লেখক : সুদেষ্ণা দত্ত
নববর্ষের প্রাক্কালে সাজো-সাজো রব বাগবাজারের রায় বাড়ীতে। শরিকি বাড়ীতে বট-অশ্বত্থরাও ঠাঁই নাড়া হয় না। তার পলেস্তারার চামড়া কোঁচকালেও শরীরে রয়ে গিয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। বংশপরম্পরায় রায়দের প্রিন্টিং-এর ব্যবসা। পঞ্চব্যঞ্জন শরীরে গিয়ে যেমন কখনও কখনও শরীরের যন্ত্রপাতির ব্যাঘাত ঘটায়, তেমনটা এই শরিকি বাড়ীতেও যে অমিল, এমনটা নয়। তবে উৎসব-অনুষ্ঠানে বা বিপদে-আপদে রক্তের টানকে উপেক্ষা করতে পারে না কেউই।
বড় তরফের সুধাংশুশেখর-সুধাময়ী, মেজো তরফের সূর্যশেখর-স্বর্ণপ্রভা ও ছোট তরফের শশীশেখর-বিনোদবালা – অর্ধেন্দুশেখর রায়ের তিন ছেলে ও বৌমা। অর্ধেন্দুশেখরই এই বাড়ী তৈরী করেছিলেন, কিছুটা বড় ছেলে সুধার সহযোগিতায়। বাকী দুই ছেলের বয়স তখন নিতান্তই কম। অর্ধেন্দুশেখর, তাঁর তিন পুত্র, বড় ও ছোট বৌমা এই ধরাধামের মায়া কাটিয়েছেন। আছেন শুধু মেজো বৌমা স্বর্ণপ্রভা, সুধার এক পুত্র ও কন্যা, সূর্যর এক পুত্র ও দুই কন্যা, এবং শশীর এক পুত্র। তবে বাড়ীতে বর্তমানে শশীর পুত্র সোমেন্দুশেখর ও তাঁর স্ত্রী সুলেখা, তাঁদের একমাত্র পুত্র স্বর্ণেন্দুশেখর ও তাঁর স্ত্রী অপরাজিতা, সোমেন্দুর বড় ভাইপো রাজশেখর, তার স্ত্রী পূর্ণিমা, তাদের এক পুত্র রাজদীপ, অশীতিপর স্বর্ণপ্রভা, কিছু আশ্রিত, ও গুটি কয়েক গৃহসহায়িকা। বাকি পুত্র ও কন্যারা পেশা ও ঠিকানা বদলের কারণে শহরের বাইরে থাকেন। সোমেন্দু ও তাঁর বড় ভাইপোই ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তবে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সেদিন প্রায় সকলেই বাড়ীতে উপস্থিত ছিল। আবার হালখাতার অনুষ্ঠানও আছে।
অপরাজিতা অণু পরিবারের বাপ-মায়ের আদরের একমাত্র মেয়ে। কিন্ডারগার্টেন এর চ্যাঁ-ভ্যাঁ এর সময়ের বন্ধু সে আর স্বর্ণেন্দু। খেলতে খেলতে কবে যে স্বর্ণেন্দুদের রান্নাবাটির বড় বেলায় প্রবেশ করল, আলাদা করে বুঝতেই পারেনি। একটি কনভেন্ট স্কুলে বাচ্চাদের পড়ায় অপরাজিতা। সে নিঃসন্তান। ডাক্তার-বদ্যি-কবজ-তাবিজ সব পর্ব মিটে সে মাতৃত্ব খুঁজে পেয়েছে অশীতিপর স্বর্ণপ্রভা আর স্কুলের ঘেরাটোপের শৈশবের মধ্যে। বনেদী বাড়ীর দেওয়ালরা যে ফিসফাস করেনা এটা নিয়ে, এমনটা নয়। তবে দেওয়াল টপকে তা অপার অন্তরমহলে ঢুকতে পারেনা স্বর্ণপ্রভা ও স্বর্ণেন্দুর জন্য। সোমেন্দু কিছু বিরক্ত, কিছু হতাশ, তাঁর বংশধর না থাকায়। কিন্তু একমাত্র ছেলের জন্য বিশেষ কিছু বলতে পারেন না তার হাফপ্যান্টের বান্ধবীকে। দত্তক গ্রহণের ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিল অপা ও স্বর্ণেন্দু। কিন্তু কোন অজাত-কুজাতের ছেলেমেয়ে এসে তাঁর নাতি-নাতনি হবে, তা মানতে নারাজ সোমেন্দু। তাই সে বিষয়েও বৈঠকখানার ঝাড়বাতির ধুলোর মতই ধুলো পড়েছে। সুলেখা স্বামীকে ভয়ে কিছু বলেন না, তবে পুত্রবধূটির দৃঢ় মনোভাবের জন্য তাকে স্নেহমিশ্রিত শ্রদ্ধা করেন।
