লেখক : রাণু শীল
সারাবাড়ি নিঝ্ঝুম। একটু আগেই, নিচের বিশাল ঘন্টা দেওয়া ঘড়িতে রাত বরোটা বেজে গেছে। ওদের বাড়িতে জ্যেঠু সবচেয়ে দেরিতে ঘুমোন। তবে তিনি ঠিক এগারোটা কুড়িতে একটা আর সাড়ে এগারোটায় একটা ঘুমের ওষুধ খান ও বারোটায় বই মুড়ে আলো নিভিয়ে চোখ বন্ধ করেন।
এই দশ মিনিট অন্তর ওষুধ খাওয়ার যে কী মানে হয় ! তার সঠিক কোনো কারণ না থাকলেও, ওটাই নাকি ঘুমপাড়ানি বলে মনে হয় জ্যেঠুর। তাই যুক্তিটুক্তি বৃথা। যাই হোক! জ্যেঠু ঘুমিয়ে পড়েছেন।
মেজকাকা ঠিক বারোটা পাঁচে একবার বাথরুমে যান, ঘুম চোখে। ওঁর ডায়াবিটিস আছে। কিছুতেই সুগার লেভেল আড়াইশোর নিচে নামেনা। মা-বাবা এগারোটার মধ্যে শুয়ে পড়েন, মার খুব অম্বলের ধাত। অসুবিধে ছোটকাকে নিয়ে। ওঁর কোনো সঠিক সময় নেই। না বাড়ি ফেরা, না খাওয়া, না ঘুম।
তাই ওর ঘরের দিকে একটু লক্ষ্য রাখতে হয়।
টুপুন ঘড়িতে দেখলো, দুটো শূন্যের পর এক আর তিন। আর দুমিনিট পর শালুদি বেরোবে ওর ঘর থেকে। টুপুন ঠায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সেকেন্ডের কাঁটা ঘোরা দেখছিল। বারোটা পনেরোয় খুট্ করে শব্দটা বুঝিয়ে দিল, শালুদি এসে গেছে। টুপুনও বেরিয়ে পড়লো। ওরা দুজনেই ঠোঁটের ওপর আঙুল রেখে সিঁড়ি দিয়ে পা টিপে টিপে নিচে নামতে লাগলো। সিঁড়ির বাঁকে আর হলে, পূর্ব পুরুষদের অয়েল পেইন্টিং। এতো জীবন্ত , মনে হয় ওঁরা সব দেখছেন।
নিচের হলেই জিনিসটা আছে।
বিশাল দরজাটার ঠিক বাঁ পাশে একটা সেগুন কাঠের তেপায়ার ওপর ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি, একটা পদ্মের ওপর বসে আছেন বুদ্ধদেব। কবেকার ওটা, কেনইবা এখানে, সেসব খবর দাদু মারা যাওয়ার সাথে সাথেই হারিয়ে গেছে। জিনিসটা দাদু তাঁর বাবার কাছে পেয়েছিলেন। এবং তাঁর বারণ ছিল, এই মূর্তির ইতিহাস কাউকে বলা যাবেনা। তাই বাবা, জ্যেঠু কেউ জানেন না।
শালু বলল,
—- চল, টুপি, শুরু কর।
টুপুন, রাগী গলায় ফিসফিসিয়ে বলল,
—- টুপি বললে, কিচ্ছু করবো না,যাঃ—-
শালু ওর পিঠে থাপ্পর কষালো। ওর থেকে দুবছরের বড়ো সে। ওদের আই.এস.সি আর আই.সি.এস.সি শেষ, তাই চাপ নেই পড়াশোনার। ওরা ঠিক করেছে, এ সময়টা রহস্য উদঘাটনে কাজে লাগাবে। রহস্য খুঁজতে খুঁজতে একদিন এক অস্বাভাবিক কান্ড ঘটলো।
সেদিন, জ্যেঠুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে, যেখানে যতো আত্মীয় আছেন,সবাই জড়ো হয়েছিল। ওরা সকলে মিলে হৈ হৈ করে খাওয়া দাওয়া, খেলাধুলো করছিল। এক মামাতো দাদা ঐ বুদ্ধমূর্তির ওপর গিয়ে পড়ে। তার ধাক্কায় মূর্তিটা পড়েই যাচ্ছিল। এমন সময় টুপুন গিয়ে ধরে ফেলে। আর তখনই…..
