লেখক : শম্পা সাহা
নো ম্যান’স ল্যাণ্ড – প্রথম পর্ব
(অন্তিম পর্ব)
বসিরহাট স্টেশনে মাকে ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিল শুভ। ট্রেন আসছে বিশ মিনিট বিলম্বে। প্ল্যাটফর্মের এক কোণে, ডুমুর গাছটার ছায়ায় বসে আছে দু’জন ভবঘুরে। তাদের একজন তারই সমবয়সী কিশোর। তার উপর চোখ আটকে যায় শুভর। মুখটা যেন খুব চেনা। মনের আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে মুখটা মনে করতে থাকে সে। হঠাৎ সেই ছেলেটি উঠে দাঁড়ায়। এরপর কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে হাঁটতে হাঁটতে তাদের কাছে এসে দাঁড়ায়। শীর্ণ হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চায়। না, ভুল করছে না সে। সেই কণ্ঠস্বর! সেই চোখ! তাদের কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র শমিত। মায়ের গর্জে ওঠা কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়, “এই টাকা দিয়ে তো গাঁজা খাবি। দূর হ চোখের সামনে থেকে।”
ফিরে যেতে পা বাড়ায় শমিত। শুভ বলে উঠে, “মা, ও শমিত। আমার সহপাঠী, আমার কলেজের বন্ধু।”
ঝাঁঝালো কণ্ঠস্বর মায়ের, “ও কেউ না, ও মাদকাসক্ত, ভবঘুরে।”
শুভ পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় শমিতের সামনে। তারপর নির্দ্বিধায় ওর হাতটা ধরে বলে, “চিনতে পারছিস? আমি শুভ।”
ভাবলেশহীন চোখে, শমিত তাকিয়ে থাকে শুভর দিকে। দ্রত পায়ে মা এগিয়ে এসে সজোরে এক চড় মারে শুভর গালে। “বলছি না, কথা বলবি না ওর সাথে। এরা সমাজের কীট, ইতর।”
ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত ওরা দুজনে। মা হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় শুভকে। হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ঢোকে প্ল্যাটফর্মে।
প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হয়ে শমিত হাঁটছিল আনমনে, উদ্দেশ্যহীনভাবে। মাথার উপরে বৈশাখের খর রোদ। শুভর মায়ের কথাগুলো মস্তিকের কোথাও যেন কোন এক কোণে গিয়ে সজোরে তাকে ধাক্কা দিতে লাগল, এবং সেখান হতে উদ্ভূত চিন্তা তার সমস্ত হৃদয়কে আচ্ছন্ন করে দিল। একদিন বিজ্ঞানের তুখোড় ছাত্র ছিল সে, কেউ কোনদিন টেক্কা দিতে পারেনি তাকে। কত ভাল ফল তার মাধ্যমিকে। বাবা, মা, স্কুলের শিক্ষক – সকলের কত ভালবাসা, কত স্নেহে সিক্ত ছিল তার জীবন। ভবিষ্যতের কত আশা ছিল তাকে নিয়ে। কোথায় হারিয়ে গেল সে সব স্বপ্ন? কে নামিয়ে নিয়ে এল তাকে পঙ্কিলময় এই জীবনে? এতটাই ঘৃণিত সে আজ, যে কেউ তার সাথে কথা পর্যন্ত বলতে চায় না! এই পরিচয় আজ তার! সত্যিই তো, সে আজ ছিনতাইকারী! সে ভিক্ষুক! সে মাদকাসক্ত! সে সমাজের কীট। আর ভাবতে পারছিল না শমিত। শরীরটা তার কাঁপতে শুরু করল। মাথার ভিতরে অসহ্য যন্ত্রণা। যেন এক হিংস্র, ক্ষুধার্ত বাঘ। হেরোইন চাই তার, হেরোইন। ঘুরতে ঘুরতে সে ঠিকই পৌঁছে গেল তার ডেরায় – সেই অশ্বথ গাছের নিচে। এরপর, হাতে এক ডোজ বেশি ইনজেকশন নিয়ে সে তলিয়ে যেতে লাগল, হারিয়ে যেত লাগল কষ্টহীন এক জগতে।
