লেখক : অভীক সিংহ
“দুত্তোর, সক্কাল সক্কাল জ্বালিয়ে দিল একেবারে।” বলে বিরক্তির সাথে সান্যালদা মোবাইল ফোনটা টেবিলে খবরের কাগজের উপরে একরকম ছুঁড়েই ফেলল।
“কী হয়েছে সান্যালদা?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ভর সক্কালবেলা এত মাথা গরম কেন?”
সান্যালদা কপালের দু’পাশে রগদুটো বুড়ো আঙুল দিয়ে ডলতে ডলতে বলল, “আরে আর বলো না অভীক। সকাল হতে না হতেই দুনিয়ার যতরাজ্যের গ্রূপ থেকে একের পর এক মাথা খারাপ করে দেওয়া মেসেজ ফরওয়ার্ড হওয়া শুরু হয়। ভরে ভরে গুড মর্নিং, ভক্তিমূলক, রাজনৈতিক, ঢপের ফিলজফি, ভুলভাল কোটেশন – মানে হোয়াটসঅ্যাপটা একেবারে পাতিপুকুরের মাছের আড়ৎ হয়ে যায় মাইরি। মেসেজ ওড়াতে ওড়াতেই আদ্ধেক দিন কেটে যায়।”
আমি চায়ের কাপে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে মুচকি হেসে বললাম, “তা ভালই তো। ব্যাপারটা ভেবে দেখো একবার, চারিদিকে কত লোক আছে, যারা সক্কাল সক্কাল ঘুম থেকে উঠেই তোমার কথা ভাবে। এটা কি কম কথা হ’ল সান্যালদা?”
“এই একদম ফচকেমি করবে না বলে দিচ্ছি,” সান্যালদা কিছুটা রাগত স্বরেই বলল, “মাথাটা ধরিয়ে দিয়েছে মাইরি।”
“আচ্ছা, আচ্ছা, আর জ্বালাব না।” আমি চায়ের কাপটা নামিয়ে রেখে সান্যালদাকে আশ্বাস দিলাম।
“হ্যাঁ, আজ আর মাথা খেয়ো না।” সান্যালদা মাথাটা চেপে ধরে একটু আস্তে আস্তেই বলল।
“এই দাঁড়াও, আমার পকেটে দু’টো স্যারিডন আছে। বিকেলে মিটিংয়ের পরে লাগতে পারে ভেবে সাথে করে এনেছি। তুমি এক কাজ করো, চায়ের সাথে একটা খেয়ে নাও, একটু পরেই দেখবে মাথাব্যথাটা অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে।” বলে বুকপকেট থেকে একটা স্যারিডন বের করে সান্যালদার সামনে ধরলাম।
“স্যারিডন আছে? দাও দেখি একটা, আজ সত্যিই লাগবে। মাথাটা একেবারে –” বলে সান্যালদা আমার হাত থেকে স্যারিডনটা নিয়ে প্রায় জুড়িয়ে যাওয়া চায়ের সাথে এক ঢোকে খেয়ে নিয়ে চোখ বুজে চেয়ারের উপরে মাথাটা রাখল।
আমি সান্যালদার সামনে চুপ করে বসে থাকলাম। আজ সত্যিই ওনার কাহিল দশা। এই অবস্থায় বেশী ঘাঁটালে নিজেরই বিপদ হ’তে পারে। তাই আমি একেবারে স্পিকটি নট। মিনিট দশ বসে থাকার পরে সান্যালদা মাথা তুলে আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকাল, মুখে স্বস্তির ছাপ। আমি সামনে ঝুঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এখন কেমন লাগছে সান্যালদা?”
“অনেকটা সুস্থ বোধ করছি অভীক,” সান্যালদা বলল, “ভাগ্যিস তোমার কাছে ওষুধটা ছিল।”
“সবই কপাল গো সান্যালদা,” আমি চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলাম, “তাহলে আরেক কাপ করে চা বলে দিই। কী বলো?”