আয়া থাকলেও স্বর্ণপ্রভার নৈমিত্তিক যাপনের প্রায় সবটা চলে অপার কাঁধে ভর দিয়েই। এবাড়ীর নিয়মকানুনের সবটাই সে তার আটপৌরে জীবনে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে। মেজো ঠাম্মির নির্দেশে অবকাশে আচার-বড়ি দেওয়া থেকে শুরু করে পারিবারিক দেবতা রাধামাধবের নিত্যপুজোর সবটাই। দীপের অনেক বায়নাই কাকিয়াকে ঘিরে মিটে যায়। সেই কারণে পূর্ণিমাও অপার সঙ্গে সদ্ভাব রেখেই চলে। স্বভাবেও অপা ভারি মিষ্টি। তাই পরিবারের প্রায় সকলেই ওকে পছন্দ করে।
বাড়ীর সকলে স্নান সেরে নতুন কাপড়ে সেজে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে হালখাতার পুজো দিতে যাওয়ার জন্য সেদিন প্রস্তুত। কিন্তু মেজো ঠাম্মির একা থাকার অজুহাতে যেতে চায় না অপা। সে যেকোন শুভ কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ওর কথায় কোন কর্ণপাত না করেই সকলে ওকে টেনে নিয়ে যায়। বাড়ীতে রয়ে যান মেজো ঠাম্মি, আর স্বর্ণেন্দুর বাবা-মা। স্বর্ণেন্দু এই দিন স্বেচ্ছায় সকল গ্রাহকদের মিষ্টি খাওয়ানোর ভার কাঁধে তুলে নেয়। সে গিয়েছে মিষ্টি আনতে। বাড়ী থেকে মন্দির পায়ে চলা দূরত্বে। সকলে মিলে বৈশাখী রোদে হৈ হৈ করতে করতে যাওয়াই স্থির করেছিল।
মিনিট খানেক চলার পরেই হঠাৎ অপার বুকে এসে ধাক্কা খেল পিছন ফিরে কোনরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌড়ানোর চেষ্টা করতে থাকা এক দ্বাদশী। সকলেই কিছু হতভম্ব। অপ্রতিভ অপরাজিতাও। মেয়েটিও বেশ ভয় পেয়েছে বোঝা গেল। পিছনে একটু দূরে কয়েকটি ছেলেকে নির্মীয়মান ইমারতের পাশে আত্মগোপন করতে দেখা গেল। দ্বাদশীকে জিজ্ঞাসা করে অপা জানল তার নাম শ্রীময়ী। কুমারটুলির কাছে এক পথদুর্ঘটনায় সে দিনতিনেক আগেই তার বাবা-মাকে হারিয়েছে। সে কোন আত্মীয়স্বজনকে চেনে না। মায়ের কাছে ভাসা ভাসা শুনেছে বাবা-মা নিজেরা বিয়ে করায় কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। তাদের বাড়ী চেন্নাইতে। বাবা অফিসের কাজেই তাকে ও তার মাকে নিয়ে এসেছিল কলকাতা ঘোরাতে। শ্রীময়ীরা বাঙালী খ্রীস্টান। মন্দিরের বর্ণনা শুনে ওরা বোঝে সেটা সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির। এই তিন দিন সে মায়ের মন্দিরেই ছিল। তার কাছে কোন টাকাপয়সাও নেই। বাবা-মায়ের যেখানে দুর্ঘটনা হয়, সেখানে মন্দিরের পুরোহিত মশাই উপস্থিত ছিলেন। তিনিই প্রশাসনিক ও সৎকার কাজ সম্পন্ন করিয়ে শ্রীময়ীকে মন্দিরে নিয়ে আসেন। শ্রীময়ী একটু বাগবাজার ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। ঠাকুর দাদুর আজ খুব চাপ বলে তিনি ওকে এগিয়ে যেতে বলেন। বলেন, তিনি একটু পরে আসছেন। তখনই এরা পিছু নেয়।
সব শুনে শ্রীময়ীকে নিয়েই সকলে মন্দিরে আসেন। পূর্ণিমা ভাবে শুভকাজে অশুভ ঘটনা। ঠাকুরমশায়ের কাছে সব কথা শুনে স্বর্ণেন্দুকে ফোন করে অপা, এবং জানায় সে শ্রীময়ীকে বাড়ী নিয়ে যেতে চায়। অপা বড় ভাসুরের সঙ্গেও কথা বলে। ভাসুর-ননদদের কারো কোন আপত্তি থাকে না। কিন্তু পূর্ণিমা নানাভাবে তাদের নিরস্ত করতে চায়। সে বেশ ভালই বোঝে রূপ, বিদ্যবত্তা সবেতেই সে অপার থেকে পিছিয়ে। কিন্তু সংসারের পরীক্ষায় সে ছেলের মা – অপাকে দশ গোলে হারিয়ে দিতে পেরেছে। তাছাড়া দীপের আদর কমে যাক, সেটাও সে চায় না। কিন্তু তার ওজর-আপত্তি ধোপে টেকে না। পুজো দেওয়া শেষ হলে শ্রীময়ীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ী ফেরে সকলে।
