‘উৎসবে ফিরুন’ – এখনও উৎসব এলে এই শব্দবন্ধ যেন তাড়া করে ফেরে আমাদের। আমরাও ধীরে ধীরে ফিরে আসি অভ্যস্ত জীবনে – পৃথিবীর নানা প্রান্তের যুদ্ধ-বিগ্রহ-আন্দোলন, দেশ ও রাজ্যের নানা অঘটন-চোখরাঙ্গানি ভুলে ফিরে যাই উৎসবে। মধ্যবিত্ত বাঙালির সারা বছরের একঘেঁয়ে জীবনের এটুকুই তো ফুরসৎ বেঁচে নেওয়ার… সারা বছর অপেক্ষায় থাকি আমরা – ‘উৎসব আসবে’… আমরা ফিরে আসব প্রিয়জনের কাছে, মায়ের বুকে… এই উৎসব সকলের কাছাকাছি আসার উৎসব – সকলে মিলে ধরে ধরে থাকার উৎসব – তাই যতই ‘ঋণাত্মক’ শোনাক ‘উৎসবে ফিরুন’ শব্দবন্ধ, আমরা উৎসবে ফিরবই আবার নতুন উদ্যমে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ফেরার জন্য – লড়াইয়ের জন্য… আর জীবনের সেই লড়াইয়ের জন্য কিছুটা বাড়তি অক্সিজেন দেবে আমাদের এই উৎসব সংখ্যা – এই বিশ্বাস আমাদের আছে।
নিচের ছোট্ট ছবিটি ক্লিক করে এই সংখ্যাটি পড়ুন আর কমেন্ট করে জানান কেমন লাগল।
ওয়েবজিন প্রকাশের সময়কাল:
জন্মদিন সংখ্যা – ১৪ জুন (লেখালিখি সাইটের জন্মদিন)
উৎসব সংখ্যা – মহালয়ার দিন
শীত সংখ্যা – ১ জানুয়ারি
নববর্ষ সংখ্যা – ১ এপ্রিল
বি.দ্র. পুরনো সংখ্যাগুলি একত্রে পাবেন এই লিঙ্কে – https://lekhalikhi.sobbanglay.com/category/webzines/
ওয়েবজিনের লেখা জমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
এখন ওয়েবজিনের জন্য আলাদা করে কোন লেখা নেওয়া হচ্ছে না। ওয়েবজিনে শুধুমাত্র লেখালিখি সাইটে এই সংখ্যা প্রকাশের পর থেকে পরবর্তী ওয়েবজিন প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত প্রকাশিত লেখাগুলির মধ্যে সম্পাদকমণ্ডলী মনোনীত লেখাগুলিই স্থান পাবে। অর্থাৎ পরবর্তী ওয়েবজিন হতে চলেছে লেখালিখি সাইটে প্রকাশিত লেখাগুলির মধ্যে বাছাই করা লেখার আকর্ষণীয় সংকলন।
লেখা জমা দেওয়ার পদ্ধতি ও নিয়মাবলীর জন্য এখানে ক্লিক করুন।
নিয়মিত অপ্রকাশিত লেখা জমা দিতে থাকলে এই বিশেষ সংকলনে আপনার লেখা নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা বাড়বে, তাই নিয়মিত লেখা জমা দিন আমাদের সাইটে।
দারুন সুন্দর একটি সংখ্যা।
পড়া শুরু করেছি। খুব সুন্দর।
অনবদ্য প্রস্ফুটন
আমার একটি কবিতা ‘লেখালিখি সববাংলায়` শারদ সংখ্যা পত্রিকায় স্থান পাওয়ার জন্য কৃতার্থ বোধ করি এবং শারদ শুভেচ্ছ জানাই। প্রচ্ছদ খুব সুন্দর হয়েছে। একে একে পড়া শুরু করেছি।
🙏
ভালো হয়েছে । পড়ছি। বেশ ভালো লাগছে ।
রতন চক্রবর্তীর ‘বালকবেলার পুজোর তিন কাহন’ পড়লাম। ‘মাগো’ সম্বোধনটি এত ভাল লাগল! এই সব সম্বোধনে যে কত ভালবাসা লুকিয়ে! লেখার মধ্যে এক সময় পর্ব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এখনকার বাঁশদ্রোণীকে কেউ গ্রাম বললে রাগারাগি হওয়ার বিস্তর সম্ভাবনা। তিন কাহনটি আসলে চার কাহন। সেই কাহন লুকিয়ে রয়েছে শব্দের ভাঁজে ভাঁজে। যে বড় লড়াইয়ের কাহন। লপসি আর পোড়া বেগুনভাজায়, দু’টো মাঝারি মাপের ঘর আর দু’টো ঘরের মাঝে বিভাজন সরিয়ে টানা হলঘর, জনা ষোলো লোকের চিত্রকল্পে তা বোঝা যায়। লেখকের রসবোধ আর প্রবল জীবনপ্রেমে তা কখনও প্রকট হয়নি।
