কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ

লেখক : মিটু সর্দার

 

মাঝে মধ্যে মনে হয়
এই পৃথিবীতে কেবলই আমিই অসুখী
বাঁধভাঙ্গা কষ্টের ঢেউ আঘাত করে কেবল আমারই বুকে
আমি ছাড়া পৃথিবীর সবাই দিনাতিপাত করছে সুখে।
মনে হয়,
এইসব মিথ্যে, স্বার্থের জন্য সব সম্পর্ক–
কাছে টানা, পাশে বসানো, মিষ্টি-মিষ্টি কথা বলা
এর ভিতরেও কি যেন লুকিয়ে লুকিয়ে হাসে।
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে
একটানে ছিঁড়ে ফেলি সম্পর্কের সব বাঁধন
পদদলিত করি সমস্ত সাধন, রক্তের বাঁধন
ক্যানো জানি সবকিছু গোলকধাঁধার মতো মনে হয়।
ইচ্ছে করে কোথাও হারিয়ে যাই–
এতটাই দূরে, যেখানে কেউ খুঁজতে যাবেনা, কেউ না!
নিজের ইচ্ছেগুলোকে দমিয়ে রাখার মতো কেউ থাকবে না
টুকরো টুকরো মেঘ হয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াব
কখনো বৃষ্টি হয়ে ভেজাব তাঁকে–
প্রজাপতি হয়ে উড়ব, বসব ফুলের ডালে।
সমুদ্রের বালুচরে দাঁড়িয়ে যখন পাখির ডানার মতো দু’হাত মেলি
নিজেকে তখন পরম সুখী মনে হয় —
ইচ্ছেকরে, এখানেই বসতি গড়ে আমৃত্যু থেকে যাই
হাঁসগুলোর মতো ডানা ঝাপটিয়ে সমস্ত সমুদ্র ঘুরে বেড়াই।
ইচ্ছে গুলো কেনো পূর্ণতা পায় না?
কেনো ঝরে যায় মুকুলে?
কেনো ভাসি আমি দুকূলে?
কেনো কষ্টের মরীচিকা কুরে কুরে খায় হৃদয়?
মাঝেমধ্যে, এই বেঁচে থাকাটা অর্থহীন মনে হয় —
ইচ্ছে করে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হতে
দেখতে সাধ হয়, কেউ খোঁজ করে কিনা —
এই বাউণ্ডুলের সন্ধান পেতে।
এই মানুষগুলোকে দেখলে আমার ভয় লাগে
চিনতে ব্যর্থ হই কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ
কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা দংশন।


লেখক পরিচিতি : মিটু সর্দার
মোঃ আকাইদ-উল-ইসলাম (মিটু সর্দার)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়মুড়া গ্রামে ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর, এক সম্ভান্ত্রশালী মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম। কবির পিতার নাম নূরুল ইসলাম (মাষ্টার) আর পিতামহের নাম আলতাব আলী সর্দার। কবির চার ভাই এবং দুই বোন। কবি যখন ছোট তখন মা এবং বড় ভাইকে হারান। ভাইবোনের মধ্যে কবি তৃতীয় এবং ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। কবির যৌথ কাব্যগ্রন্থ "অনুভবের সব রঙে তুমি, রমজান সংকলন, কাব্যের উঠোনে শব্দ নাচে, ইত্যাদি। কবির ছোট বেলা থেকেই কবিতা লিখা সখ । স্কুল জীবন থেকে মাঝেমধ্যে কবিতা লিখতেন। কবি গ্রামের অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, জোরজুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী লিখা লিখতেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন