লেখক : সঞ্জয় দাস
এক
আমি অমল। এইটা আমার জীবনের একটা ছোট্ট সত্যি ঘটনা।
মাস তিনেক আগে আমার সাথে অনুমিতার বিয়ে হয়েছে। অফিসের একটি বিশেস কাজে আমাকে ওড়িষ্যার কটকে যেতে হবে।
বাড়িতে নতুন বৌকে রেখে আমি চললাম কটকের উদেশ্যে। আমার আর অনুর দুজনের মন ই খারাপ। তবে যাবার সময় অনুকে কথা দিয়ে গেলাম যে, কিছুদিন পর ওকেও নিয়ে যাবার চেষ্টা করবো। অফিসের কাজ আর ওড়িষ্যা ঘোরা দুটোই হয়ে যাবে।
দুই
আজ সকালেই আমি কটকের চৌদ্বার এসেছি। খুব ঠান্ডা পড়েছে আজকে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এতটা ঠান্ডা আমরা কলকাতার লোকরা এক্সপেকট করি না।
সুন্দর একটা দুই কামড়ার গেস্ট হাউস আমার জন্য বরাদ্দ করেছে কোম্পানি র থেকে। দুটো রুমই খুব বড়ো, আর রুম দুটোর মাঝে একটা দরজা আছে। ভিতরের ঘরের সাথে বার্থরুম আর একটা বারান্দা আছে। সকাল আর রাতের খাবার খেতে সামনেই একটা বড়ো হোস্টেলের যেতে হবে আর দুপুরের খাবার কোম্পানিতে।
আজকে আমি আর কোম্পানিতে কাজে যাইনি। সারাদিন গেস্ট হাউসেই বিশ্রাম করে আর টিভি দেখে কাটিয়ে দিয়েছি।
অনুর সাথেও অনেকক্ষণ ফোনে কথা হলো। অনু আসার জন্য জেদ ধরে বসলো। আমি তাড়াতাড়ি কোনো একটা ব্যবস্থা করবো বলে আশ্বাস দেবার পর অনু থামলো।
তিন
আজকে সকালের খাবার খেয়ে, আমি কোম্পানিতে কাজে গেলাম আর সবার প্রথমে গিয়ে অনুর এইখানে আসার সব ব্যবস্থা ঠিক করলাম। দুদিন পর ট্রেন হাওড়া থেকে। কোম্পানিতে এসে কাজ যা বুঝলাম, তাতে দিন দশের মতো সময় লাগবে।
দুপুরের খাবার পর অনুকে ফোন করে ওর আসার সব কিছু জানালাম। অনু আজকে খুব খুশি, কারণ বিয়ের পর কাজের চাপে ওকে নিয়ে কোথাও যেতে পারিনি।
কাজ শেষ করে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছিলো, তাই মেসে খাবার খেয়ে একবারে গেস্ট হাউসে আসলাম।
চার
আজকে সকালে অনু এসে পৌঁছিয়েছে। অনু আর আমি দুজনে খুব খুশি। অনু আসাতে আমরা গেস্ট হাউসে খাবার করে খাবো ঠিক করেছিলাম। অনুকে সব কিছু দেখিয়ে আমি কোম্পানিতে কাজে চলে গেলাম।
দুপুরের খাবার খেতে এসে দেখলাম অনুর মন ভালো না। ওকে জিজ্ঞাসা করাতে, অনু বললো ও কিছু না, সবাইকে ছেড়ে এসেছি তো তাই মন ভালো না আর তুমিও তো সারাদিন কোম্পানির কাজ এই ব্যাস্ত। এইদিকে আমাকে আবার কাজে যেতে হবে তাই আর কথা না বাড়িয়ে আমি কোম্পানিতে চলে গেলাম।
একটু তাড়াতাড়ি কোম্পানি থেকে গেস্ট হাউসে ফিরে দেখি অনু ঘরে নেই। ও তো এইখানের কিছুই চেনে না, তাহলে কোথায় গেলো অনু, মাথায় কিছু আসছিলো না, এমন সময় দেখি মেসের রাধুনি গরনায়ক দাদা এসে বললো “স্যার, ম্যাডামকে পুলিশ আউটপোস্টে আটকিয়ে রেখেছে, আমি কোম্পানিতে লোক পাঠিয়াছিলাম কিন্তু আপনাকে ওইখানে পাওয়া যায়নি, তাই আমি গেস্ট হাউসে যাচ্ছিলাম খবরটা জানাতে, আপনি তাড়াতাড়ি আউটপোস্টে যান, আমি শ্রীধর বাবুকে জানাচ্ছি।” গরনায়ক দাদা আমাকে খবরটা দিয়ে চলে গেলো শ্রীধর বাবুর গেস্ট হাউসে। শ্রীধর বাবু কোম্পানির এডমিন এর কাজ করে।