সময়টা অপরাহ্ন। ক্ষণিকের জন্য নারকেল আর তালগাছের মাথায় এসে পড়েছে শেষ বেলার রোদ। পাঁচ-সাত দিন পর আজ কিছুটা হলেও গরম কম। দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস বইছে। শমিতকে সুধা খুঁজে পেল প্ল্যাটফর্মের এক কোণে, ডুমুর গাছের নিচে। হাঁটু দু’টো বুকের কাছে নিয়ে শুয়ে আছে। রুগ্ন, শীর্ণ। এই প্রচণ্ড গরমেও তার পরনে ফুল শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, ধুলো মাখা, ময়লা মলিন। প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হয়ে বাড়িতে না গিয়ে শুভ গিয়েছিল শমিতের বাড়িতে। অমিত স্কুলে পরীক্ষার ডিউটিতে ছিল। কথাটা শোনামাত্র বিন্দুমাত্র সময়ক্ষেপণ না করে, বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে সুধা। হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে শমিতকে ডাকতে লাগল সে। বিশ্রী এক গন্ধ ঘিরে আছে ওকে। ইতিমধ্যে দু’-একজন লোক জমতে শুরু করেছে আশেপাশে। গুঞ্জন চলছে। একজন এসে তুলে ধরে দাঁড় করিয়ে দিল শমিতকে। এক মাথা ঝাঁকড়া, রুক্ষ চুল। মুখভর্তি দাড়ি। সেই দাড়ি আর চুলের মাঝ থেকে নিষ্প্রভ, ম্লান, ঘোলাটে চোখ দিয়ে মূঢ়ের মত সে তাকাতে লাগল আশেপাশে। তারপর, এক সময় তার দৃষ্টি নিবদ্ধ হল সুধার দিকে। সুধা তার দুই হাত দিয়ে, শমিতের দুই কাঁধ ঝাঁকি দিয়ে ব্যাকুলভাবে বলতে লাগল, “চিনতে পারছিস শমিত? আমি তোর দিদি।”
আবছা আবছা অন্ধকারে, ঘোর লাগা চোখে, শমিত আরও কিছুক্ষণ একদৃষ্টে চেয়ে থাকল সুধার মুখের দিকে। তারপর, একসময় সুধার বুকে মুখ রেখে বলল, “আমি বাঁচতে চাই দিদি। আমাকে বাঁচা।”
অনেক দিন পর, আবার মিলন ঘটল ভাইবোনের। দুজনের চোখেই প্লাবিত হচ্ছে অশ্রু। তবে এই অশ্রু আনন্দের না বিষাদের, কেউই তা অনুভব করতে পারল না। শমিত ঘরে ফিরে আসার পর মা এখন অনেকটাই শান্ত। তাঁর বিষণ্ণ চোখে আনন্দের আভাস। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা, দুঃখকষ্ট, ব্যথাবেদনার পর ঈশ্বর হয়ত কারও প্রতি করুণা করেন। আবার, কারও প্রতি তাঁর করুণার হাত প্রসারিত করতে একটু বেশিই কার্পণ্য করেন। এই পরিবারটির উপর করুণা করতে গিয়ে সেই কার্পণ্যই করলেন তিনি। সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। কেবলমাত্র দুপুরের খাওয়া শেষ হয়েছে, দরজায় করাঘাত। দরজা খুলতেই দেখা গেল থানার দারোগা, হাতে সার্চ ওয়ারেণ্ট। গোপন সূত্রের খবর আছে তাদের কাছে, মাদক চোরাকারবারের সাথে জড়িত অমিত। পাঁচজন এসেছিল ওরা। দারোগা সাহেব দাঁড়িয়ে রইলেন। মাদক খোঁজার নামে দু’জন সকল জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলল ঘরময়। বাকি দু’জন ঘরের বাইরে, উঠোনে। উঠোনের বেল গাছটার নিচ থেকে বের করল কয়েক বোতল ফেনসিডিল আর এক প্যাকেট হেরোইন। হতভম্ব সবাই! মা, ঠাকুমার কত কান্না, কত অনুনয়-বিনয়, কত কিছু বোঝানোর চেষ্টা, কত কাকুতি-মিনতি, কত ভিক্ষা,প্রার্থনা, সব বিফলে গেল। অমিতকে ওরা থানায় ধরে নিয়ে গেল। সুজন মণ্ডলের শাসানি উপেক্ষা করে অমিত ক্লাসে সচেতন করতে চেয়েছিল ছাত্রদের। তাই এই প্রতিশোধ যে সূজন মণ্ডলের, সে কথা বুঝতে অসুবিধা হল না তার।