সান্যালদা সবেগে মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলল, “হ্যাঁ হ্যাঁ, একদম বলে দাও। সকালের চা-টা তো এই মেসেজগুলোর চক্করে জুড়িয়েই গেল।”
আমি হাত নেড়ে বেয়ারাকে ডেকে দু’কাপ চা দিতে বলে দিলাম। মিনিট পাঁচের মধ্যেই গরমাগরম চা চলে আসল আমাদের টেবিলে। সান্যালদা কাপটা তুলে একটা সপ্রেম চুমুক দিয়ে বলল, “আহ্, এতক্ষণে ধড়ে একটু প্রাণের দেখা পেলাম মাইরি।”
“যাক, তোমার শরীরটা ভাল হয়েছে, এটাই শান্তি।” আমিও চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়ে বললাম, “তবে ফরওয়ার্ডের কথাটা শুনে এই দু’-তিন সপ্তাহ আগের একটা কাণ্ড মনে পড়ে গেল। আমারই এক মাসিমার।”
সান্যালদা একটু আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “কেলো করেছে রে।”
“কেন, কী হ’ল?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
“মেসেজ থেকে বাঁচলাম, তোমার হাতে পড়লাম,” সান্যালদা একটু চিন্তার সাথে বলল।
“আরে শুনেই দেখো সান্যালদা,” আমি উৎসাহের সাথে বললাম, “মাথাব্যথা যেটুকু আছে, আর সেটুকুও থাকবে না।”
“কোনটা? ব্যথা? না মাথা?” সান্যালদা চোখ গোলগোল করে আমার দিকে চাইল।
আমি হো-হো করে হাসতে হাসতে চায়ের কাপটা নামিয়ে রেখে একটা সিগারেট ধরালাম। একটা লম্বা টান দিয়ে ছাইটা ঝেড়ে শুরু করলাম।
আমার এক দূরসম্পর্কের মাসি থাকেন সেই সাতবেড়িয়ার দিকে। দূরসম্পর্কের বলতে আমার মায়ের দাদুর পিসিমার খুড়শ্বশুরের ভায়রাভাইয়ের পিসতুতো নাতনীর দিকের একটা কিছু হবেন। ওই সম্পর্কের লতাপাতা উদ্ধার করা আমার কম্ম নয়। তো ছোটবেলা থেকেই মাকে দেখতাম ওনাকে ‘দিদি’ বলে ডাকতে, সেই সূত্রে উনি হয়ে গেলেন আমার ‘মাসি’। তো নবান্নের সময় প্রায়ই যেতাম সেই মাসির বাড়ি। মাসি বিধবা মানুষ, মেসো মারা গিয়েছেন প্রায় বছর দশ আগে। একমাত্র ছেলে কলকাতায় চাকরি করে, আর মাসি থাকেন গ্রামের বাড়িতেই। মাসি এমনিতে খুবই মাটির মানুষ, দুনিয়ার সাথে ওনার যোগাযোগ বলতে বাড়িতে একটি টিভি, আর সেই আদ্যিকালের একটি নোকিয়ার ফোন। আজও প্রতিদিন ভোরবেলায় রঘুবীর জীউর মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে তারপরে বাড়িতে রান্না চাপান, সন্ধ্যেবেলায় তুলসীতলায় প্রদীপ দেন। ফি বছর নবান্নর সময় ওঁর বাড়িতে তো একেবারে চাঁদের হাট বসে যায়। পাড়ার কচিকাঁচার দল সকাল হতে না হতেই মাসির বাড়িতে ভিড় জমায় পুলিপিঠে খাওয়ার জন্য, আর উনিও সবাইকে নিয়ে একসাথে বসে যত্ন করে খাওয়ান। ঠিক সেই কারণেই পাড়ায় ছোটদের মধ্যে উনি ‘পুপিমাসি’ নামেই বিখ্যাত। মানে ‘পুলি’র ‘পু’ আর ‘পিঠে’র ‘পি’ – সেখান থেকেই ‘পুপিমাসি’ নামটা। আমিও অন্যদের দেখাদেখি ওনাকে পুপিমাসি বলেই ডাকতাম।
তো হয়েছে কী, গতবছর নবান্নের সময়ও পুপিমাসির বাড়ি গিয়েছি। সকাল থেকে সবার সাথে হৈহুল্লোড়ের পরে বিকেলের দিকে উনি আমাকে চুপিচুপি নিজের ঘরে ডাকলেন। আমি ওঁর ঘরে গিয়ে উঁকি মারতেই দেখি উনি হাতে একটা নতুন স্মার্টফোনের প্যাকেট নিয়ে বসে আছেন। আমি প্যাকেটটা হাতে নিতে উনি বললেন, ‘তোর দাদা দিল রে এটা। বলল, পুরনো ফোনটা আর কতদিন চালাবে, এবারে এইটা ব্যবহার কর। কিন্তু আমি তো বাবা এটা চালাতে জানি না রে। একটু চালিয়ে দিবি বাবা?’