সব মিটিয়ে বাড়ীর চৌকাঠে এসে উপস্থিত হয় শ্রীময়ীসহ গোটা পরিবার। ইতিমধ্যে বাড়ীতে সব ঘটনা জানিয়েছে স্বর্ণেন্দু। পারিবারিক সুনামের কারণে প্রশাসনকে পাশে পেতেও অসুবিধা হয়না। পুরোহিত মশাই খুব খুশি হন। প্রশাসন একটি অনাথা কিশোরীর ঘর পাওয়াকে অনর্থক ঘোলা না করেই মেনে নেয়। কিন্তু বাড়ীতে কোথাও মা লক্ষ্মীর আবাহনে বাজে না শঙ্খ, জ্বলে না প্রদীপ, বিরাজ করে শ্মশানের স্তব্ধতা।
শ্রীময়ী ও অপরাজিতাকে কথার শরে বিদ্ধ করেন সোমেন্দু। ঢাল হয়ে সব প্রতিরোধ করে স্বর্ণেন্দু ও তার দাদা-দিদিরা। স্বর্ণেন্দু বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বললে জোঁকের মুখে নুন পড়ে। দিনের গতিতে দিন চলে। অপা শ্রীময়ীকে দত্তক নেয়। স্বর্ণপ্রভা আর সুলেখা অপার, অপার আনন্দে আহ্লাদে আটখানা। কিন্তু সোমেন্দুর সঙ্গে নাতনির কোন আদান-প্রদান গড়ে ওঠে না।
কালের নিয়মে অপার মুখের হাসি দেখে হাসতে হাসতে হঠাৎ ঘুমের মাঝেই তারাদের দেশে পাড়ি দেন স্বর্ণপ্রভা। শ্রীময়ী ছিল স্বর্ণপ্রভার প্রাণ। দীপ বোনকে খুব ভালোবাসে। দু’টি ভাইবোন কাকিয়া ও মামণির ছায়ায় মানুষের মত মানুষ হয়েছে। হ্যাঁ, একটু বড় বয়েসে নতুন ঘর পাওয়ায় শ্রীময়ী অপা ও স্বর্ণেন্দুকে মামণি ও বাপী বলেই ডাকে। তবে তাতে সন্তানের সঙ্গে মাতৃত্ব-পিতৃত্ব টাল খায় না এতটুকু। দু’ভাইবোনই বড়দের সম্মান, ছোটদের আদর করতে শিখেছে। লেখাপড়াতেও দু’জনেই তুখোড়। দীপ লন্ডনে চাকরীর সুযোগ পেয়ে চলে যায়। পড়ে থাকে স্মৃতির কোলাজ।
পূর্ণিমার দিনগুলো দীপকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হত। ছুটির দিন সে খাসির মাংস, লুচি খেতে পছন্দ করত। মাংস অবশ্য তার আদরের কাকিয়াই রান্না করত। লুচি করত পূর্ণিমা। বনেদী বাড়ী হলেও রান্নার লোকের হাতে খেতে পছন্দ করেন না সোমেন্দু। কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে সেদ্ধ ভাতটা পূর্ণিমাকেই তুলে দিতে হত। নাহলে অভুক্তই বাড়ী থেকে বেরিয়ে যেত ছেলে। ঘুম থেকে তোলা ছিল আর এক ঝক্কি। নিজের বিছানা থেকে বেরিয়ে আবার বুনু বা কাকিয়ার বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ত। তখন তারাও দু’জনে বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শ্রী কতবার দাদার আঙুল চায়ে ডুবিয়ে দাদাকে ঘুম থেকে তুলেছে। তবু কৃষ্ণাঙ্গী মিষ্টি মুখের জ্যান্ত পুতুল বুনুর ওপর কখনও রাগ করত না দীপ। পূর্ণিমা বরং শ্রীর এমন আচরণে খুশি হতে পারতেন না।
