লেখক : সুপ্রিয়া দাস
পাড়ার মাতব্বরের ছেলে মলয়ের বিয়ে বলে কথা, বরযাত্রী কেটে ছেঁটেও দুশোর কম করাই গেলো না। ষাট জনের আয়োজনে দুশো বরযাত্রী সামলাতে মেয়ের বাবাকে হিমশিম খেতে হল। তবু বড় ঘরে যাবে মেয়ে, এটুকুই শান্তি মনে।
বছর দুয়েক হল সেসব, আজ মাঝরাতে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়েই পাড়ার টোটো ওয়ালা টিঙ্কুকে নিয়ে ছুটল মলয়। খুব চিন্তিত দেখে টিঙ্কু বলল কি সমস্যা দাদা ? তোর বৌদি হাসপাতালে , রক্ত লাগবে এক্ষুনি, ফোনে কাউকে পাচ্ছি না রে, কি যে হবে জানি না, তুই চল তাড়াতাড়ি । কি রক্ত দাদা ? ও পজিটিভ। আমারও তো ঐ রক্ত, গরীবের রক্ত নেবেন দাদা ?
বাকরূদ্ধ হয়ে গেল মলয়, যাদের এতদিন কাছের মানুষ ভাবতো তারা কেউই অসময়ে পাশে নেই, সুসময়ে সবাই বন্ধু ছিল। অথচ উপেক্ষিত মানুষটা এগিয়ে এসে তাকে সাহায্য করতে চাইছে। কার মূল্য কতটা , সময় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
লেখক পরিচিতি : সুপ্রিয়া দাস
দুকলম মনের কথা লিখে বাঁচার রসদ জোগাই