লেখক : সমীর ঘোষ
দূষণ নিয়ে এখন ওরা
করছে বড়ই মাতামাতি
দেখছে লিখছে ইচ্ছে মতন
চাইছে পেতে হাততালি।
ছিলনা তখন সেনিটারি বা
বাথরুম নামে ছোট ঘর,
খোলা আকাশের নিচেই ছিল
দিগন্ত বিস্তৃত খোলা ঘর।
তখন ছিলনা দামি ফিল্টার
পানীয় জলের কল,
কুয়োর জলই ভরসা ছিল
খুব বেশি হলে টিপ্-কল।
মেঠো রাস্তায় তপ্ত দুপুরে
খালি পায়ে হেঁটে ফিরেছি,
আজকে সবাই রান্না ঘরেও
জুতো পায়ে দিয়ে হাঁটছি।
না জানি কেন পুকুরের মাছ
স্বাদে ছিল অতি সুস্বাদু,
অযত্নেতেই হত বড় ওরা
বিশেষ খাবার পেতনা কিছু।
ওষুধ ছিলনা এতো বিস্তর
পায়ের নখ টু মাথার চুল,
ডাক্তার আজ স্পেশালিস্ট সব
গুনে গুনতিতে সম লোমকূপ।
এত পাকাবাড়ি এত কোলাহল
ছিলনা এতো টাকার বড়াই,
মানুষগুলো অশিক্ষাতেও
পোক্ত শরীরে করতো লড়াই।
পুকুর পাড়ে বা ঠাকুর তলায়
বিকেল কাটাত মিলেমিশে,
সন্ধ্যা গড়ালে জোনাকির আলো
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক পথে ঘাটে।
আজকে শুনি গাড়ির শব্দ
ছুটছে উড়িয়ে কালো ধোঁয়া,
দেখি নোংরা জমানো যত্রতত্র
ফুটপাতের আজ নাই দেখা।
সমাজ সেবায় মগ্ন ওরা
দূষণ কমাতে ডাক ছাড়ে,
হাততালি পেতে মরিয়া ওরা
বুদ্ধিজীবী নাম ওদের।
লেখক পরিচিতি : সমীর ঘোষ
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তবে সুযোগ পেলে একটু আধটু লেখি