লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ
যত বলি
যত বলি আয়
হাত নেড়ে নটবর
বলে ওঠে- হায়।
যত বলি নে
অনুপম্ বলে ওঠে
নীচে ফেলে দে।
যত বলি দ্যাখ
ডাঁয়ে-বাঁয়ে ঘাড় নাড়ে
তিন-দুই-এক।
যত বলি ধর
অপলক চেয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে দোসর।
যত বলি চল
অকস্মাৎ কাঠ হয়
চরণ যুগল।
যত বলি ওরে-
হাত জুড়ে অমাইক
বলে, ক্ষ্যামা দে রে।
খুঁটে বেঁধে নে
বলে, আগে তুমি বল
কোন্ চাঁদু হে।
যত বলি- ঠিক
ব’লে ওঠে, সবকিছু
বেতাল, বেঠিক।
প্রত্নতাত্ত্বিক মন
প্রত্নতাত্ত্বিক মন
আজ আর হৃদয় খোঁড়ে না:
টেকটোনিক প্লেটের ভাঁজ থেকে
উঠে আসা তরঙ্গ
হাওয়ার প্রাচুর্যে মিশে
বৈদ্যুতিক প্রবাহ সৃষ্টি করে,
এদিকে, সুরম্য ইঁট খসিয়ে
প্রতিটি ইমারৎ হয়ে চলেছে
প্রত্নের প্রকৃষ্ট ভবন- – – –
আজ আর ভূতাত্ত্বিক মন
হৃদয় কিনারে আসন পাতে না
উপবৃত্তিয় সাগর থেকে
ঢেউ ছুটে আসে-
শরীরের প্রতিটি অঞ্চল
লুফে নেয় সুনামির দুরন্ত আগ্রাসন!
আজ আর প্রকৃত অর্থে
সিসমোগ্রাফে হাত চলে না
না ব্যারোমিটারের ব্র্যাকেটে-
অপহৃত মন একনিষ্ট বয়ে চলে
কালাপানি, উপর্যুপরি কারাবাসন।
লেখক পরিচিতি : প্রভঞ্জন ঘোষ
সাহিত্য অনুরাগী