**************
শালু ফিসফিস করে বলল,
—- তুই এই চেয়ারটায় বসে, মূর্তিটা ধর। নাহলে, সেদিনের মতো পড়ে যাবি। আর আগে একটু জল খা, আর গলা শুকিয়ে বমি হবেনা। নে, এবার রেডি ?
টুপুন নিজেকে শক্ত করে নিল, চেয়ারে বসে, মাথা সোজা করে বলল,
—- দে, শালুদি —–
শালু বুদ্ধমূর্তিটা তুলে টুপুরের হাতে দিল। টুপুরের শরীরটা কারেন্ট খাওয়ার মতো একটা ঝাঁকুনি দিয়ে স্থির হয়ে গেল। চোখের সামনে, একটা রুক্ষ বালীর প্রান্তর ! একেই কী মরুভূমি বলে ? কালো পাথরের পাহাড় দেখা যাচ্ছে, আরোও দূরের পাহাড়ের মাথাটা ধবধবে শাদা বরফে ঢাকা। বিশাল দেহী একজন মুন্ডিত মস্তক গেরুয়া ধারী হাতে কী যেন নিয়ে, খুব দ্রুত চলেছেন।
যেন তাঁর খুব তাড়া আছে কোথাও যাওয়ার।
টুপুনের চোখের সামনে সিনেমার মতো দৃশ্যগুলো পরপর দেখিয়ে যাচ্ছিল যেন কেউ। ঐ সন্ন্যাসী একবার পিছন ফিরে তাকালেন, একবার আকাশে তাকালেন। কেমন চেনা মনে হলো, যেন। আকাশটা কালো হয়ে এসেছে। দূরে একটা মন্দিরের চূড়া দেখা যাচ্ছে। সন্ন্যাসী আরোও জোরে হাঁটলেন। কোনো রকমে মন্দিরে গিয়ে, বসে পড়লেন। বুকে হাত দিয়ে প্রবল হাঁফাচ্ছেন তিনি। দেখতে দেখতে ঝড় উঠলো। মন্দির থেকে কেউ বেরিয়ে এল, সম্ভবত পুজারী। ধুলোবালিতে কিছু দেখা মুশকিল। তবুও মনে হল, ঐ সন্ন্যাসী পুজারীকে তাঁর হাতের জিনিসটা দিলেন।
এবার চোখদুটো টনটন করছে, টুপুনের…. হঠাৎ গম্ভীর গলা কানে গেল,
—– কী হচ্ছে এসব….
টুপুন চমকে উঠলো, চোখ বন্ধ করে ফেলল। মাথা এলিয়ে দিল চেয়ারে। শালু দেখলো, কখন যেন ছোটকা এসে দাঁড়িয়েছে। ওরা ধরা পড়ে গেছে। শালু বলল,
—- ছোটকা, আগে টুপিকে ঘরে নিয়ে চলো। বলছি তারপর।
**********
সে রাতে আর ঘুম হয়নি কারুর। ছোটোকাকা সব শুনে বললেন, শুনেছি, আমাদের ঊর্ধতন চতুর্থ অর্থাৎ তোদের পঞ্চম পুরুষ, সন্ন্যাস নিয়েছিলেন। কুমায়ূন আর কারাকোরাম পাহাড়ের মাঝামাঝি কোথাও তিনি থাকতেন। কিন্তু…. এই বুদ্ধমূর্তিটা তবে….
