লেখক: ইচ্ছেমৃত্যু
সময়টা মোটামুটি ২০১৫ সালের মাঝামাঝি। জীববিজ্ঞানী শিন হু পরিবেশের কিছু তথ্য দেখে তাজ্জব হয়ে গেলেন। যেভাবে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়ছে তাতে জীব জগতের উপর খুব বাজে প্রভাব পড়ার কথা। যদিও এটা তাঁর নিজের গবেষণার বিষয় নয় – তিনি ভাইরোলজিস্ট। তিনি তাঁর ইউনিভার্সিটির কয়েকজন পরিবেশ বিজ্ঞানীর সঙ্গে রিপোর্টটা নিয়ে কথা বললেন – এবং বুঝলেন তাঁর আশংকা অমূলক নয়। তাঁদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে জানতে পারলেন পৃথিবীর উষ্ণতা এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যেখান থেকে বর্তমান প্রজাতিগুলির গণ অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী। পথ হয়তো কোন খোলা নেই যদি না কার্বন এমিশন শূন্য করা যায় – কিন্তু কিভাবে! এই ভাবনায় দিন কেটে যাচ্ছিল, অন্য কোন কাজেই মন বসছিল না শিন হুয়ের। তাহলে কি শেষের সেদিন এসে গেল? মানুষের সাথে সাথে গোটা পৃথিবীর জীবকুল ধ্বংস হয়ে যাবে! কার্বন এমিশন শূন্য করতে হলে যে সব দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু উপায়ও নেই। আর সেসব করতে হলে দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রপ্রধানদের। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে কী ভাবছেন, কী করছেন এসব নিয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ করতেই পেলেন আমেরিকার পরিবেশ বিজ্ঞানী লিন্ডসি আলেকজান্ডারের নাম ও কাজের কথা। তাঁর মনে পড়ল লিন্ডসির কথা, হাভার্ডে ডক্টরেট করার সময় তাঁরা পরিচিত ছিলেন। নিজের পুরোনো কন্টাক্টস থেকে বের করলেন লিন্ডসির ইমেল আইডি। মেল করলেন তাঁর উদ্বেগ জানিয়ে – উত্তরে মেল এল না, এল ফোন। এটাই ভয় করেন শিন, তিনি ভাল ইংরাজি বলতে পারেন না। তবে লিন্ডসি বেশ খোলামেলা স্বভাবের এবং খুবই মিশুকে তাই সেই হাভার্ডের দিনগুলোতেই খুব সহজেই আপন করে নিয়েছিলেন শিন হুকে।
পুরনো দিনের কথা এবং ভালমন্দের খোঁজখবরের পর তাঁরা শুরু করলেন পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। লিন্ডসি জানালেন তাঁরা আমেরিকাসহ পশ্চিমী উন্নত দেশগুলিতে লড়াই করছেন যাতে করে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমানো যায়, কমানো যায় দূষণ। তিনি ভাল এবং খারাপ খবর দুটোই শোনালেন – ভাল খবর হল তাঁরা আশা করছেন খুব শীঘ্রই বিভিন্ন দেশ কার্বন এমিশন কমানোর আন্তর্জাতিক চুক্তিপত্রে সই করতে চলেছে – কিছুটা তাঁদের মত বিজ্ঞানী ও পরিবেশ আন্দোলনকারীদের প্রচেষ্টার ফল। আর খারাপ খবরটা হল, খুব দ্রুত যদি কার্বন এমিশন একদম শূন্য না করা যায় তাহলে ইররিভার্সিবেল চেঞ্জের দিকেই পরিবেশ এগিয়ে যাবে – অর্থাৎ উষ্ণায়নের হার দ্রুত বাড়বে ও গলে যাবে সব বরফ। বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০২০ হল সেই সময় যার মধ্যে কার্বন এমিশন প্রায় শূন্য করতেই হবে। রাষ্ট্রনেতারা কি এই কঠিন ডেড লাইন মেনে নেবে?