দীপ যখন ছিল তখন সংসারের কাজ, দীপের ঊনকোটি চৌষট্টি কাজ করতে, করতে হাক্লান্ত হয়ে পড়ত পূর্ণিমা। ঘুমে চোখ বুজে আসত যখন তখন। যদিও সুলেখা, অপরাজিতা সকলেই হাতে হাতে করত, তবু যেন অবকাশ মিলত না পূর্ণিমার। এখন অখন্ড, অনন্ত অবসর। শ্রীময়ী কখনও ইউটিউবে সানডে সাসপেন্স চালিয়ে দেয়, কখনও পার্লারে নিয়ে যায়, বিকেলে কোনদিন মামণি, জেম্মাকে নিয়ে বাগবাজার ঘাটের দিকে যায়। যে শ্রীময়ী একসময় চোখের বালি ছিল, সে এখন চোখের মণি। শ্রীর মধ্যেই দীপকে খোঁজেন পূর্ণিমা। চুলে তেল দিয়ে চুল বেঁধে দেন, ফেসবুক দেখে রান্না করেন শ্রীর পছন্দের।
বাড়ীর আর্থিক অবস্থা এখন বেশ পড়তির দিকে। সোমেন্দু প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। ব্যবসা দেখতে পারেন না। শ্রীময়ী ইকোনমিক্সে পি.এইচ.ডি. করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিচ্ছে, জ্যেঠুকে একাউন্টসের কাজে সাহায্য করে। বাপীকে বলে, দাদুভাইয়ের ভাল করে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু বাপী সদ্য অবসর নিয়েছে। একটু টাকাপয়সার টানাটানি। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বছর পাঁচেক আগে চাকরী পায় শ্রীময়ী। জে.আর.এফ.-এও বসেছিল সে। তবে ফল প্রকাশ হতে এখনও দেরি আছে।
নিশীথের নীরবতাভেদী আলোকরেখা ও শব্দে সম্বিৎ ফেরে নার্সিংহোমের সাদা বিছানায় শুয়ে থাকা সোমেন্দুর। ফেরেন বাস্তবে। তাঁর পেসমেকার বসেছে। এখন তিনি অনেক সুস্থ। আগামীকাল তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ বুঝি তাঁর নবজন্ম। প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক বিশেষ কোম্পানীর পেসমেকার বসেছে তাঁর। কুড়ি-পঁচিশ বছর সার্ভিস দেবে যন্ত্র। ততদিন হয়ত সোমেন্দুই আর সার্ভিস দেবেন না।
তিনি অনেক নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু সে শুনলে তো! সকালে এক রোদেলা আকাশ নিয়ে ঘরে ঢোকে শ্রীময়ী। দাদুভাইকে জানায় সে জে.আর.এফ. উত্তীর্ণ হয়েছে। কেঁদে ফেলেন সোমেন্দু। আনন্দে নয়, নাতনি বিদেশ পাড়ি দেবে সেই ভেবে। কিন্তু তাঁকে অবাক করে শ্রীময়ী জড়িয়ে ধরে বলে, একবার তার শিকড় উপড়ে গিয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয়বার সে ছিন্নমূল হতে চায় না। সে বোঝে শিকড়ের টান। নিজেকে যাচাই করার জন্যই সে এই পরীক্ষা দিয়েছিল। সব ফরম্যালিটি মিটলে দাদুভাইকে নিয়ে বেরোতে যেতে ডাক্তার অভিরূপ বসু বলেন, “ভালো থাকবেন দাদুভাই। অনেক ভাগ্য করলে এমন নাতনি পাওয়া যায়। আপনার জন্য করা ওর মেডিক্লেমই আপনাকে নতুন জীবন দিল।” শ্রী বলে ওঠে, “না, না আমি একা কিছু করিনি। মামণিও সঞ্চিত অর্থের বেশ কিছু দিয়েছে।” চার চোখে কি বিদায়পর্বে কোন কথা হল! মনে হল যেন সোমেন্দুর। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, “নাতনির ধুমধাম করে বিয়ে দেব। তারপর ওর কোলেই যে আমি আসতে চাই। ততদিন না হয় মরাটা স্থগিত থাক।” দু’জন হেসে উঠল। শ্রীময়ী লজ্জা পেয়ে বলল, “কি যে বল না দাদুভাই।”
লেখক পরিচিতি : সুদেষ্ণা দত্ত
আঠারো বছর ধরে একটি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত। লেখা লিখি ছাড়াও ছবি আঁকতে, বই পড়তে, সুচ-সুতো সেলাই করতে ভালবাসি।