অজানাপুরের অজানা কথা

লেখক : ভাস্কর সিন্হা

অজানাপুর পশ্চিমবঙ্গের এক ছোট তবে বেশ প্রাণোচ্ছল গঞ্জ । ছোট হলেও ক্ষুদ্রবৎ ভারতবর্ষের বৈসাদৃশ্য এখানে খুব প্রকাশমান। এর উচ্ছল শ্যামলিমা ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষণের প্রকোপে পড়ে বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘ বটের ছায়ায়, রাস্তায়, খোলা বাজারে, পাকা বাড়িতে, মাটির বাড়িগুলোতে ক্রমশই বিভাজন স্পষ্ট হচ্ছে নতুন আর পুরাতনের, ধনের আর নির্ধনের, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের। আর উৎপাতের সূত্রপাত সম্ভবত এক অজানা জ্বরের প্রাদুর্ভাবে আর ঐ টিলার উপরে থাকা জমিদারের সুবৃহৎ অট্টালিকার আশপাশ হতে শোনা ভুতুড়ে ফিসফিস শব্দে।

গঞ্জে অজানা আর ভীষণ ছোঁয়াচে জ্বরের প্রকোপ এতই বেড়ে গেল যে পঞ্চায়েত প্রায় এক প্রকার নাজেহাল হয়েই লকডাউন ঘোষণা করে দিল। এতে কৃষকেরা, শ্রমিকরা যেমন দুরবস্থার কোপে পড়ে দিশেহারা হয়ে গেল, তেমনি রিচাদেবীর মতো গঞ্জের বিত্তশালী সুবিশাল ভূসম্পত্তির মালকিন তাঁর অতি প্রাচুর্যের নৈশাহারের আয়োজন বাড়িয়ে দিলেন। কানাঘুষোয় শোনা গেল যে তাতে পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরাও সামিল হন। রিচাদেবীর গৃহ অধিবাস্তববাদের ছোঁয়ায় সজ্জিত ছিল আর প্রতীতিবাদী পেইন্টিংয়ে ভরা ছিল। তাঁর সূক্ষ্ম রুচি ও অপরিসীম বিত্ত কিন্তু ঐ গঞ্জের অধিকাংশের কাছেই কুহেলিকাসম প্রতীত হত। ওদিকে রিচাদেবীর উচ্ছৃঙ্খল, যথেচ্ছাচারী পুত্র বালু, যে তার বন্ধুদের সাথে মত্ত জীবন যাপন করে আর সুযোগ পেলেই বাইক রেস করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে দেয়, হঠাৎই তার বেয়াড়া সমস্ত সঙ্গীসহ শিবানীর পার্টি অফিসে ঢুকে সব কিছু তছনছ করে দেয়। তার রাগের মূল কারণ শিবানী যে দলিতদের একত্রিত করে অন্যায়ের, জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। শিবানী যে আঙ্কল টমস কেবিনের গল্প শোনায়। শোনায় নীলদর্পনের গল্প। গান গায় পল রবসনের। শিবানী দলিতের মেয়ে ও তাদের নেত্রী এবং শ্রমিকদের উন্নতিকল্পে অক্লান্তভাবে কাজ করা গঞ্জের স্থানীয় ব্যক্তি। এ সবের পরও শিবানীর সেতারে আগ্রহ ও ভালবাসা আছে এবং সময়- সুযোগ হলে সেতার নিয়ে তার গলার সা ও সেতারের সা মেলানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা করে। শিবানীর পার্টি অফিস ভাঙচুর করাকে গঞ্জের কেউই মেনে নিতে পারল না। ভেতরে-ভেতরে গঞ্জের মানুষজন ফুটতে লাগল ও খুঁজতে থাকল উপায় যাতে তারা প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পায়।

রিচাদেবীর সুদৃশ্য অট্টালিকায় অদ্ভুত- অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা ঘটতে শুরু করল। গৃহভৃত্যেরা ফাঁকা হলঘর বা দালান থেকে হঠাৎ-হঠাৎই ভুতুড়ে ফিসফাস শুনতে পেতে লাগল। ভাগচাষী পরাণের মেয়ে যোগিতা রিচাদেবীর ঘরে এক সহকারিণীর কাজ নিয়েছিল। সে এঘর ওঘর করতে করতে আচমকা এক ভূতও নাকি দেখেছে। যোগিতা আসলে আর্ট কলেজের ছাত্রী। সে কাছ থেকে পিকাসো আর ভিনসেন্ট ভ্যান গখের ছবি দেখার বাসনাতেই সহকারিণীর কাজ নিয়েছে। সুযোগ পেলে সে কিছু স্কেচও করে নেয়। রিচাদেবীর ঘর রেমব্রান্ট, ভিনসেন্ট ভ্যান গখ, আর পিকাসোর শিল্প কর্মে ভর্তি। যোগিতা বুঝতে পারে না যে এগুলো আসল শিল্প কর্ম কিনা। তার মাঝে মধ্যে সন্দেহও হয়। তবে সাহস করে রিচাদেবীকে কিছু জিজ্ঞাসা করে উঠতে পারে না। তবে এটুকু বোধ তার আছে যে নকল যদিও বা হয়, তা যে অত্যন্ত উচ্চমানের নকল, তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

