লেখক : সাইনি রায়
রেহাই চাই রেহাই।
আমিও চাই তুমিও চাও,
আমরা সবাই চাই রেহাই।
গর্ভস্থ ভ্রুন সেও চায়,
মাতৃগর্ভ থেকে রেহাই।
ভূমিষ্ঠ হয়ে আধবলা শিশু বেবাক বনে যায়,
সমাজের যান্ত্রিক নিয়মে।
বড় থেকে বুড়ো হতে হতে,
নানা ঘাত-প্রতিঘাত সইতে সইতে,
সে যখন সমাজবদ্ধ জীব বনে যায়;
তখন সেই সমাজবদ্ধ জীব চায়,
বন্দিদশা থেকে রেহাই।
তোমার পোষা মেনি সেও চায়,
তোমার রোজকারের এঁটো-কাঁটা থেকে রেহাই।
টবের তুলসী গাছটাও চায়,
একঘটি জল আর একঘেয়ে নমস্কারের হাত থেকে রেহাই।
রেহাই সবাই চায়।
এ আকাশ-বাতাস-নদী-পাহাড়-সূর্য-চাঁদ-মহাকাশ-বিশ্বব্রহ্মাণ্ড,
সবকিছু চায় বহুযুগ ধরে চলে আসা;
বৈচিত্র্যহীন প্রাচীনপন্থার হাত থেকে রেহাই।
স্বাধীনতা চায় পরাধীনতার হাত থেকে রেহাই।
মুক্তির জন্য ওঁৎ পেতে বসে আছি,
ভিক্ষের ঝুলি হাতে নিয়ে তাঁর দরবারে।
তিনিও চান আমাদের নিত্যনতুন আবদারের হাত থেকে রেহাই।
তবু কারো রেহাই নেই,
সময় রেহাই না দিলে।
ততক্ষণে চলতে থাকুক কলুর বলদ খেলা;
আর জীবন সংগ্রামে
মুখে রক্ত তুলে শরীরের ঘাম নেঙড়ানোর পালা।
তাই যতক্ষণ বেঁচে আছি মৃত্যুর এপাড়ে,
অনিচ্ছাসত্ত্বেও একরকম দায়সারাভাবে জোর করে বাঁচা;
সেই মুক্তি, মোক্ষ নামক রেহাই এর আশায়।
লেখক পরিচিতি : সাইনি রায়
একটু-আধটু লেখার চেষ্টা করি।বাংলা নিয়েই পড়াশোনা। গার্গী ছদ্মনামেও লিখে থাকি। আর শিখি আত্মরক্ষার পাঠ হিসাবে ক্যারাটে।