কবি: শিখা চক্রবর্তী
(১)
বাংলায় আড্ডা,
বাংলায় লেখালেখি
সেইখানে গিয়ে আমি
ভাবি শুধু কী যে লিখি
স্বাধীনতা নিয়ে লেখা
কত আগে হল চাওয়া
লেখার সে ম্যুডটাকে
যায়নি-তো বাগে পাওয়া
আজ সকালেতে সেই
ম্যুড যেই দিলো ধরা
স্বাধীনতা নিয়ে ভাবি
যদি তাকে যায় ধরা
(২)
পনেরো অগাস্ট এই দিনটাকে মনে রেখে
স্বাধীনতা দিবসের কথা আমি যাই লিখে
ব্রিটিশের গোলামিতে ছিল
বড়ো অধীনতা
বহু প্রাণ দিয়ে বলি
শেষে এলো স্বাধীনতা
সেই থেকে এইদিনে
চালু হল এক প্রথা
রাস্তায় ফ্ল্যাগ তুলে
দিয়ে দাও বক্তৃতা
তার আগে কিছু ফুল,
কয়েকটা মালা এনে
রাস্তাটা ভরে দাও
পতাকা ও ফেস্টুনে
ভাষণের আগে-পরে
মন দিয়ে গান শোনো
দেশাত্মবোধে শুরু
শেষে ‘জন গণ মন’
হিন্দি ও বাংলায় গানকে
চালিয়ে রেখে
সোজা তুমি চলে যাও
একেবারে লাঞ্চ ব্রেকে
দিনটার মানে আজ
পেট পুরে খাওয়াদাওয়া
তারপরে দুপুরেতে
কষে এক ঘুম দেওয়া
ছুটি পেয়ে কেউ খুশি
কত দিন পরে পাওয়া
তাই তো টিকিট কেটে
ছোটোখাটো ট্যুরে যাওয়া
সিনেমাও দেখে লোকে
হলে-তে বা ঘরে বসে
এইটাই মোটামুটি
দেখা যায় সারা দেশে
কেউ কেউ সক্কালে
রক্তটা দান করে
রাত্রিরে পিকনিক
আর নাচ, গান করে
আরও আরও কেউ আছে
লুকিয়ে ও চুপিসাড়ে
বোম বেঁধে আমাদের
মারবার প্ল্যান করে
স্বাধীনতা দিবসের
গোটা দেশে একই ছবি
ছড়াতে দিলাম বলে
কারণ ছড়াটা “হব্বি”।
লেখকের কথা: শিখা চক্রবর্তী
হাউস ওয়াইফ- নানা ধরনের লেখা পড়তে এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে দেখতে ভালো লাগে। প্রিয় বই তো অনেক। তার মধ্যে মহাভারত একনম্বরে। এছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, কালকূট খুবই পছন্দের। নির্মল বুদ্ধি যুক্ত হাস্যরস খুব আকর্ষক লাগে তাই সুকুমার রায় খুব পছন্দের। উপেন্দ্রকিশোর এবং সত্যজিৎ রায় তো আছেনই। সত্যি বলতে আরো কত নাম যে ভালো লাগার লিস্টে আছে তা বলে শেষকরা যাবে না। কবিতার চেয়ে ছড়া একটু বেশিই টানে এবং তাই মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করা হয় আর কি।
বেশ সুন্দর হয়েছে।