পরিবর্তনের হাওয়া

লেখক : অরিজিৎ লাহিড়ী

আগস্ট বিকেলের আলো ধীরে ধীরে গলে পড়ছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ধার ঘেঁষে—ঠিক যেমন গলে যায় স্কুল থেকে ফেরবার সময়ে মায়ের কিনে দেয়া আইস ক্যান্ডি, যেটা রাস্তায় চুষে খাওয়ার অনুমতি থাকে না, অথবা মেঘলা দিনের স্মৃতিতে হারানো প্রথম প্রেমের বিচ্ছেদ যন্ত্রণা। ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’—নামটা যেন এক স্নিগ্ধ ছলনা। একটা ক্যাফে, যার দেওয়ালে বিটলস থেকে বজরংবলি অবধি, সবারই কোনও না কোনও বাণী লটকে আছে। বাইরের রোদের হলুদ ছায়া আর ভিতরের ডিম লাইটের মাঝখানে বসে থাকা কয়েকটা শরীর—কেউ প্রেমিক, কেউ প্রেমিকাও, কেউ স্রেফ পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া ওয়াই-ফাই ইউজার। কিন্তু প্রেম? ওটা কি আর এখন প্রেম থাকে? নাকি সেটাও একটা ইনস্টাগ্রাম ফিল্টার—এক্স প্রো ২—যা বাস্তবের মুখে পরিয়ে দেওয়া হয়, যতক্ষণ না ব্যাটারি ডেড। এই ক্যাফেতে বসে, কানে হেডফোন গোঁজা কেউ কেউ হয়ত ভেবে ফেলে—স্করপিয়ন্সের সেই গানে যেন আজও ভবিষ্যতের গন্ধ থাকে। ঠান্ডা যুদ্ধোত্তর বিশ্বে শান্তির বার্তা নিয়ে গাওয়া সেই গান, যার জন্ম হয়েছিল এক গ্রীষ্মের রাতে। মস্কো মিউজিক পিস ফেস্টিভ্যালের সময়ে মোস্কভা নদীর ধরে বসে, ব্যান্ডের ফ্রণ্টম্যান ক্লজ মেন লিখেছিলেন ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’ গানটা।

The world is closing in
And did you ever think
That we could be so close like brothers?
The future’s in the air,
I can feel it everywhere
I’m blowing with the wind of change…

ঠিক যেমন এখন ‘টার্গেট ফুলফিলমেন্ট’ শব্দটা বাতাসে ভাসে, তবে পারফিউমের মত নয়—প্রেশারাইজড গিল্টের মত। অরুণ চট্টোপাধ্যায়, বয়স তিরিশ পেরনো, মুখে সদ্য ট্রিম করা দাড়ি আর চোখে সেই ক্লান্তি, যা কে পি আই-এর পরের সপ্তাহে পিছু ছাড়ে না। একটা বড় ইভেণ্ট হসপিটালিটি কোম্পানির সেলস ডিরেক্টর, অথচ নিজের জীবনটাই যেন একটা ক্যান্সেল করা বুকিং—Client dropped off, reason: budget cut or broken trust. কর্পোরেট ফ্যাটিগে আক্রান্ত উত্তমের সকাল শুরু হয় গুগল ক্যালেন্ডার দিয়ে আর রাত শেষ হয় লিঙ্কডইন স্ক্রল করে—নিজেই নিজের প্রোফাইল দেখে দেখে ভাবেন—Is this the best version of me or just the best caption? তার ব্যক্তিগত জীবন? যেখানে ফলো-আপ শব্দটা এখন ভালবাসার চেয়ে বেশি ব্যবহৃত, যেখানে লাস্ট সিন থেকে ব্লু টিক—সবটাই রিপোর্টের মত পড়ে: ‘আনরিড’, ‘আনরিজলভড’, খুচরো প্রেম আর দামী বডি স্প্রে মাখা বার-কাউন্টারে ঝুলে থাকা কিছু শর্ট-টার্ম মুহূর্ত—সেগুলো এখন উত্তমের ফোল্ডারে পড়ে থাকে ‘এক্সপায়ার্ড লিডস’ নামে। প্রেম এখন আর নীলখামে আসে না, স্প্যাম ফোল্ডারে জমা পড়ে। আর প্রতীক্ষা? সেটা তো ড্রাফট হয়ে পড়ে থাকে, আর কখনো সেন্ড হয় না। তোমার প্রেমিক বা প্রেমিকা এখন অটো-রিপ্লাই দেয়: ‘আই অ্যাম আউট অফ ইমোশনাল অফিস।’ জাস্ট চিন্তা কর, জীবনটা একটা সিআরএম সফটওয়্যার, আর আমরা সবাই শুধু কনভার্সন রেট বাড়ানোর ছেঁড়াতাগা। মধ্যপদস্থ এক সেলস প্রফেশনাল সে, কিন্তু মধ্যপন্থা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নেই। বরং একধরনের শূন্যপন্থী সুর বাজে—যেখানে প্রেম মানে ‘পেন্ডিং ট্রান্সাকশন’ আর আবেগ মানে ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’। উত্তমের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রিত হলেও, অতীতের প্রেমময় মুহূর্তগুলো এখন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তার বেঁচে থাকা মানে প্রেজেন্টেশন, টার্গেট, ইন্সেনটিভ। কিন্তু জীবনের ড্যাশবোর্ডে প্রেমের কলামটা শূন্য।