সেই সেদিনের আলোচনায় লিন্ডসির দুটো অনুমানই ঠিক প্রমাণিত হয়েছিল পরে। ২০১৫ সালের শেষের দিকে প্যারিস এগ্রিমেন্ট (Paris agreement, 2015) সাইন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার লক্ষ্য ছিল দূষণ কমানো এবং শিল্পযুগের আগের উষ্ণতার থেকে উষ্ণতার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির অনেক নিচে রাখা।
সেদিন লিন্ডসি আবার বন্ধু শিন হুকে ফোন করেছিলেন – দুজনেই বেশ আনন্দিত ছিলেন সেদিন, ফেলেছিলেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁরা বুঝে গেলেন আরও একবার বিজ্ঞানীদের মাথায় টুপি পরিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জমে ওঠা ক্ষোভের আগুনকে সাময়িক প্রশমিত করেছিলেন। ফলত, প্যারিস চুক্তিতে সাক্ষর করেও কোন দেশই সেই ভাবে কার্বন এমিশন কমানোর পথে হাঁটলেন না।
লিন্ডসি যোগাযোগ করলেন সমমনস্ক আরও অনেক বিজ্ঞানীর সঙ্গে, তাঁরা সকলে মিলে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে জানালেন কঠিন বাস্তবের কথা। কার্বন এমিশন এই ২০২০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ শূন্য করতে না পারলে কারোর ক্ষমতা নেই পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়। রিপোর্টটি তৈরি করে সব মিলিয়ে ১০০ জন বিজ্ঞানী পেশ করেছিলেন। UN কর্তারা রিপোর্ট দেখে মাথায় হাত দিলেন! বিজ্ঞানীরা যা বলছেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে আর কিছুই করার নেই এবং কোনও দেশ এই মুহূর্তে এর উপর কাজ করতেও পারবে না। রাষ্ট্রপ্রধানরা চাপ দিলেন, যে একটু রদ বদল করতে রিপোর্টে। সালগুলো পাল্টে ২০২০ কে ২০৩০ আর ২০৩০ কে পাল্টে ২০৫০ করতে। নইলে সারা বিশ্বব্যাপী এমন অস্থিরতা তৈরি হবে যা তাঁরা সামলাতে পারবেন না। আর মরতে যখন হবেই তখন যদ্দিন এই ভাবে চালানো যায়… ১০০ জন বিজ্ঞানীর উপর খুব চাপ সৃষ্টি করা হল। অনেকেই নতি স্বীকার করলেন – সংখ্যাটা দাঁড়ালো ৯১। সেই ৯১ জন বিজ্ঞানীর সই করা রিপোর্ট রাষ্ট্র সঙ্ঘ IPCC Special Report নামে অক্টোবর মাসে প্রকাশ করলেন। বাকি ৯ জন মেনে নিলেন না – যেমন জিওদার্নো ব্রুনো মেনে নেননি সেই যুগের সমাজ ও দেশের প্রধানদের কথা।
সেই ৯ জনের মধ্যে ছিলেন লিন্ডসি, শিন হু ছাড়াও ইতালির এন্টোনিনো জিচিচি, ফ্রান্সের লুই রগ্যার, রাশিয়ার সেরগেই ইউডিন প্রমুখ।
২০১৮ সালের ৮ই অক্টোবর – দিনটি বিখ্যাত হয়ে থাকবে। IPCC রিপোর্টের জন্য নয়, বরং এই একটি কনফারেন্স কলের জন্য। অবশ্য সেই গোপন তথ্য যেদিন সকলে জানবেন তার পরেই স্মরণীয় হবে, নইলে নয়। সে যাই হোক, সেদিনের কনফারেন্স কলে ছিলেন সেই নতি স্বীকার না করা ৯ বিজ্ঞানী। সকলেই শক্তিধর, উন্নত রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। তাঁরা সকলেই ভীষণভাবে প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করলেন। শুধু এই বারই নয়, বিজ্ঞানীদের সেই প্রাচীন যুগ থেকেই অপব্যবহার করে এসেছে রাষ্ট্রনেতারা। তাঁদের আলোচনায় উঠে এলো এরকমই অনেক ঘটনা। ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরির জন্য, তা ব্যবহার হল যুদ্ধে; পারমানবিক শক্তির ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় শক্তির ঘাটতি মেটাতে চেয়েছিলেন তাঁরা, অথচ বিজ্ঞানীদের ব্যবহার করে তৈরি অস্ত্র তাঁদের আবেদন না শুনেই ফেলা হল জাপানে। বিজ্ঞানীরা ওষুধ তৈরি করেছেন তা বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা তুলেছে ব্যবসায়ীরা। বিজ্ঞানীরা চিরকাল মানুষের সুবিধার জন্য একের পর এক আবিষ্কার করে গেছেন আর রাষ্ট্রপ্রধান, ব্যবসায়ী সকলেই সেসব থেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছেন।