ভাল লাগল বড়।
১ম গুচ্ছ
উৎসব সংখ্যা প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত দেখলাম (২১/৯/২৫)। বিষয় বিন্যাস ও লে আউট খুব ভাল।প্রচ্ছদ প্রকাশের পরেই সে সম্পর্কে বলেছিলাম।লেখার নামের পাশে যে পাতা নম্বর পত্রসূচিতে থাকে, সেই নম্বরে হাত দিলে সেই লেখায় চলে যাওয়ার পদ্ধতি আমি পত্রান্তরে দেখেছি।সেটা আমরা করতে পারলে, পাঠকরা আর একটু নিজস্ব পরিকল্পনা ও সময় বুঝে পড়তে পারবে।
সম্পাদকীয় এবং তিনটা লেখা পড়লাম খানিক আগে( ২২/৯/২৫)।দু চার লাইন করে লিখছি।এই পরিবারের সদস্যদের পড়ার আগ্রহ বুঝতে পারলে। চারটি করে লেখার গুচ্ছ নিয়ে কিছু নিবেদন করতে পারি খোলা মনে।যদিয় হাতে দীপায়নের বড় লেখার কাজ (প্রতিবেশী চীন) রয়েছে।আমার উপর শক্ত লেখার ভার পড়ে বলে উৎসব সংখ্যায় বালক বেলার। উৎসবের একটি অন্তরাঙ্গ ছবি লেখার চেষ্টা করেছি। আমি নিজে পরবর্তী কোনও গুচ্ছ আলোচনার উৎসাহ পেলেও আমার লেখার ওই প্রসঙ্গ রাখব না।
বাঙালি তাঁর বহুমুখী জীবন যন্ত্রণা নিয়ে উৎসবে জেগে থাকতে চায় তার সামর্থ্যের শেষ সীমায় পৌছে গেলেও।নিশ্চিতই উৎসব সম্পর্কে তাদের অগ্রাধিকারের রকম ফের আছে।তবে তা আচারের ক্ষেত্রে।আনন্দ মেলার প্রকারের ক্ষেত্র নয়।
গ্রীষ্মকালে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যেমন জন্মোৎসব হয়, বোধ ও আবেগের তারতম্য অনুযায়ী। বর্ষাযাপনের ব্যক্তিগত আনন্দ মেদুরতা তেমনই এক অন্তর্লীন উৎসব।প্লাবন না ঘটলে ক্ষেত্র বিশেষে বর্ষামঙ্গলের লোক উৎসব থেকে সীমিত স্তুরে সামাজিক উৎসবও আছে।সম্পাদকীয় মন্তব্যে সাধারণভাবে শরৎ থেকে শীতের প্রাক্কাল পর্যন্ত উৎসব যাপনের আভাস রয়েছে।হেমন্তে নবান্ন লোক উৎসব গ্রাম মাতায়।শীতে মাঘী উৎসব পৌষ পার্বন আর বসন্তে আছে শ্রীপঞ্চমী,দোল-হোলি।অবশ্য সম্পাদকীয়তে এত পরিসর ধরা সম্ভব নয়।
বিষয়টি হলো, আনন্দের বাস অন্তরঙ্গে।আর সেই উৎস থেকে উৎসারিত উৎসবের প্রসার বহিরঙ্গে।এই সত্য নিহিত রয়েছে সম্পাদকীয়র মনোভাবে,অবশ্যই আভাসে।সেটাই কাম্য।
আমার মন্তব্যে “দীপায়ন” বলে যে প্রকাশিতব্য ছাপা পত্রিকাটির উল্লেখ রয়েছে সেই নামটি ভুল লিখেছি বলে আমি দু:খহিত।এই প্রকাশনার নাম আসলে # দীপ্তার্ক#। এর সঙ্গে যদিয় এই ওয়েবজিন বা এটির সংগঠক সংস্থার সরাসরিভাবে কোনো সংযোগ নেই।আমাকে যারা “দীপ্তার্ক”-তে লেখার সুযোগ দিতে চেয়েছেন তাঁরা ওয়েবজিনটির সঙ্গে যুক্ত, হয়তো বা অন্যান্য ব্যক্তিবর্গও থাকতে পারেন।সেই দিক দিয়ে ওয়েওবজিন নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে ওই ছাপা প্রকাশনার বিষয়টি উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক ছিল।দু:খিত। র.চ।