‘এখনই করে দিচ্ছি পুপিমাসি,’ বলে আমি ওঁর পুরনো ফোন থেকে সিমকার্ডটা বের করে নতুন ফোনটায় লাগিয়ে চালু করলাম। নতুন ফোনের কেরামতি দেখে ওঁর তো প্রায় চক্ষু চড়কগাছ দশা। একসাথে এতকিছু দেখে উনি রীতিমত ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পুরো সন্ধ্যেবেলাটা বসে আস্তে আস্তে ওঁকে নতুন ফোন থেকে কল করা, মেসেজ করা, ক্যামেরায় ছবি তোলা শেখালাম। দাদার সাথে মাসির ফোনে কথা হল, মেসেজও হল। ক্যামেরাতে তুলসীতলার ছবি তুলে দেখাতে ওঁর সে কী আনন্দ। ছবিটাকে দেখে ফোনটা একবার মাথায় ঠেকিয়ে প্রণামও করে নিলেন। টুক করে ওঁকে হোয়াটসঅ্যাপটাও শিখিয়ে দিলাম। ‘এটা দেখো পুপিমাসি। এখন থেকে তুমি সবার সাথে আরও ভাল করে কথা বলতে পারবে।’ ওঁকে আমাদের ফ্যামিলি গ্রূপেও যোগ করালাম। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ওঁর পুরো ব্যাপারটা বেশ সড়গড় হয়ে গেল। আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘বেঁচে থাক বাবা, খুব উপকার করলি,’ বলে আমার হাতে দু’টো ভাজাপিঠে গুঁজে দিলেন।
এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকমাস। সবাই যে যার মত নিজেদের জগতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। হঠাৎই এই দু’-তিন সপ্তাহ আগে একদিন দুপুরের দিকে পুপিমাসির ছেলের ফোন আসল। আমি তো একটু চিন্তিত হয়েই ফোনটা ধরেছিলাম। এদিক-ওদিক কিছু কথা হওয়ার পরে দাদা বলতে শুরু করল, ‘আরে আজ তোর পুপিমাসি কী কাণ্ড করেছে জানিস?’
‘কী হয়েছে? মাসি ঠিক আছে তো?’
‘আর ঠিক থাকা, তোর মাসির চক্করে সকাল থেকে ল্যাজেগোবরে হাল হয়ে বসে আছি রে।’
‘অ্যাঁ, সে কী? কীভাবে?’
‘সেটাই তো কথা। গত দু’-তিন সপ্তাহ ধরে মায়ের পেটে গণ্ডগোল। কত করে বললাম কলকাতায় এসে একবার দেখিয়ে যেতে, সে কিছুতেই গ্রামের বাড়ি ছেড়ে আসবে না। বলে, এইটুকু সামান্য জিনিসের জন্য ঠেঙিয়ে ঠেঙিয়ে অতদূর যেতে পারছি না, গ্রামে বৈদ্যকে দেখিয়ে নেবে। শেষে কলকাতায় আমার পরিচিত এক ডাক্তারবাবুকে মায়ের কেসটা বলাতে উনি আমাকে বললেন মায়ের না আসলেও চলবে। কিন্তু ওঁর স্টুল স্যাম্পেল নিয়ে আসতে হবে, পরীক্ষা করে দেখার জন্য। আর মাকে তো জানিসই। স্টুল স্যাম্পেলের কথা বলতেই উনি সটান বলে দিলেন যে হাগামোতা ঘাঁটতে পারবেন না। অগত্যা আমাকে আবার ছুটতে হল ডাক্তারের কাছে। অনেক ঝুলোঝুলি করার পরে ডাক্তারবাবু বললেন শুধু স্টুলের একটা ফটো তুলে পাঠালেই হবে। উনি সেটা দেখে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন।’
‘তা এতে সমস্যাটা কোথায়?’ আমি একটু অধৈর্য্য হয়েই বললাম।
‘আরে, সেটাই তো বলছি রে। মাকে অনেক কষ্টে রাজি করালাম স্টুল স্যাম্পেলের একটা ফটো তুলে আমাকে পাঠানোর জন্য। কথা ছিল যে আজ প্রাতঃকৃত্য শেষ করার পরে মা একটা ফটো তুলে আমাকে পাঠাবে, আর আমি সেটা ডাক্তারবাবুকে ফরওয়ার্ড করে দেব। সকাল থেকে আমি সেটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এদিকে সকাল ন’টার দিকে ফোনে টুংটুং করে একের পর এক নোটিফিকেশন আসতে খুলে দেখি ফ্যামিলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে সে এক মোক্ষম বাওয়াল চলছে। ব্যাপারটা বোঝার জন্য গ্রূপের মেসেজগুলো খুলে দেখতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ। কী হয়েছিল জানিস?’