এই শূন্যতার মধ্যেই একদিন এল রমা সেন। মধ্য কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালের সেবিকা, ক্লান্তির ফাঁকে লেখেন, আঁকেন, প্রেমে বিশ্বাস রাখেন না, আর নাট্যকার সফদর হাসমির ভাইঝি সাবা আজাদকে মনে মনে টপকাতে চান এক এগারো আঙুল বিশিষ্ট সিনেমার নায়কের র‍্যাডারে আসবার আবেগী অতি-উচ্চাকাঙ্ক্ষায়। তাঁর মধ্যেও শূন্যতা আছে, তবে সেটা অন্যরকম—নীরব, সংগঠিত, ক্যালিগ্রাফির মত সুচারু। ওদের প্রথম দেখা এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, আর রোজ কথা বলা শুরু হয় হাই-রেজোলিউশনের ভার্চুয়াল আলাপে। সুচিত্রার গড়পড়তা বাঙালি মেয়েদের তুলনায় বেশি উচ্চতা ওর চেহারাকে মনে রাখার মত করে তুলেছে। এর আগে অবশ্য এক হোয়াটস্যাপ গ্রুপে তাদের ভার্চুয়াল পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু আলাদা ভাবে কথা বলবার প্রয়োজন হয়নি।

একদিন সুচিত্রাই এগিয়ে এসে উত্তমের মেসেঞ্জারে বলে—হাই। কথোপকথন পৌঁছে যায় হোয়াটস্যাপের পার্সোনাল চ্যাট উইন্ডোতে। অরুণের টানটান কর্পোরেট গদ্য আর রমার সফট বাংলা প্রোজ—এই দুই মেজাজে মাঝেমাঝে শীতল যুদ্ধ, আর মাঝে মধ্যে উষ্ণ আপোস। ঠিক স্করপিয়ন্সের আরেকটা গানের মতই—

Let me take you far away
You’d like a holiday
Exchange the cold days for the sun
A good time and fun…

কিন্তু ছুটি কাকে বলে জানে না এই যুগ। প্রতিটা সম্পর্কই এখন ওয়ার্কিং ডে—হাঁপ ধরা ডেডলাইন আর ইমোশনাল ওভারটাইমে বাঁধা। অরুণ ভাবে, প্রেম আসছে—কাস্টমার কেয়ার টোনে, রিটার্ন পলিসিসহ। রমা ভাবে—আজ ওটিতে তিনজন মুমূর্ষু বাঁচিয়ে এসেছি, বাকি অনুভূতির জন্য ক্যুইজটাইমে আসুন। তবু একদিন ওদের দেখা হল। ‘উইন্ডস অফ চেঞ্জ’ ক্যাফেতেই। নব্বইয়ের বাংলা গানের ভেতর দিয়ে অতীতের মত কোন নস্ট্যালজিয়াতে ঢুকতে চাইছিল, কিন্তু ফিউচার-রেডি মনোবিজ্ঞান তাকে ফিল্টার করে ফেলল। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢুকে ওরা ফুটপাথ ঘেঁষা একটা টেবিলে বসল। অরুণ সল্টেড ফ্রেশ লাইম সোডা অর্ডার করল, আর রমা ব্রাউনি উইথ আইসক্রিম। ডায়াবেটিক অরুণ ডেজার্ট খেতে পারবে না, এটা রমা আগেই জানত। ফুটপাথ ঘেঁষা একটা টেবিলে বসে তারা। কথোপকথনের শুরুতে অরুণ জিজ্ঞেস করল, “হাইটটা দেখে নিয়েছেন তো?”
“দাঁড়িয়ে দেখিনি। যাওয়ার সময় বুঝে নেব।”
উল্টোদিক থেকে আসা উত্তরটাও অরুণের ডায়েটের মতই শর্করাহীন। দৈহিক উচ্চতা অরুণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সে অনেকটাই লম্বা। তবে, তার চাহিদার মাপকাঠি এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। অরুণ মৃদু হাসলেও তার আচরণগত কাঠিন্য সহজে চোখে পড়ে। খাবার অর্ডারের সময়েও তার সংক্ষিপ্ত কথায় যেন একটা ঔদ্ধত্যের আভাস। রমা জিজ্ঞেস করল, “সবসময়ই এমন কাঠখোট্টা হয়ে কথা বলেন? আপনার চেহারা দেখলেই বদরাগী মনে হয়।”
“সার্ভিস সেক্টরে মিষ্টি কথার কাজ খদ্দেরের পকেট পাতলা করা। আমার পেশাগত দায় ওখানেই সীমাবদ্ধ। অযথা সুগারকোট করবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা, যখন আমি বা আমরাই খদ্দের।”
অরুণের কথার ভেতরে যেন নির্লিপ্ত শূন্যবাদ একেবারে সি টি সি চায়ের সঙ্গে দুধের মত মিশে গেছে। এলোমেলো কথোপকথন চলল, কিন্তু কোন গভীর সংযোগ তৈরি হয়ে উঠল কী? ক্যাফেতে বাজছিল অনুপম রায়ের কণ্ঠ:

