লেখক : আলী ইব্রাহিম
সালমা,
আমাকে চিনতে পেরেছ?
আমি আলী। তোমার বড় বোনের বন্ধু।
অনেক দিন হলো তোমাদের বাসায় যাই না।
তুমি ভালো আছো তো!
সেদিন তোমাদের বাসায় তোমার খাতার ভেতরে
একটি চিঠি রেখে এসেছি। দেখেছ কী?
– আপনার সাহস তো কম না!
আমার বাসায় এসে আমাকেই চিঠি দেন!
আমার বাসায় এসে আমাকেই বাসা ছাড়ার ইঙ্গিত দেন!
এক্কেবারে মাথা ফাটিয়ে দেবো!
না, মানে ইয়ে, আসলে…, আচ্ছা ঠিক আছে,
আজ চলি…
– শুনুন?
কিছু বলবে?
– গতকাল পত্রিকায় আপনার একটা কবিতা পড়লাম।
কবিতাটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন কেনো?
সেটা তুমি বোঝো না?
– ওসব প্রেমের কবিতা লেখেন কেনো?
সেটা তো তুমিই ভালো জানো।
– শুনলাম, ঠিকমতো বাজারও নাকি করতে পারেন না!
আড়াই’শ টাকার মাছ কেনেন সাড়ে সাতশ’ টাকায়!
আপনার কেনা বেগুন একটাও ভালো পাওয়া যায় না!
ডিম কিনতে বললে কিনে আনেন মুরগী।
কী করে করবেন সংসার?
ওসব কবিতা লেখা ছেড়ে দিতে হবে।
আগে কথা দাও…
নিয়নের আলোয় তুমি আমায় পথ দেখাবে?
আমার অন্ধকারের সারথি হবে?
– উ… হবো
আমার প্রতীক্ষায় থাকবে?
– থাকবো।
আচ্ছা, আজ চলি…
– দেখে শুনে পথ চলো।
চলবো।
– শরীরের দিকে খেয়াল রেখো।
রাখবো। আমি তা হলে আসি।
– ঠিক আছে, এসো। আর শোনো…
ওসব কবিতা লেখা ছেড়ে দিতে হবে।
আচ্ছা, ছেড়ে দেবো।
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহসম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।
সুন্দর।
ধন্য হলাম। ধন্যবাদ…