এই সব ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানার কথা ছড়াতে ছড়াতে ভূতাণ্বেষী নারাঙ্গের কানে পৌঁছল। নারাঙ্গ রীতিমত ভূতের গবেষক। তার নাকি একটা ইউটিউব চ্যানেলও আছে। এবং তার গ্রাহক সংখ্যাও প্রচুর। নারাঙ্গ কখনোই দাবি করে না যে সে ভূতের ব্যাপারে সর্বজ্ঞ। তবে সে এক স্থিতধী ব্যক্তি। তার চক্ষুদ্বয় গভীর ও শান্ত। সে গভীর ও নিবিষ্ট ভাবে কাউকে দেখলে সামনের ব্যক্তির মনে হয় সে বুঝি তার মনের অতলে ডুব দিয়ে তার সব গোপন কথা জেনে নিচ্ছে। নারাঙ্গ যতটুকু বলে বা বুঝতে পারে যে কখনও সখনও সে অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যে পৌঁছে যায় বা ভাসমান থাকে একটি তরঙ্গের চূড়া হতে অন্য তরঙ্গের মধ্যবর্তী কোন একখানে। তখন সে অদ্ভুত কিছু ছায়া বা তাদের খুব হালকা কথা শুনতে বা বুঝতে পারে। তার মনে হয় না যে তার চারপাশের অন্য কারও একই অনুভূতি হচ্ছে। প্রথম প্রথম তার অবাক লাগলেও ক্রমশ সে বুঝতে পারে যে, সে যা দেখছে বা শুনছে তা সবার অনুধাবনযোগ্য নয়।

মনীষ, স্থানীয় স্কুলের এক জনপ্রিয় শিক্ষক। সে গীটারে বেশ পারদর্শী আর সময় পেলেই কান্ট্রি ও আধুনিক বাঙলা গানের ঝঙ্কার তোলে। মনীষের এই স্কুলের চাকরিতে একদম মন ভরে না। প্রায়ই মনে হয় এসব ছেড়ে শহরের ব্যান্ডের দলে নাম লেখায়। তাদের মতো ঝড়ের জীবন যাপন করে। সে সময় পেলেই ইউটিউবে পলাশ সেনের ইউফোরিয়া বা রূপম ইসলামের ফসিলসের গানগুলোতে ডুবে যায়। ইদানীং ফেসবুকে রাহুল আনন্দের জলের গানগুলোতেও সে বেশ মজে যাচ্ছে। সে স্বপ্ন দেখে একদিন তার নিজস্ব ব্যান্ড হবে। গীটারে সে সুরের ঝংকার তুলবে। আলো-ছায়া মাখা রঙ্গভূমি। উত্তাল শ্রোতৃমণ্ডলী তার গলার সাথে গলা মেলাচ্ছে। তার তালের সাথে তাল মিলিয়ে নৃত্যরত। কিন্তু অজানাপুরে তার থেকে যাবার সবিশেষ কারণ আছে। এবং সেটি মোটেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। মনীষ এবং শিবানী পরস্পর পরস্পরকে বেশ পছন্দ করে। সঙ্গীতের প্রতি প্রেমই তাদের কাছাকাছি নিয়ে আসে। তারা অবশ্য চারপাশের ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি নিয়ে খুবই শঙ্কিত। তারা খবর পেয়েছে যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা আনসার চোরা কারবারিতে যুক্ত। সব কিছুর সঙ্গে রিচাদেবীর সংগ্রহের কিছু দুর্মূল্য পেইন্টয়িংও নাকি পাচার হবার পথে এই লকডাউনের সুযোগ নিয়ে। আনসার খুবই ঠাণ্ডা মাথার ধুরন্ধর মানুষ। উচ্চালয়গুলিতে তার বেশ সহজে প্রবেশাধিকার আছে। যে কোন কারণেই হোক তার কথার খুব মান্যতা আছে উচ্চালয়গুলিতে। দিনকে রাত, আর রাতকে দিন বলে চালাতে তার জুড়ি মেলা ভার। গঞ্জের সাধারণ মানুষ তাকে ভয়ই পায়। পারতপক্ষে এড়িয়েই চলে।

