লেখক : শিখা চক্রবর্তী
আমি আমার আমিতে হয়ে জ্বালাতন
যত বলি তাকে ছাড়ো
তত সে আমায় ধরে আঁকড়িয়ে
এ কী ভয়ানক গেরো
যেদিকে তাকাই আমি ছাড়া নেই
আমি ভরা চারদিকে
রোগেতেও আমি ভোগেতেও আমি
সবেতে আরাম খোঁজে
এ আমার আমি এত গোলমেলে
তাকে বোঝাই যায় না মোটে
একটা দেহতে এতগুলো রূপ
আসে তার কোত্থেকে
অর্থ বা খ্যাতি, প্রশংসা পেয়ে
যে আমি বিগলিত
সে আমিই ক্ষেপে লাল হয়ে যাই
যদি হই নিন্দিত
আমি আমার আমিকে যত ভালবাসি
অন্যকে তত নয়
এ উপলব্ধি করেও তবু কি
লজ্জা কখনও হয়
থাকতে পারলে আমিটাকে ছেড়ে
কত যে আরাম হত
সইতে হত না রোগযন্ত্রণা
শান্তিতে দিন যেত
ল্যাঠা চুকে যেত তোমাকে পেলেই
সে কথা জেনেও তবু
খুঁজে ফিরি আমি এটা ওটা সেটা
তোমায় খুঁজি না শুধু ।।
লেখক পরিচিতি : শিখা চক্রবর্তী
গৃহবধূ, নিবাস কোন্নগর, শ্রীরামপুর কলেজের স্নাতক। স্বামীর কর্মসূত্রে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বসবাস করার সৌভাগ্য এবং তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়। বইপড়ার ভীষণ নেশা ছিল, কিন্তু শারীরিক কারণে বর্তমানে তাতে ছেদ পড়েছে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই একটু ছড়া লেখার অভ্যাস ছিল, তারপরে সব বন্ধ। এতদিন পর কন্যা ও জামাতার উৎসাহে, প্রেরণায় পুনরায় লেখার শুরু। দেশকাল বলে একটা ম্যগাজিনে আমার একটা লেখা বেরিয়েছিল ১৯৯৫-এ।