কোলাহলে মাথা তুলে হাঁটি
কানে লেগে থাকে তোমার গলার স্বর,
মোলায়েম রুমাল রোদে পরিপাটি
আমার প্রেমে লুকিয়ে ঈশ্বর।

গত চার-পাঁচ মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটস্যাপে বহু কথা হয়েছে, যেখানে সম্মতিগুলো লুকিয়ে, দ্বন্দ্বগুলো স্পষ্ট। আড্ডার ফাঁকে রমা বলেছে—আরো এক-দু’বার দেখা যেতেই পারে। তবে বছরের শেষেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মা-কে কথা দিয়েছি। অরুণ জানে, রমা খুঁজছে দায়িত্বশীল ও পত্নীনিষ্ঠ একজন সঙ্গী। অরুণের কাছে, বিয়েটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন সোলমেটকে খুঁজে পাওয়া, যেখানে প্রেম প্রাতিষ্ঠানিকতার ঊর্ধ্বে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান জেতে, সবসময়। অনুপমের গান বেজে চলেছে ব্যাকগ্রাউন্ডে:

হাওয়া তাকে এনে দিলো ডালপালা
আবছা হয়ে আসছে অহংকার,
ভালো লাগে পুতুল পুতুল এই খেলা
এর নাম কেউ রেখেছে সংসার,
তাই বারান্দায়,
কেউ পথ চেয়ে তোমার অপেক্ষায়।

উত্তমের সংসারবিমুখ মনও গানটার মতই আজ একাকিত্ব কাটিয়ে সংসারের দিকে পা বাড়াতে চাইছে কী? দেড় ঘন্টা কেটে গিয়েছে আলগা কথাবার্তায়। আসলে এই যুগে উচ্চতা শুধু শরীরের নয়, মানসিকতাও একটা স্কেল চায়। কথাবার্তার মাঝখানে দু’জনেই টের পায়, এখানে কোন হিউমার নেই, আছে কেবল হিউম্যান রেস—একটা ঠাণ্ডা লড়াই। অরুণের মেজাজ তাই খানিক অফিসের মতই পেশাদার, কথা সংক্ষিপ্ত, প্রেমের সম্ভাবনা অনিশ্চিত। রমা স্পষ্ট, স্থিতিশীল, আবেগ নিয়ন্ত্রিত, বাক্যালাপ অতিসংক্ষিপ্ত। ক্যাফের বিল মিটিয়ে মেট্রো পর্যন্ত অটোতে নীরব যাত্রা শেষে অরুণ শুধু বলল, “পৌঁছে জানাবেন কিন্তু।” রমা সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে বিদায় নিল। চাঁদনী চকে তার পানভোজনের কমরেড উত্তমের সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে অরুণের ফোনে একটি হোয়াটস্যাপ বার্তা এল। প্রেরকের নাম উল্লেখ না করলেও চলে। বার্তাটা এ’রকম:

I appreciate the time we spent together and getting to know you better. However, I think it’s important to be honest with you, and I didn’t feel a strong romantic connection between us. I believe it’s best for both of us to continue our search for someone who truly aligns with our feelings and values. I hope you understand, and I wish you all the best in finding the right person. Take care.