টুপুন কষ্টের মধ্যেও লাফিয়ে উঠলো,
—– এবার বুঝেছি কেন চেনা লাগছিল মুখটা। নিচের ছবিটায় ওর মাথায় তো অনেক চুল..…
পরেরদিন টুপুনের মাথা ব্যথা করছিল খুব। সারাদিন ঘুমিয়ে কিছুটা ধাতস্থ হলো। শালু, বড়োদের মিথ্যে কথা বলতে হবে বলে, বইমুখে বসে রইল সারাদিন। আর ছোটোকাকা বাড়ির পুরোনো বইয়ের আলমারি খুলে তন্নতন্ন করে বংশতালিকা আর পুরোনো পুঁথি খুঁজলো। শেষমেশ একটা পুঁথি খুঁজেও পেল
আর সেটা নিয়ে জ্যেঠুর ঘরে দৌড়ল।
ছোটোকাকার চাকরি-বাকরিতে মোটেই মন নেই। তাই তিনি টিউশন করেন আর ওদের পরীক্ষা হলেই, ক্যামেরা ঘাড়ে বেরিয়ে পড়েন। তুখোড় বুদ্ধি আর সাহস। দাদু ওঁর এই ছেলের জন্য টাকাকড়ির ব্যবস্থা করে গেছেন, সেই টাকাকে সম্পূর্ণভাবে সদ্ব্যবহার করবেন বলেই ওদের ছোটোকাকিমা আনেননি। অতএব সেদিন রাতে ওরা নিশ্চিন্তে ছোটোকাকার ঘরে হাজির হলো।
—– কি রে ! আজ কেমন আছিস টুপুন ? ছোটোকাকা চিন্তিত গলায় বললেন।
—– ভালো ! আজ একবার মুর্তিটা হাতে নিয়ে দেখবো ?
শালুদি আর ছোটকা হাঁ হাঁ করে উঠলো,
—–পাগল হয়েছিস ? তোর শরীর খারাপ না ? এখন বেশ কিছু দিন বাদ থাক।
ছোটকা এরপর, বেশ আয়েস করে, পাশবালিশটা কোলে নিয়ে বসলো। শালুদি খাটে হেলান দিলো, আর টুপুন স্টাইলটা কি করবে বুঝতে না পেরে, উপুর হয়ে শুয়ে, কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে ছোটকার মুখের দিকে তাকালো।
ছোটকা বেশ একটা রহস্যময় হেসে শুরু করল,
—– “আমি তোর ঐ অলৌকিক দর্শনকে মোটেও হালকা করে নিইনি। পুরোনো আলমারি ঘেঁটে একটা জীর্ণ পুঁথি পেয়েছি। তাতে, যা লেখা ছিল, তার অনেকটাই দুর্বোধ্য , কিছুটা আয়ুর্বেদিক ওষুধ পত্রের কথা, এটুকু বুঝলাম। কিন্তু একটা পাতার কিছু অংশে একটা বুদ্ধমূর্তির কথা লেখা আছে। শুনলাম, পুঁথিটা লিখেছেন আমার দাদু। অর্থাৎ তোদের ঊর্ধতন চতুর্থপুরুষ। ভাষা প্রাচীন বাংলা। তবে,এটাই সেই বুদ্ধমূর্তি।প্রশ্ন হচ্ছে, এটা এখানে এলো কিকরে ? আমি কাল বড়দাকে ধরে করে,খানিকটা উদ্ধার করতে পেরেছি। এটা আমার দাদুকে দিয়েছিলেন এক তিব্বতী যাদুকর। তিনি নাকি এক পুজারীর কাছে পেয়েছিলেন। ঐ যাদুকর দেশেদেশে খেলা দেখিয়ে বেড়াতেন।
