লেখক : বাপন মান্না
সমাজে এমন এক খটাশ আছে,
যে পছন্দ করে মুরগির নরম মাংস
যে ঘোরে প্রকাশ্য দিবালোকে,
কখনও বা রাতের আঁধারে,
সে অপেক্ষা করে তার নিয়মিত শিকারের জন্য।
সাধারণ লোক অনেক যত্নে, ভালোবাসায়,
অনেক স্বপ্নে, অনেক আশায়
লালিত করে তাদের গৃহে
তাদের মুরগিকে।
কিন্তু সেই মুরগি যদি নিজের খাবারের সন্ধানে
বের হয় তার বাসা থেকে
শিকার হয়ে যেতে হয় ধর্ষকরূপী খটাশের।
সমাজের নিকৃষ্টতম প্রাণী মুরগি পায় না যোগ্য বিচার,
খটাশ আবারও খুঁজতে থাকে নতুন শিকার।
লেখক পরিচিতি : বাপন মান্না
বাংলা সাহিত্যের এক উদীয়মান আধুনিক কবি হলেন বাপন মান্না, যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার মনোগ্রাহী লেখনী দ্বারা পাঠক সম্প্রদায়ের কাছে চর্চার এবং প্রশংসার কবি হয়ে ওঠেন। তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মহেশপুর গ্রামে। পিতা দীনেশ মান্না ও মাতা জয়শ্রী মান্নার একমাত্র সন্তান তিনি। তিনি ছোট থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন। তাই অভাব যে কি জিনিস, তা তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি করতে ভালোবাসতেন। তবে মূলত মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে তিনি চিরন্তন কবিতাগুলি সৃষ্টি করতে থাকেন। তাঁর কবিতাগুলির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল - 'সৎ মা', 'ভয়ের পেশা', 'জিজ্ঞাসা', 'বন্দি', 'মানুষের অদ্ভুত বিচার', 'সন্তান', 'ধন্য অলোকেশ', 'সোনামণি', 'শুভ দীপাবলি?', 'আগন্তুক', ইত্যাদি। তাঁর 'শরৎ এলি', 'জোনাকি', 'বিশ্রাম দাও', 'মনমোহিনী', 'কাশ রূপসী' ইত্যাদি কবিতার মধ্যে প্রকৃতি যেন অপরূপ মহিমায় ধরা দেয়। প্রেম বিষয়ক কবিতাগুলি হল - 'যদি এমন হতো...', 'বৃষ্টি হয়ে যদি আসো', 'যেদিন তুমি চলে গেছো' ইত্যাদি। তিনি পাঠক-চিত্তে তাঁর লেখনী দ্বারা গভীর অনুভূতি ও ভালোবাসা সঞ্চার করেন।