টেক্সটটা পড়ে নিজের মনে মৃদু হেসে উঠল। একদম জিপিটি-র মতন বানানো বার্তা, কিন্তু কতটা বাস্তব! এই যুগে প্রত্যাখ্যানও বোধহয় কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা হয়। মেট্রো থেকেই তার কমরেডকে ফোন করে বলল, “ব্রডওয়ে বারের নিচের তলায় ওয়েট কর।” প্রেম না হওয়ার ব্যর্থতা দু’পাত্তরে খানিক শোকপালন অথবা উদযাপন ডিমান্ড করে। তাই বহুদিন পর আজ উত্তম রক্তশর্করার হিসেব ভুলে গেছে। পানশালায় একটি ব্যান্ড কাকতালীয় ভাবে যে গানটির কভার গাইছে, তার নাম – ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’ !

The wind of change blows straight into the face of time
Like a storm wind that will ring the freedom bell for peace of mind
Let your balalaika sing what my guitar wants to say

রমার প্রত্যাখ্যানের কারণ জানার তাগিদ অনুভব করল না অরুণ। জীবনের প্রশ্নগুলো জটিল, উত্তর নেই। তার পরাজয়টা তো অরুণ লুকোচ্ছে না, কিন্তু ফ্লণ্টও করবে না। জীবনটা এখন একটা এক্সেল শীট—যেখানে লাভ-ক্ষতি গোনা হয়, প্রেমের জন্য কোন সেল বরাদ্দ নেই। কমরেডের সঙ্গে অনেকদিন পর মদ্যপান করতে বসে তার উপলব্ধি হল, মদ্যপান মুক্তির খোঁজ দেয় না, বরং মনকে আরও আবদ্ধ করে ফেলে। মাত্র দু’পেগের পরেই আড্ডা ছাড়ল সে। চাঁদনী চক থেকে একটু হেঁটে ডালহৌসির ইউকো ব্যাংকের সামনে থেকে শিয়ালদাগামী অটোতে উঠে কানে হেডফোন গুঁজে অরুণ স্পটিফাইতে ডুবে গেল। পাশের যাত্রীটি তাঁর ছেঁড়া লটারির টিকিট উড়িয়ে দিচ্ছিলেন হাওয়ায় —পরাজয়ের প্রতীক।

মধ্যবিত্ত জীবনে হারের শেষ নেই, অনেক সম্ভাবনাই সাপের গর্তে হারিয়ে যায়, আর অরুণ এগিয়ে চলে সেই চেনা একঘেয়ে পথ ধরেই। অরুণের মনে প্রশ্ন, এই মুহূর্তে রমা কী করছে? ‘মুভ অন’ করার রাস্তায় নতুন কাউকে খুঁজছে? রমার এক শুভাকাঙ্খী নাকি তাকে বলেছিল, “You deserve wayyyy better!” কিন্তু হয়ত রমা এখন আর কাউকেই খুঁজতে চায় না। প্রেম আর সংসারের মাঝে কোনটা তার নিয়তি, সে দ্বন্দ্বে সে নিজেই নিজেকে পালিয়ে যেতে বলছে।

রিক্সায় উঠতে গিয়েই অরুণ তার কাজের ফোনটা পেয়ে গেল। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে আসা ভরাট গলা জানান দিল, তার কাছ থেকে আগামীকাল বিশ লক্ষ টাকার চেকটা যেন সে কালেক্ট করে নেয় ইভেন্টের অগ্রিম ব্যবদ।

প্রেমিক হতে চাওয়া অরুণের জন্য সাফল্য আর পরাজয় কেবল তার ব্যক্তিগত; কিন্তু বেচুবাবু অরুণ যে পরাজয়কে জয় করতে চায়, সেটা তার পরিবার পরিজনকে নিয়ে এক সামগ্রিক পরিপূর্ণতা। প্রেমিক অরুণকে খুন করতে হবে, কারণ এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কোন উৎসাহ ভাতা বা ইন্সেন্টিভ নেই, আর প্রেমে পরাজয়ই শেষ কথা।

ফোনটা পেয়েই অরুণের চোখে-মুখে পরিবর্তন ঘটল। প্রেমিক সত্তা খুন হয়ে গেল, আর বেচুবাবু অরুণ চ্যাটার্জি হয়ে উঠল সফল। রাতের গভীরতা ভেদ করে, প্রেমিক অরুণের পরাজিত অদৃশ্য লাশের ওপর দিয়ে স্পিড তুলে ছুটে গেল ইলেকট্রিক রিক্সা। রিক্সার দুর্বার গতি, অরুণের চোখ মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে ফুরফুরে ঠান্ডা পরিবর্তনের হাওয়া— যাকে বলে বিশুদ্ধ ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’।


লেখক পরিচিতি : অরিজিৎ লাহিড়ী
পেশায় কর্পোরেট কর্মী, সীমিত সময়ের লেখক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা জমা দিতে ছবিতে ক্লিক করুন