পাঁচ
গরনায়ক দাদার কথা মতো পুলিশ আউটপোস্টে গিয়ে বড়োবাবুর সাথে দেখা করে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম ” অনুমিতা নামে কোনো মহিলাকে কি আপনারা আজকে গ্রেফতার করেছেন, উনি আমার স্ত্রী, কি অপরাধে ওনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানাতে পারি ” একসাথে এতগুলো কথা বলে থামলাম।
বড়োবাবু আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো, ” আমি ইন্সপেক্টর অনাদি দাস। আর অনুমিতা রায়কে আমরা গ্রেফতার করেছি। আপনি কি জানেন, এই পুরো এলাকাটাই মাওবাদী অঞ্চল। আপনার স্ত্রী এইখানে আউটপোস্ট এর ফটো তুলছিলেন, আর আমাদের কাছে খবর ছিলো যে এইখানে কোনো মহিলা মাওবাদী গা ডাকা দিয়ে আছে, আর ওনার কাছে কোনো ই.ডি. কার্ড ও নেই যা কিনা প্রমান করে যে ওনি কোনো মাওবাদী না উনি অনুমিতা রায়। তাই উনি আমাদের হেফাজতে আছে।”
ইন্সপেক্টর দাসকে সব ডকুমমেন্ট দেখিয়ে আর সব বুঝিয়ে বলার পর, উনি অনুকে ছাড়বার জন্য রাজি হলেন।
ইতিমধ্যে শ্রীধর বাবুও আউটপোস্ট এ এসেগেছে।
কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে অনু বার হয়ে আসলো আর আমাকে সামনে পেয়ে কান্নাকাটি করতে লাগলো।
আমি আর শ্রীধর বাবু অনেক বোঝাবার পর অনু কান্না থামলো।
শ্রীধর বাবুও আমাদের সাথে গেস্ট হাউস অবধি আসলো। এতটা রাস্তা অনু একটাও কথা বলেনি।
শ্রীধর বাবুও যাবার আগে টাউনশিপের মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়ে বিদায় নিলো।
আমারা ঘরে আসার পর গরনায়ক দাদা আসলো আর আমাদের রাতের খাবার দিয়ে গেলো, আর বললো যে আজকে আর বৌমনিকে কিছু রান্না করতে হবে না, তোমরা খেয়ে নিয়ে বিশ্রাম করো।
অনু এতক্ষন পর কথা বললো, ” আমি কিছু জানতাম না, সারাদিন এতবড় ঘরে একা ভালো লাগছিলো না, আর আমার কেমন ভয় করছিলো কেও জানো সব সময় আমাকে দেখছে। আমি আর এইখানে থাকবো না, তুমি আমার কলকাতা যাবার সবকিছু ঠিক করে দাও, আমি আর থাকবোনা।”
আমি বললাম এত বড়ো বাড়ি তাই তোমার এমন মনে হচ্ছে, ঐসব কিছু না, তুমি খেয়ে রেস্ট নাও সব ঠিক হয়ে যাবে, আর রবিবার তো আমরা ঘুরতে যাবো, তুমি কোনো চিন্তা করো না।
সব কিছু শুনে অনু কেমন একটা মিতরাজি হলো।
আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
হঠাৎ রাতে অনুর চিৎকারে ঘুম ভাঙলো আমার, তাড়াতাড়ি লাইট জালিয়ে দেখি, অনু বিছনার উপর বসে আছে।
আমি অনুকে বললাম, কী হয়েছে তোমার, এমন করে চিৎকার করলে কেন?