‘কী হয়েছিল?’
‘মা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ফটোটা আমাকে না পাঠিয়ে ভুল করে ফ্যামিলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছে।’
‘অ্যাঁ, বলো কী?’ আমার প্রায় বিষম খাওয়ার মত অবস্থা।
‘আর বলিস না ভাই। মা তো ফটোটা পাঠানোর পরে বুঝতে পেরেছে যে কিছু একটা গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গণ্ডগোলটা যে ঠিক কি হয়েছে, সেটা বুঝতে পারেনি। একটু পরে আমার এক কাকু মাকে ফোন করে বলেছে ‘বৌদি, গ্রূপে এসব কী দিয়েছ?’ তখন মা বুঝতে পেরেছে গণ্ডগোলটা। আর তারপরে তো গ্রূপ থেকে ফটোটা ডিলিট করতে না পেরে বাধিয়েছে আরেক কাণ্ড।’
‘এবারে কী করেছে?’ আমি উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।
‘আমি কেসটা দেখেই সঙ্গে সঙ্গে মাকে ফোন করি। কথা বলে বুঝলাম যে মা পুরো জিনিসটা নিয়ে খুবই বিব্রত হয়ে আছে। আর আমিও মাকে ফটোটা কীভাবে গ্রূপ থেকে ডিলিট করতে হবে কিছুতেই বোঝাতে পারলাম না। শেষে মাকে একটু শান্ত করার জন্য মজা করেই বললাম যে ‘এই ছবিটি দেখা মাত্র সাতজনকে ফরওয়ার্ড করিবেন, শীঘ্রই আপনার জীবনে সুসংবাদ আসিবে’ – এই কথাটা ফটোর সাথে দিয়ে দিলেই পারতে। স্রেফ মজা করেই বলেছিলাম রে কথাটা। কী কুক্ষণে যে বলেছিলাম মাইরি। মা কী করল জানিস?’
‘আবার কী করল?’ আমি কৌতুহলের শেষ সীমায় দাঁড়িয়ে।
‘আমার সাথে কথা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মা হয়ত ভেবেছে ওটা লিখলে সত্যি সত্যি কাজ হবে। তাই ওটা লিখে গ্রূপে লিখে দিয়েছে। তারপরে আমাকে ফোন করে বলে ‘বাবু, তুই যেটা বললি, সেটা গ্রূপে দিয়ে দিয়েছি। ব্যাস, ঝামেলা শেষ।’ এবারে বোঝ তাহলে অবস্থাটা।’
আমি আর থাকতে না পেরে হো-হো করে হাসতে হাসতে বললাম, ‘তাহলে কি আমাদের পুপিমাসি এখন পুপ-মাসি হয়ে গেল বলছ?’
দাদাও হাসতে হাসতে বলল, ‘সেটাই বাকি ছিল রে।’
গল্পটা শেষ করে সিগারেটটা ফেলে সান্যালদার দিকে তাকালাম। “কী বুঝলে গুরু?”
“মাইরি, তোমার মাসি ধন্য। ওঁর পায়ের ধুলো একটু এনে দিও মাইরি।” সান্যালদা কপালে দু’হাত ঠেকিয়ে বলল।
“তার চেয়ে সেই ফটোটা তোমাকে ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছি। সাত দিনের মধ্যে সুখবর –”
“চুপ, চুপ, আর একটা কথা নয়, আর একটাও কথা নয়।” বলতে বলতেই সান্যালদা চেয়ার থেকে উঠে অফিসের দিকে দৌড় লাগাল। পুপ-এর বেগ এসে গিয়েছিল হয়ত, কী জানি।
লেখক পরিচিতি : অভীক সিংহ
গল্পটির লেখক ড: অভীক সিংহের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। পেশায় অর্থনীতির অধ্যাপক এবং গবেষক, যুক্ত আছেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, বর্তমান বাসস্থান চীন। তবে ভালবাসাটা আজও লেখালিখি, পেন্সিল স্কেচ, যন্ত্রসংগীত, এবং নিত্যনতুন রান্নাবান্নার সাথেই রয়ে গিয়েছে। প্রথম বই "R.E.CALL: এক Recollian-এর গল্প" প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। দাদুর হাত ধরে কবিতা দিয়ে লেখালিখির সূত্রপাত হলেও এখন প্রবন্ধ এবং গল্পতেই মনোনিবেশ করেছেন।
বাপরে কি কান্ড।
একেবারে ল্যাজেগোবরে দশা আর কি !!!