মাথার উপরে আবার আকাশ ভেঙে পড়ল। গতবারের লড়াইয়ে সুধার সাথে ছিল অমিত। কিন্তু এবারের লড়াইয়ে সুধা একা, সম্পূর্ণ একা। অমিতকে ওরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল মাসের চার তারিখে, স্কুলের বেতনটা তখনও হয়নি। বেতনটা পাওয়ার আশায় সুধা গিয়েছিল স্কুলে। আগে পরিচয় ছিল, সহকর্মীর বোন। কিন্তু সে পরিচয় এখন মুছে গেছে। বেতন তো নয়ই, একজন মাদক পাচারকারীর বোনের যে রকম অর্ভ্যথনা পাওয়ার কথা, অর্ভ্যথনা সেরকমই পেয়েছিল সে। দোকান থেকে বাকিতে জিনিসপত্র আনা শুরু হয়েছিল, দোকানীরাও এখন আর ধার দিতে চায় না। শমিত এখন বাড়িতেই আছে। নেশার দ্রব্যটুকু না পেলে তার শরীর বিদ্রোহ করে ওঠে। খুব কষ্ট হয় তখন ওর। হাতের কাছে যা পায়, আছড়ে ভেঙে ফেলতে চায় সে। দু’চোখ রক্তের মত লাল হয়ে উঠে। শরীর কাঁপে, কাঁপে নাক, ঠোঁট, দাঁত। মাথার চুল খামচে ধরে। শমিতের সেই কান্নাভরা আকুতি বার বার আঘাত করতে থাকে সুধাকে, “দিদি, আমি বাঁচতে চাই।” সুধা গিয়েছিল শহরের মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে। সেখান থেকে বলেছিল, “বাড়িতে সম্ভব না এক বছরের জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। ভর্তি করতে হবে।” সে চিকিৎসার ব্যয়ভারও যে অনেক বেশি। অমিতের সাথে দেখা করতে, প্রতিদিনই একবার করে থানায় যায় সুধা। শুধু থানা কেন? কত জায়গায় দৌড়তে হচ্ছে তাকে। গিয়েছিল মোক্কদমা সাহেবের কাছে। সব শুনে তিনি বলেছেন, “আদালত দেখবে বাড়ির উঠোনের মাটির নিচ থেকে হেরোইনের প্যাকেট, ফেনসিডিলের বোতল পাওয়া গিয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ যা আছে, জামিন পাওয়া এত সহজ নয়।”
দিনকয়েক পর মামলা কোর্টে উঠবে। চার-পাঁচজন ক্রিমিনাল লইয়ারের খোঁজ নিয়ে এসেছে সুধা। লইয়ার মানেই তো টাকার শ্রাদ্ধ। মা, শমিত, দাদা – সবাই যে এখন তার উপর নির্ভর করে আছে, সকলের আশ্রয়স্থল এখন সে। জলভরা চোখে মা তাকিয়ে থাকে তার দিকে। নির্বাক সে চাহনি যেন বলে, “কিছু একটা কর।” নিঃশব্দে সে হাত রাখে মায়ের কাঁধে। যেন, এটা তার প্রতি উত্তর, “আমি তো আছি।” কিন্তু, কোনকিছু ভেবেই কুলকিনারা করতে পারে না সে। ভিতরে ভিতরে অতল জলে যেন হাবুডুবু খায় সে। মামলা লড়লেও তো কোনদিনই এঁটে উঠতে পারবে না ওই সূজন মণ্ডলের সাথে। আদালতের রায়ে কয়েক বছরের জন্য দাদা চলে যাবে গরাদের ওপারে। কোর্টে ইন্সপেক্টর সাহেব বলছিলেন, “ভাল হয়, প্রতিপক্ষ যদি মামলা তুলে নেয়।”
কোন কিছু উপায় না পেয়ে মা আর সে একদিন উপস্থিত হয় সূজন মণ্ডলের বাড়িতে। সূজন মণ্ডল ব্যস্ত মানুষ, অনেকক্ষণ বসে থাকতে হল তাদের। জল, মিষ্টি, চা, বিস্কুট এল। তারও পরে এল সূজন মণ্ডল। কোন আশা বা নির্ভরতার কথা কিছুই শোনাল না সে। তবে কথা বলার সময় সুধা লক্ষ্য করল, সূজন মণ্ডলের চোখ আটকে আছে তার শরীরে, তার বুকের উপর। অথচ বুকের ওড়নাটা ঠিক জায়গাতেই আছে তার। চলে আসার সময় অকস্মাৎ পিছন থেকে সূজন মণ্ডলের কন্ঠস্বর শোনা গেল, “আপনার ফোন নম্বরটা রেখে যান। দেখি কি করা যায়?” সূজন মণ্ডলের হাসিমাখা মুখটা স্থির হয়ে রইল সুধার উপর। সুধার মনে হ’ল, বড় কুৎসিত, ভয়ানক, হিংস্র, সে হাসি।
