লেখক : সুমিত কুমার পতি
আবার তোমার শহরে ,
ছিলাম অনেক জীর্ণতা নিয়ে তোমার থেকে অনেক দূরে,
বছরখানেক পর আবার ফিরলাম তোমার শহরে।
বছরখানেক আগে কি যে হয়েছিলো?
এক দমকা হাওয়া সব শেষ করে দিয়েছিলো।
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল মনের মধ্যে থাকা সব ভালোবাসা,
শেষ হয়ে গিয়েছিল নিজের মধ্যে থাকা শেষটুকু আশা।
চাকরি পাওয়ার খবর দিতে গিয়েছিলাম আমি তোমাদের বাড়ি।
কিন্তু জানো, সেদিন বাড়ির বাইরে দাড়িয়েছিল অনেকগুলো গাড়ি।
দারোয়ানকে ডাক দিয়ে বলেছিলাম, “হঠাৎ বাড়িতে ভীড় কেনো আজ?”
এক বিলাসবহুল হাসি দিয়ে সে বললো, “বাড়িতে চলছে দিদিমনির বিয়ের কাজ।”
নিজের অজান্তেই হাত থেকে পড়ে গেলো চাকরির চিঠিখানি,
তুমি এতটা দূরে সরে যাবে কখনো ভাবিনি!
সরে এলাম তোমার থেকে অনেক দূরে,
শুরু করলাম এক ব্যস্ত জীবন দশতলা কাঁচের ঘরে।
হঠাৎ যখন বছরখানেক পর আজ এলাম আবার তোমার শহরে,
জানো একটিও শঙ্খ-শালিক নেই সেই গভীর নদীর তীরে।
আজ পার্কের পাশে থাকা বেঞ্চিটা এক্কেবারে ফাঁকা,
যেনো এখনও বেঞ্চটিতে তোমার জন্য জায়গা রাখা।
আজ জীর্ণ সেই গোলাপ ফুলের চারা,
তোমার হাতের স্পর্শ না পেয়ে ফুল গাছটিও জীবনহারা।
এখন তোমার অন্য শহর, নতুন এক ঘর,
ছিলাম অনেক আগে আপন, আজ আমি হয়েছি পর।
লেখক পরিচিতি : সুমিত কুমার পতি
নমস্কার আমি সুমিত। আমি একজন একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। আমি বিভিন্ন ছোটো কবিতা এবং ছোটগল্প লিখি।তার মধ্যেই আমার লিখা একটি কবিতা “আবার তোমার শহরে।" আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। অনুরোধ রইল পুরো কবিতাটি একবার পড়ে দেখার। ধন্যবাদ।।