সকলেই বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। শিন হু কাজের মানুষ এবং কম কথার লোক – তিনি সেসব আবেগ সরিয়ে সকলকে বললেন, ‘আমাদের কাজ কী? এই মুহূর্তে পৃথিবীতে কার্বন এমিশন কিভাবে কমানো যাবে?’ ফ্রান্সের লুই বললেন ‘শুধু তাই নয়, মানুষের খিদেও কমাতে হবে। মানে কনজাম্পশন কমাতে না পারলে, লোভ না কমাতে পারলে এমিশন কম করা সম্ভব নয়’। লিন্ডসি বললেন ‘একটা উপায় আছে – সকলকে ঘরবন্দী করতে হবে। তাহলে গাড়ি কম চলবে, কলকারখানা বন্ধ হবে, রেস্তোরাঁ বন্ধ হবে – অর্থাৎ এমিশন কম, কনজাম্পশন কম। নেতাদের বোঝাতেই হবে!’ রাশিয়ার ইউডিন বললেন, ‘নেতারা আমাদের কথা বুঝলে এই গোপন কনফারেন্স কল করতে হত না। আমাদেরকেই ভাবতে হবে কিভাবে কী করা যায়’। শিন হু, কঠিন স্বরে বললেন – ‘ভাইরাস। এমন একটা ভাইরাস যা মানুষের থেকে মানুষে ছড়াবে, অন্যান্য জীবজগতের ক্ষতি করবে না কারণ তারা কোনও ক্ষতি প্রকৃতির করেনি’। ইতালির বিজ্ঞানী বললেন, ‘কিন্তু অনেক লোক মারা গেলে তো আমাদেরই সবাই দুষবে’। লিন্ডসি বললেন, ‘ঠিক মৃত্যু হার কম রাখতে হবে’। শিন বললেন, ‘মৃত্যু হার কম হলে ভাল, কিন্তু সমস্ত প্রজাতিকে বাঁচাতে হলে কিছু রিস্ক নিতেই হবে। তবে এমন কিছু বানাতে হবে যা বয়স্কদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। আমাদের প্রয়োজন তরুণরা বেঁচে থাকুক’। রাশিয়ান বিজ্ঞানী বললেন, ‘কিন্তু একথা ঠিক আজকের এত দূষণের মূল কারণ কিন্তু আমাদের উন্নত দেশগুলোই, এমন একটা কিছু ভাবতে হবে যাতে এই দেশগুলো মূলত এফেক্টেড হয়’। লিন্ডসি বললেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, কিন্ত আমাদের মধ্যে ভাইরোলজিস্ট একমাত্র শিন হু। শিন তুমি কি পারবে এইসব নিয়ম মেনে চলা ভাইরাস বানাতে?’ শিন হু বললেন, ‘এক্ষুনি তা বলা সম্ভব নয়, আর ভাইরাস একবার বেরিয়ে গেলে কাকে কাকে কিভাবে আক্রমণ করবে, কোথায় ছড়াবে বলাও মুশকিল। তবে আমি চেষ্টা করব’। লিন্ডসি বললেন, ‘চেষ্টা শুধু নয়, আমাদের ২০২০ সালের মধ্যে এর প্রয়োগ করতেই হবে, তোমার হাতে আছে ১ টা বছর’।
ঠিক ১ বছর পর শিন ফোন করলেন লিন্ডসিকে – ‘আমি রেডি’। লিন্ডসি উৎসাহের সঙ্গে বলল, ‘সত্যি? বাহ বাহ। আমাদের সব ক্রাইটেরিয়া মিলছে তো?’ শিন বললেন, ‘তা অনেকটাই মিলবে – মানুষের থেকে মানুষে ছড়াবে, খুব দ্রুত ছড়াবে তাই সকলকে গৃহবন্দী হতেই হবে। এটা এমন একটা গোত্রের ভাইরাস যার টিকা বিজ্ঞানীরা চট করে বার করতে পারবে না – অর্থাৎ অনেকটা সময় গৃহবন্দী থাকতে হবে। যাদের অন্যান্য যন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের মরবার চান্স বেশি – তাতে করে বুড়োরাই মরবে বেশি’। লিন্ডসি বললেন, ‘আর উন্নত দেশের উপর এটাক বেশি? সেটা কি করে নিশ্চিত করবে?’ ‘সেটার একটা সমস্যা আছে – তবে আমি তারও একটা প্ল্যান ভেবেছি। যারা সরাসরি বা ১/২ স্টেজের মধ্যে ল্যাবের এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসবে তাদের ক্ষেত্রে এর প্রকোপ বেশি হবে। তাই আমি তোমার কাছে এবং আমাদের বাকি সব সঙ্গী যারা আছে ইটালি, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এই সব দেশগুলোয় তাদের কাছে আমি আলাদা করে ভাইরাস পাঠিয়ে দেব। তারপর আমাদের এখানে ছড়িয়ে দেওয়ার কিছুদিন পরপর তোমরা তোমাদের দেশেও ছড়িয়ে দেবে। লোকে ভাববে এখান থেকে রোগটা ছড়িয়েছে। কেউ আমাদেরকে এর পিছনে ধরতে পারবে না। খুব বেশি হলে আমি একা ধরা পড়ব – ব্রুনোর গল্প শুনিয়েছিলে না, ধরে নাও এক্ষেত্রে আমিও এক শহীদ হব ধরা পড়লে আর না হলে আমিই এর ক্যারিয়ার হয়ে সকলের মধ্যে সেঁধিয়ে যাবো। তবে তোমরা কিন্তু ভুল করেও আগে এই ভাইরাস ছড়িয়ে ফেল না, কটা দিন অপেক্ষা করো – একই সাথে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হলে লোকে অন্য সন্দেহ করবে। এখানে রোগ ছড়ানোর কিছু পরে তোমাদের সব দেশে গেলে মানুষই নিয়ে গেছে মনে করবে সবাই। আর আমি এখানে ক্রিসমাসের আগে আগে এটা ছড়াবো কারণ ডিসেম্বরের ছুটির সময় বিদেশ থেকে অনেক বেশি মানুষ এই দেশে আসে, তারা এই রোগ ক্যারি করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেবে। সবাইকে ঘরে আটকে না রাখলে এই রোগ ছড়াতেই থাকবে’।
অনেকগুলো কথা ভাঙ্গা ইংরাজিতে বলে একটু থামলেন শিন হু। লিন্ডসি ওদিকে আনন্দে আত্মহারা, ‘বাহ শিন, বাহ! এরকম হলে দেখবে দূষণের মাত্রা অনেক কমে যাবে, পশু পাখিরা আনন্দে বাঁচতে পারবে, পৃথিবী আবার ফিরে পাবে পুরোনো রূপ’। ‘অত লাফিয়ো না লিন্ডসি! এই ভাইরাসের জের টেনে হয়ত এক বছর চলবে কিন্তু তারপর?’ শিন বললেন। ‘তারপর? তারপর নিশ্চয় মানুষ বুঝবে! তারা প্রকৃতির পরিবর্তন দেখে বুঝবে না যে কী ক্ষতি তারা করছিল দিনের পর দিন? আর প্রায় এক বছর কম রসদে থেকে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তারাও আশা করি বুঝবে জীবনের কোনটা গুরুত্বপূর্ণ কোনটা নয়!’ একটা শ্বাস ফেলে শিন হু বলেন, ‘হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। আর আমরা বিজ্ঞানীরা হয়ত বলতে পারব যে অন্তত একটা চেষ্টা করেছিলাম মানুষকে বোঝানোর – সোজা পথে অনেক অনেকবার বলে কাজ হয়নি তাই বাঁকাপথের আশ্রয় নিলাম – তারপরেও যদি না বোঝে মানুষ তাহলে শেষের সেদিনের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না! দেখা যাক!’ ‘হ্যাঁ, ভাল কিছুর আশাই করা যাক’।
এরপরের ঘটনা সকলেই জানেন। চিনের উহান প্রদেশে থেকে ছড়িয়ে পড়ল একটি ভাইরাস – আক্রান্ত হল একের পর এক দেশ, ছড়িয়ে পড়ল প্রায় সব দেশেই। কিন্তু অদ্ভুতভাবে বেশি তাড়াতাড়ি থাবা বসালো উন্নত দেশগুলোতে। মানুষ গৃহবন্দী হল, জীবন থেকে ছেঁটে ফেলল যা কিছু অতিরিক্ত। ওদিকে প্রকৃতিও মানুষের অত্যাচার থেকে রেহাই পেয়ে হাসতে লাগল। শুধু লিন্ডসির চিন্তা এরকম আর কটা দিন চলবে! শিন হুর অবশ্য চিন্তা করার কিছু নেই, তিনি স্বেচ্ছায় ক্যারিয়ার হয়ে বেছে নিয়েছেন মৃত্যুর পথ – পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য!
লেখকের কথা: ইচ্ছেমৃত্যু
জন্ম বর্ধমানের বর্ধিষ্ণু গ্রামে। পেশায় নরম তারের কারিগর আর নেশায় – রীতিমত নেশাড়ু, কী যে নেই তাতে – টুকটাক পড়াশোনা, ইচ্ছে হলে লেখা – সে কবিতা, গল্প, রম্যরচনা, নিবন্ধ যা কিছু হতে পারে, ছবি তোলা, বাগান করা এবং ইত্যাদি। তবে সব পরিচয় এসে শেষ হয় সৃষ্টিতে – পাঠক যেভাবে চিনবেন চিনে নেবেন।