বালুর কাণ্ডজ্ঞানহীন ও বেপরোয়া আচরণ এক মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায় যাতে পরাণের স্ত্রী ভয়ংকরভাবে আহত হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। ঘটনাটা গঞ্জে ভীষণ আলোড়ন তোলে ও গঞ্জকে পুরোপুরি দু ভাগে ভাগ করে দেয়। একদিকে বাহুবলী বিত্তশালীরা, অন্যদিকে ন্যায়াকাঙ্খীরা। মনীষ, শিবানীর ছত্র তলে বিক্ষুব্ধরা একত্রিত হতে থাকে। মনীষ এই উত্তাল সময়কে নিয়ে একটা গানও বেঁধে ফেলে যেটা মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। রিচাদেবীও ঐ দিকে তাল ঠোকেন। তিনি বেঁচে থাকতে তাঁর সাধের একমাত্র পুত্রের গায়ে আঁচড়ও লাগতে দিতে তিনি রাজি নন। তিনি তাঁর সমস্ত সংযোগের, সমস্ত সংস্রবের সংলগ্নতায় চলে গেলেন। সবাইকে নির্দেশ দিলেন যে করেই হোক বালুকে নিরাপদে রাখতেই হবে। ঠাণ্ডা মাথার আনসারও এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। রিচাদেবীকে নিজের তালু বন্দী রাখার এই সুযোগকে চলে যেতে দিতে সে মোটেই রাজি ছিল না। আনসার তাঁর কথায় এই বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে মাঠে নেমে পড়ে।

টিলার উপর রিচাদেবীর সুদৃশ্য অট্টালিকায় ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা খুবই বেড়ে যায়। রিচাদেবীর কোন আগ্রহই ছিল না নারাঙ্গকে তাঁর গৃহে প্রবেশাধিকার দেওয়ার। তবে গৃহভৃত্যদের ভয় পাওয়া ও এই ঘর ছেড়ে চলে যাবার শেষ কথা দিয়ে দিলে তিনি নিমরাজি হয়ে নারাঙ্গকে অনুমোদন করলেন তাঁর গৃহে প্রবেশ করতে। ভূত গবেষক নারাঙ্গ দিবারাত্রি উঠে পড়ে লেগে থাকে ভূত খোঁজার সাধনায়। অনেক খুঁজে খুঁজে শেষে সে সন্ধান পায় এক গুপ্ত কুঠুরির ও সুপ্রাচীন দলিল দস্তাবেজের। ঐ দলিল ঘাঁটতে ঘাঁটতে সে এক মারাত্মক সত্যের সম্মুখীন হয় যে, জমিদারবাড়ী অধিকাংশ সম্পত্তি কলোনির আমলে স্থানীয় দলিতদের বঞ্চিত করে ও শঠ উপায়ে হস্তগত করা হয়েছে। ভূতটি খুব সম্ভবত এক দলিত শিল্পীর অতৃপ্ত আত্মা যাকে নৃশংস উপায়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলা হয়েছিল ব্রিটিশ রাজের জমানায় এক বহুমূল্য চিত্রকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে।

গঞ্জের এককোণে এক বট তলায় কুঁড়ে ঘরে থাকত জটি বুড়ি। সে নাকি শিকড়-বাকড় থেকে ওষুধ বানাতে পারত। কেউ কেউ তার ওষুধে কাজ পেলেও, অনেকে তাকে ডাইনী বুড়ি মনে করত। তার কিছু কথা, তা যদি অমঙ্গলের হত তা নাকি ফলে যেত। জটি বুড়ি বলে উঠেছিল মহাকুম্ভের কথা। তার ফলের কথা। মহাকুম্ভের ফল কীভাবে বদলে যায় মনের কুশ্রীতার কারণে, পাপের কারণে। কেউ কেউ সাম্প্রতিক অঘটনগুলোতে জটি বুড়ির কথার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছিল। কেউ কেউ এগুলোকে একান্তই আজগুবি, মনের কুসংস্কার বলে অভিহিত করছিল। আনসার মানুষের এই সব দ্বিধা-বিভক্ততার সুযোগ কাজে লাগাল। পুলিশের সাহায্য নিয়ে মনীষ আর  শিবানীকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অশান্তির উৎস বলে জেলে পুরে দিল। তখনও লকডাউন আংশিক বলবৎ থাকায় শিবানীর লোকজন বা মনীষের সুহৃদেরা পথে একযোগে নামতে পারল না। আনসার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তাদের বিরোধী পক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে চাইল। হতাশায় মনীষ আর শিবানীর শুভ চিন্তকেরা দুষ্টের দমনকারী আর শিষ্টের রক্ষাকারী ভগবনকে স্মরণ করতে লাগল।