অনু কেমন যেন গোঁগাতে গোঁগাতে বললো, “আমাদের রুমের দরজাতে কেউ খুব জোরে জোরে ধাকাচ্ছিলো, আর আর আমার কানের কাছে এসে বললো, এইখান থেকে পালিয়ে যেতে, নাহলে আমি মারা যাবো। এইসব কী হচ্ছে অমল, আমার কিছু ভালো লাগচ্ছে না”
আমি রুমের দরজা, সদর দরজা সব গিয়ে দেখে এসে বললাম যে সব দরজায় তো ভিতর দিয়ে বন্ধ ছিলো, কারোর আসা যাবা সম্ভব না। তুমি ভুল শুনেছো। ক্লান্ত থাকলে অনেক সময় ঘুম আসে না, আর তুমি সব উল্টোপাল্টা চিন্তা করছো, তাই তুমি ঐসব শুনতে পেয়েছো। আমি এতদিন এইখানে আছি কোনো কিছু শুনিনি।
অনু আমার কোনো কথায় শুনতে চাইলো না, আর অনু কলকাতা ফিরে যাবার জন্য পিরাপিরি করতে লাগলো, আমি কালকে ওর ফিরে যাবার সব ঠিক করে দেবো বলার পর, অনু আমার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেলো, আমারও কখন যেনো চোখ লাগে গেলো।
ঘুম ভাঙলো সদর দরজা ধাকাবার শব্দে। আমার আগে অনু ভয় পেয়ে উঠে বসলো। আমি দেয়াল ঘড়িতে দেখলাম সকাল ৭ টা।
ছয়
দরজা খুলে দেখলাম, কোম্পানি থেকে একজন এসেছে, আমাকে এখুনি যেতে হবে একটা জরুরি কাজে। আমি ভিতরে গিয়ে অনুকে বললাম যে আমি কোম্পানিতে যাচ্ছি আর দুপুরে আসার সময় রাতের কলকাতা যাবার বাসের টিকিট করে আনবো।
অনু মাথা নাড়িয়ে আমাকে অনুমুতি দিলো।
আমিও তাড়াতাড়ি কাজে বার হয়ে গেলাম আর যাবার সময় গরনায়ক দাদাকে অনুকে দেখতে বলে গেলাম, কালকে রাতের কথা বলার সময় ছিলো না।
কোম্পানিতে গিয়ে সব কাজ শেষ করে রাত্রির বাসের টিকিট করে গেস্ট হাউস ই ফিরে আসলাম।
আমি আর অনু দুপুরের খাবার খেয়ে অনু ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম।
তারপর আমি মেসে গিয়ে গারনায়েক দাদাকে কালকে রাতের সব কিছু খুলে বললাম, গরনায়ক দাদা কেমন জানো অন্যমনস্ক হয়ে বললো “ওইসব কিছু না, কালকে বৌমনির উপর এত দখল গেছিলো তাই ওইসব শুনেছে। ফাঁকা জায়গা, এত বড়ো বাড়ি, ক্লান্তি সবকিছু মিলিয়ে বৌমনি ভয় পেয়েছে। তুমি বুঝিয়ে বললে বৌমনি ঠিকই বুঝতে পারবে।”
আমি তারপর অনুর যাবার খবরটা দিয়ে গেস্ট হাউসে ফিরে আসলাম।
অনুকে আরো একবার বোঝাবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোনো ফল হলো না।
সাত
রাতের বাসে অনুকে উঠিয়ে দিয়ে গেস্ট হাউসে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছিলো। গেস্ট হাউসের সব দরজা বন্ধ করে নিজের খাটের বসে এসে বসলাম। চারিদিক পুরো নিস্তদ্ধ, আমার ঘরে একটা ছোট্ট আলো জ্বলছে। অনু ফিরে যাবাতে আমার মনটা খারাপ, কেবলই ওর কথা মনে হতে লাগলো।
