতীয় অংশ): তাঁর রুদ্র রূপের হাসি (রুদ্রক রঙ্গিণী) শক্তির প্রতীক। তিনি অভিমানী নন, বরং জগতকে রক্ষা করতে তিনি বিভিন্ন রূপ ধরেন (শ্যামা বা রক্ত-বরণী) এবং তিনি দুঃখ-নাশিনী।
    মুক্তি ও আশ্রয় (তৃতীয় অংশ): তাঁর তাণ্ডব নৃত্য (ভৈরবী ও কিঙ্কিনী) ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টি করে, যা ভব-দুখ কাণ্ডারী এবং মুকতি-বিধায়িণী। ভক্তের হাতে খড়্গ-পাণি মাকে দেখেও ভয় নেই, কারণ ভক্ত নিজেকে তাঁর সন্তান (তোর প্রাণী) মনে করে।
    চূড়ান্ত উপলব্ধি (ভণিতা): প্রণবনন্দনের উপলব্ধি হলো—এই জীবন বা সংসার আসলে একটি বন্ধন। এই বন্ধন থেকে মুক্তির রহস্য কেবল মা শ্যামার চরণে আশ্রয় নিলেই জানা যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা

মাসিক দীপায়ন পুরস্কার pop up