গানের টিউশনি থেকে ফিরছিল সুধা, সকাল থেকেই চাপ চাপ মেঘ জমা হয়ে আছে আকাশে। গতকাল ঝড় উঠেছিল এই সময়ে। হয়ত আজও ঝড় উঠবে, হয়ত বা বৃষ্টি। আজ বুধবার। দু’দিন আগে, রবিবার, নিস্তব্ধ দুপুরে ফোন এসেছিল সুধার কাছে। সূজন মণ্ডলের ফোন। বলেছিল, “রাতে গ্রামের বাইরে কোন হোটেল গিয়ে তাকে খুশি করলে অমিতের মামলাটা সে তুলে নেবে।”
কথাটা শুনে, নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনি সুধা। কি সীমাহীন স্পর্ধা! রাগে, দুঃখে, কষ্টে, অপমানে সমস্ত চেতনা অবশ হয়ে এসেছিল তার। কোনও মতে খাটের বাজুটা ধরে নিজেকে সামলেছিল সে। তারপর দু’রাত কেটে গিয়েছে, ঘুম আসেনি চোখে। তার বড় বড় গভীর কালো চোখের নিচে কে যেন কালির উপরে আরও কালি লেপে দিয়েছে। মানুষের মনুষ্যত্বটুকু হারিয়ে গেলে যে রূপটা বের হয়ে আসে, সে কি এতটাই কদর্য? নাকি, এর চেয়েও হিংস্র, কুশ্রী রূপ হয় মানুষের? দমকা একটা বাতাস উঠল, সাথে ধুলো ও শুকনো পাতা। চোখে ধুলো এসে পড়ল সুধার। আবার বাতাসের ঘূর্ণি। পথ ছেড়ে পাশের নিমগাছটার নিচে এসে দাঁড়াল সে। বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে। চেতনার মধ্যে আবারও ফিরে আসে সূজন মণ্ডলের সেই কদর্য কথা। কয়েকফোঁটা বৃষ্টি পেয়েই তপ্ত মাটির সোঁদা গন্ধ নাকে আসছে। ইতস্তত পাখি উড়ছে। হঠাৎই একটা চিল উচুঁ থেকে নেমে এল তাদের মাঝে। হয়ত কোন পাখি ধরতে চাইছিল, না পেরে আবার উচুঁতে উঠে গেল। কালো মেঘ চিরে হঠাৎই আলোর তীব্র ঝলকানি, তারপর মেঘের গর্জন। সন্ধ্যা নামবে কিছু পরেই। তারপর রাতের অন্ধকারে তলিয়ে যাবে পৃথিবী, সেই অন্ধকারের মতই নিকষ কালো অন্ধকার এখন তার সামনে, বিন্দুমাত্র আলোর দিশা নেই। থানায় মুক্তির জন্য দাদার অপেক্ষা, শমিতের বাঁচার আর্তনাদ, মায়ের বিষণ্ণ মুখ প্রতিনিয়ত দগ্ধ, ক্ষতবিক্ষত করছে তাকে। সূজন মণ্ডলের প্রস্তাব মেনে নিলে দাদার মুক্তি হবে, সেই মুক্তির পথ ধরে সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে, শমিত নতুন জীবন ফিরে পাবে। তবে কি এসব কিছুর কাছে তার দেহের শুচিতা নিতান্তই তুচ্ছ? অর্থহীন? বৃষ্টি থেমে গিয়েছে, তবুও নিমগাছটার নিচে দাঁড়িয়েই আছে সুধা। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে সে তার দুই হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে। এই মুষ্টিবদ্ধ হাত দিয়েই যেন সে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাইছে। অন্তরের রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে অন্তত একবার সে জ্বলে উঠতে চাইছে। বার বার করে ভাগ্যের কাছে হেরে না গিয়ে, ভাগ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একবার কি সে পারে না বিদ্রোহ করতে? কিন্তু, কী করবে কিছুই বুঝতে পারে না সে। জীবনের এক নো ম্যান’স ল্যাণ্ডে দাড়িয়ে শুধু হু-হু করে কাঁদতে থাকে সুধা।
লেখক পরিচিতি : শম্পা সাহা
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=1684099225747044&id=100024409471708&rdid=W9SCILjNJtQZF86D#