বসে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না। আমার ঘুম ভাগলো অনুর চিৎকারে, হুড়মুড়িয়ে খাটের উপর উঠে বসে দেখি, কেউ কোথাও নেই। ঘরের আগের মতো নিস্তব্ধতা। মনে মনে ভাবলাম তাহলে কি অনুর কোনো বিপদ হলো, এমন সময় ঘরের দরজায় করা নাড়ার আওয়াজ পেলাম। কিন্তু আমি তো সদর দরজা বন্ধ করেছি, ঘরের দরজাও বন্ধ। খাট থাকে নেমে আলো জ্বালিয়ে সব দেখলাম বন্ধ ছিলো তো। দেওয়াল ঘড়িতে দেখলাম রাত ১ টা, এত রাতে কে আসবে। সদর দরজা খুলেও কোনো কিছু দেখতে পেলাম না।
সদর দরজা বন্ধ করে, ঘরে দরজাটা খুলে খাটে গিয়ে বসলাম।
আবার সেই করা নাড়ার আওয়াজ এইবার সদর দরজাতে। একবার না পর পর তিনবার।
তাড়াতাড়ি গিয়ে সদর দরজা খুলে, কিছু দেখতে পেলাম না। এইবার আমারও ভয় করতে লাগলো, এমন সময় আরো একটা শব্দ পেলাম যা আমার রক্ত হিম করে দিলো, ঘরের ছাদে কে যেন হাটছে আর আমার সদর দরজাতে ঘন ঘন করা নাড়াবার আওয়াজ, আর যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো, কোনো উপায় না পেয়ে, মার কথা মনে পড়লো, মা বলতো কোনো বিপদে পড়লে একমনে তারকব্রহ্ম নাম করতে, সেইমতো আমি ঘাটের উপর জড়োসড়ো হয়ে বসে তাকরব্রহ্ম নাম করতে লাগলাম, প্রায় ২ ঘন্টা পর ধীরে ধীরে আবার সব নিস্তব্ধ, নিঃঝুম হলো।
আমি অনেক চেষ্টা করেও আর ঘুমাতে পারলাম না।
আট
পরদিন সকালের আলো ফুটতেই আমি তৈরী হয়ে গেলাম, দাদার কাছে গিয়ে সবকিছু বললাম। আমার এমন অবস্থা দেখে, গরনায়ক দাদা বললো, “তুমি কিছু মনে করো না আমি এইসব বিষয় কিছু বলতে পারবো না, তুমি যত তাড়াতাড়ি পারো এইখান থেকে চলে যাও।”
আমি অনেকবার এইসব কিছুর কারণ জানতে চাইলাম, কিন্তু উনি কিছুতেই কোনো কিছু বলতে রাজি হলো না।
অনেকক্ষণ পর গরনায়ক দাদা বললো, “আমি তোমাকে এইসব কথা বলেছি যদি শ্রীধর বাবু বা কোম্পানির কোনো লোক জানতে পারে তাহলে আমার আর চাকরি থাকবে না।
গরনায়ক দাদার কোনো ভয় নেই বলে আশ্বস্ত করার পর, দাদা আমাকে বললো
“তুমি আজকে রাতে আমার ঘরে আসো, আমি তোমাকে সবকিছু বলবো।”
গরনায়ক দাদাকে বিদায় জানিয়ে আমি কোম্পানিতে গিয়ে কলকাতা ফিরে যাবার দরখাস্ত করে, পরদিনের কলকাতা ফিরবার টিকিট করে আমি গরনায়ক দাদার ঘরে ফিরে আসলাম। এইখানে দাদা একাই থাকে, পরিবারের সবাই ভদ্রকে থাকে।
এর মধ্যে অনুর সাথেও কথা হয়েছে, অনু ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছেছে, আমার কালকে রাতের কথা আর অনুকে জানালাম না।