টুপুন আর শালু সমস্বরে “যাদুকর!!” বলে চেঁচিয়ে উঠলো। ছোটকা বলল,
—– হ্যাঁ, সে নিজেকে তাই বলেছিল। বলেছিল, এটা যাঁর, তিনি আবার ফিরে আসবেন।
বলে টুপুনের দিকে সোজা তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর, যেন কিছু মনে পড়ে গেছে, এমনভাবে বলল,
—–আমি একটু পড়ি। এখন তোরা শুয়ে পড়, যা।
ঘরে যেতে যেতে শালু বলল,
—- আজ কিচ্ছু করবি না। ঘুমিয়ে পড়, ঘরে গিয়ে।
দেখ, এতোদিন এটা সবাই ঝাড়মোছ করেছে, কেউ কিচ্ছু বোঝেনি। কিন্তু তুই হাত দিতেই….আমার কেন জানিনা মনে হচ্ছে…..কেমন সন্দেহ সন্দেহ চোখে তাকালো টুপুনের দিকে……
সেদিন টুপুন রাতে স্বপ্ন দেখলো আবার ঐ সন্ন্যাসীকে। সে প্রাণভয়ে ছুটছে, বুদ্ধমূর্তিটাকে নিয়ে। কিছু মানুষ তাড়া করেছে তাকে। সন্ন্যাসী ছুটতে ছুটতে সেই আগে দেখা মন্দিরে এসে পড়ে গেলেন। এবার আরোও খানিকটা স্পষ্ট হলো। পুজারী সন্ন্যাসীকে তুলে এনে একটা ঘরে শুইয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পরে, সন্ন্যসী টলোমলো পায়ে উঠে মুর্তিটার কাছে গেলেন। হাতে নিয়ে পায়ের কাছে চাপ দিতে, পদ্মফুলের একটা পাপড়ি, ঢাকনার মতো খুলে গেল । উনি তার মধ্যে একটা কিছু রেখে দিলেন।
পরেরদিন, সকালে পুজারী ওঁর ঘরে এসে দেখলেন, তিনি তাকিয়ে আছেন, চোখ সোজা বুদ্ধমূর্তির দিকে। হাত নেড়ে ডাকলেন। মৃদু কণ্ঠে বললেন,
—– আমি আমার এতোদিনের সাধনা, ঐ মূর্তিতে রেখে গেলাম। আমি আবার ফিরব। এক যাদুকর আসবে। ওটা আমার বাড়িতে পৌঁছে দেবে সে। আমি এ শরীর ছাড়ব এবার….
**********
ঘুম ভেঙে গেল টুপুনের। উঠে বসলো। নিচে নেমে দাঁড়ালো বুদ্ধমূর্তির সামনে। তবে কী…. ও হাতে নিল মূর্তিটা। আবার সব অন্ধকার।
এবার সরাসরি ঐ দৃশ্য। পুজারী জানতে চাইলেন,
—– কিন্তু কারা আপনাকে মারতে চায় ?
খুব কষ্ট করে বললেন, সন্ন্যাসী…..
—– আমি এক বৌদ্ধ তান্ত্রিকের কাছে, অত্যন্ত শক্তিশালী এক মন্ত্র পেয়েছি। ওরা ঐ তান্ত্রিকের শত্রু। ওঁকে মেরে ফেলেছে। এ মন্ত্র পেলে, ওরা অপব্যবহার করবে। আমি গুরুমন্ত্র রক্ষার জন্য প্রতীজ্ঞাবদ্ধ। আর সময় নেই…সময় নেই….
এরপর সব ঝাপসা….. চোখ খুলল টুপুন। আশ্চর্য ! ওদের ভাষা কিন্তু চেনা কিছু নয়। তবু বুঝলো কী করে ?