রিচাদেবীর সাধের অট্টালিকায় অকস্মাৎ অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। অনেক কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধ্যানস্থ নারাঙ্গের সামনে রিচাদেবী কাঁপতে কাঁপতে বসে পড়েন। তিনি এক এক করে সব গ্লানি, সব পাপের কথা ধ্যানস্থ নারাঙ্গকে বলতে শুরু করেন। সব বলা শেষ হয়ে গেলে তিনি প্রাণহীন হয়ে লুটিয়ে পড়েন। জানা যায় যে বালুই রিচাদেবীর কাছে তার গুরুত্বের কথা উপলব্ধি করানোর জন্য ও গুপ্ত শিল্প কর্ম উদ্ধারের আশায় আকস্মিকভাবে অগ্নি সংযোগ করে, যা পরে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। যোগিতা সেই সময়ে ঐ অট্টালিকায় ছিল ও পূর্বে নারাঙ্গের সঙ্গে কথা বলে কিছু সমাধান সূত্রের খোঁজ পেয়েছিল। ঐ সূত্রের প্রয়োগে সে ঐ দলিত শিল্পীর লুকিয়ে রাখা শিল্পকর্মটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সারা গঞ্জের সামনে শিল্পের উন্মোচন হয়। কাজটি ছিল অজানাপুরের কৃষিক্ষেত্রে দলিত কৃষকদের কাজ করার উপর এক অসামান্য প্রতীতিবাদী পেইন্টিং। এদিকে বালুর স্বীকারোক্তি ও সমস্ত পাপ কর্ম স্বীকার করে নেওয়ায় শিবানী আর মনীষ বেকসুর ছাড়া পায়। শিবানী প্রস্তাব দেয় ঐ বহুমূল্য পেইন্টিংটা বেচে গঞ্জের উন্নতিকল্পে ব্যবহার। কথাটা সবার মনে ধরলেও আনসার প্যাঁচ কষে পেইন্টিংটা হাতাবার। সে বলে যে সে ও রিচাদেবী শিল্প কর্ম ব্যবসায় অংশীদার ছিল। তাই এই পেইন্টিংটা তারই প্রাপ্য। তার উপর বালুও বিচারাধীন আছে, তার অনুমতিও প্রয়োজন। যদিও সে ভালো করেই জানে যে মা চলে যাবার পর বালুর এখন কোন কিছুতেই কোন আগ্রহ নেই। কিন্তু নারাঙ্গ আর জটি বুড়ি আনসারের সামনে এসে দাঁড়ালে সে থতমত খেয়ে যায় ও সবার মতে সায় দিয়ে দেয়। শিবানী আর মনীষ দুজনেই এরপর অজানাপুরের উন্নতিকল্পে মন- প্রাণ ঢেলে দেয়। নতুন ব্যবস্থা আসতে থাকে। পুরাতনের সম্পূর্ণ নির্গমন যদিও হয় না। কিছু কিছু সগৌরবে উচ্চ মস্তকে বিরাজমান থাকে। আর সব কিছু নিয়েই অজানাপুর এগিয়ে চলতে থাকে।

নারাঙ্গও তল্পি-তল্পা গুছিয়ে ফেরত গিয়েছে। তার ইউটিউবে উঠেছে অজানাপুরের অজানা কথা। তার কথকতায় সে যোগ করেছে তার কিছু নিজস্ব উপলব্ধির কথা। অবচেতন মন, পূর্বজন্ম, পরজন্ম, অতৃপ্ত আত্মা, বৈদেহী অবস্থা ইত্যাদি, ইত্যাদি। সব কিছুর মধ্যে সে একটা যোগসূত্রের সম্ভাবনার কথা বলেছে। অজানাপুর গঞ্জে ভুতুড়ে উপদ্রব আর শোনা যায় না। শুধু জটি বুড়ি পোড়া অট্টালিকার পাশে কোন ছায়ামূর্তিকে দেখে থাকে হয়ত। সেই শুধু বলে যে মানুষের অতীত কখনই সম্পূর্ণ বিলীন হয় না। তা কখনও সখনও ফিরে আসে সময়ে-অসময়ে।

লেখক পরিচিতি : ভাস্কর সিন্হা
ভাস্কর সিন্হা বিশ্বভারতী এবং আই আই টি দিল্লীর প্রাক্তনী। দুবাই নিবাসী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।