এরমধ্যে দাদাও এসে পড়েছে। আমি আর দাদা রাতের খাওয়া সেরে, ছাদে গিয়ে বসলাম, আজকে পূর্ণিমা, গোটা ছাদটা আলোতে ভোরে আছে, গরনায়ক দাদা তার কথা শুরু করলো। দাদার সব কথা শুনে আমার খুব ভয় লাগলো, আর ভাবলাম এইবার ঠাকুরের কৃপাতে খুব জোর বেঁচে গেছি।
সবকথা শুনে আমার কলকাতা ফিরে যাবার কথা গরনায়ক দাদাকে জানিয়ে, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম, আর পরদিন সকলে কোম্পানি তে না গিয়ে ব্যাগ নিয়ে সোজা কলকাতা বাসস্ট্যান্ডে চলে আসলাম আর রাতের বাস ধরে সোজা কলকাতা।
নয়
কলকাতা ফিরে আসার পর, সেই রাতের কথা আর গরনায়ক দাদার থেকে জানতে পাড়া সেই সত্যি, আমি অনুকে আজ পর্যন্ত জানাতে পারিনি।
গরনায়ক দাদার থেকে সেইদিন রাতে আমি যা শুনেছিলাম তার সারাংশটা অনেকটা এইরকম,
” আমি কাজে যাবার ঠিক চার বছর আগে ওই গেস্ট হাউসে বিমল জানা আর তার সদ্য বিবাহিত বৌ মৌবুনি জানা, ওই খানে থাকতো। তারাও এসেছিলো কলকাতা থেকে। বিমল আর মৌবুনি একদম লোকজনের সাথে মিশতো না। ওনারা আসার দিন দশ পর, একদিন ঘুরতে যায়।
এরপর থেকেই বিমল বাবুকে একা দেখা যেতো আর কোনো লোক যদি ওনার স্ত্রী কথা জিজ্ঞাসা করতো, উনি বলতেন মৌবুনি কলকাতাতে ফিরে গেছে।
এরও দিন সাতকে পর বিমল বাবুও গেস্ট হাউসে তালা বন্ধ করে, চাবি শ্রীধর বাবুর কাছে দিয়ে কলকাতা ফিরে যায়।
এর দুইদিন পর মলয় হালদার নামক একজনের নামে এই গেস্ট হাউসে বুক হয়।
রুম পরিষ্কার করার জন্য ঘর খুলতেই, এক বিষাক্ত গন্ধে পুরো জায়গা ভরে যায়।
কোম্পানির জমাদার সুরোজ তাড়াতাড়ি গিয়ে শ্রীধর বাবুকে জানায়। শ্রীধর বাবু, সুরোজ আর গরনায়ক দাদাকে নিয়ে গেস্ট হাউসের বার্থরুমের বার্থটব থেকে মৌবুনির পচা, গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। এর কিছুদিন পর পুলিশ বিমল বাবুকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে। আরও জানা যায় যে মৌবুনি দেবী, বিমল বাবুর স্ত্রী ছিলেন না।
আর এরপর থাকে ওই ঘর কোম্পানি আর কেউকে দিত না, আমি চার বছর পর আবার থাকতে গেছিলাম।
মৌবুনির আত্মা হয়তো অনুকে বা আমাকে কিছু বলতে চাইছিলো।
লেখক পরিচিতি : সঞ্জয় দাস
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার। গল্প লিখতে আর পড়তে লহুব ভালোবাসি।
খুবই সুন্দর লিখেছেন। পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আরো লিখা চাই। ধন্যবাদ।
Valo hoeache