আজ আর মাথায় কষ্ট নেই। মূর্তির পায়ের দিকে খুঁজলো। না তো ! কোত্থাও কিছু নেই…. চাপ দিল পায়ে.…. কিছুই হলোনা তো ! ও রেখে দিয়ে চলে আসছে, চোখ পড়লো একটা মুন্ডির ওপর, মূর্তির পায়ের কাছে, অনেকটা বোতামের মতো। ও এদিক ওদিক তাকিয়ে, চাপ দিল জোরে। দুবারের চেষ্টায় খুট্ কররে শব্দ হলো। একটা পদ্মের পাপড়ি, আলগা হয়ে গেল। ওটা ফাঁক করে, আঙুল দিতে, তার ভেতরে একটা শক্ত মতো কিছু পেল।
দোতলায় দরজা খোলার শব্দ। ও তাড়াতাড়ি পাপড়ি চেপে বন্ধ করে, উঠে এলো। জিনিসটা ঢুকিয়ে রাখলো বিছানার তলায়। সেদিন রাতে শালু এসে দেখলো, টুপুন ঘুমিয়ে পড়েছে। ওর মাথায় হাত দিয়ে ডাকলো,
—– কিরে ! শরীর খারাপ ? টুপি ?
টুপুন বলল,
—-উঁউউ ? বড্ড মাথা ধরেছে। আজ ঘুমোই।
শালু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে—– হ্যাঁ, ঘুমো—–
বলে চলে গেল।
ও চলে যেতেই টুপুন উঠে ওটা বার করল। একটা ছোট্টো কবজের মতো। সেটা একটু চাপেই খুলে গেল। একটা কাপড়ের মতো ভাঁজ করা । খুলে দেখলো, কীসব দুর্বোধ্য লেখা যেন। একটু ভালোভাবে দেখতেই সব বুঝতে পারলো, কোন অতল থেকে উঠে আসা স্মৃতি।
সন্ন্যাসী অদীনপুণ্য । এ তার নিজের হাতে লেখা।
ধন্বন্তরী স্বয়ং যেন…..
***********
প্রায় দিন তিনেক পর, জ্যেঠুকে দারুণ ঝকঝকে দেখে, প্রাতঃভ্রমণের বন্ধুরা জিজ্ঞেস করেছিল,
—– কী ব্যাপার হে ! বয়স যে কমে গেল !!
জ্যেঠু খুব খুশি হয়ে বলেছিলেন,তাঁকে আর ঘুমের ওষুধ খেতে হয়না।
ক’দিন পরে, মেজকাকার ব্লাড রিপোর্ট নর্মাল এলো। সেই আনন্দে মেজকাকা সবাইকে প্রচুর মিষ্টি খাওয়ালেন।
মার অম্বল ভোজবাজির মতো উবে গেল। তাই এখন তিনিও জলখাবারে লুচি খান।
কিন্তু, সবাই খুব অবাক হয়ে ভাবতে লাগলেন,
—-এসব হলো কী করে ?—–
তারপর আবিষ্কার করলেন, সব ক্ষেত্রেই টুপুন অন্ততঃ পাঁচ মিনিট ওঁদের হাত ধরে বসেছিল।
এ ঘটনার পর শালু টুপুনের মাথায় কষিয়ে একটা চাঁটি মারলো আর ছোটকা কান মুলে দিল।
টুপুন বলল,
—- হি হি ! আমি তো কিছু করিনি ! যা করার তো সন্ন্যাসী আদীনপুণ্য করেছেন।
এবার ছোটকার মতো, শালুরও মনে হলো, ওদের সেই সন্ন্যাসী পূর্বপুরুষের ছবির সাথে যেন টুপুনের মুখের মিল আছে।
লেখক পরিচিতি : রাণু শীল
২০১৬ থেকে ফেসবুকে নিয়মিত লিখি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বালীতে থাকি।
খুব ভাল লাগল গল্পটা পড়ে। একটা ভিন্ন স্বাদের গল্প বহুদিন পর পড়লাম।
অন্যরকম একটা আনন্দ পেলাম। খুব ভালো।