অম্লানটাইমস-৩

লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য

নিজেকে ভাঙ্গুন নিজেকে গড়ুন

এই পৃথিবীটা খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে। জগৎ সংসারের এই পরিবর্তন ব্যক্তি মানুষ তথা গোষ্ঠী মানুষের মনজগতেও আলোড়ন তুলছে। স্বাভাবিকভাবে, আমরা এইসবের সাথে ইনস্ট্যান্টলি পরিবতর্নের সমস্যায় পড়ছি। বুঝে ওঠা দায়, কী ঠিক আর কী-ই বা বেঠিক। এক এক সময় মনে হয়, প্রাচীনতম মানসিকতা বোধহয় অপরিবর্তনশীল। হোয়াট আই মিন টু সে দ্যাট প্রিমিটিভ আইডিয়াস স্টিল এক্সিস্ট ইন আওয়ার মাইন্ডস। একে চেঞ্জ করা এক প্রকার দুঃসাধ্য। তবে কেন বিভিন্ন মোটিভেশনাল ইনস্টিটিউশনগুলো কাজ করে যাচ্ছে, আর মানুষকেই বা কী বোঝাতে চাইছে? আসলে আমাদের কোর ফ্যাক্টরগুলো চেঞ্জ হওয়া ইম্পসিবল, তবে কিছু কিছু কসমেটিক পরিবর্তন হতে পারে। বেসিক পরিবর্তন একপ্রকার অসম্ভব।

বাট ওয়ান থিং উই নিড টু সে বিফোর, ফ্রেন্ডস। যেটা হবেই না তা বলে দেওয়া দরকার। আর যেটা হবে, সেটা কতটা হবে তাও বলা দরকার। শুধুমাত্র বিজনেস পারপাসের জন্য মোটিভেট করা উচিৎ নয়। আমাদের কখনই রিলিজিয়াসলি এসব করা ঠিক না। মানুষ সমস্যার সমাধান চায়, তাকে বলা উচিৎ কোনটা হবে আর কোনটা হবে না। তার বেসিক আইডিয়াসগুলো কখনই পরিবর্তন হবে না। যেটা হবে তা হল তার কিছু চেঞ্জ ইন বিহেভিয়রিয়াল প্যাটার্নস, এছাড়া আর কিছুই নয়। বাট উই ডোন্ট টেল দেম ওনলি বিকজ উই মেনটেইন দিস অ্যাজ আ প্রফেশন, উই মাস্ট টেল দেম দ্যাট পিপল মাস্ট নো দি ডিটেইলস অফ দি হিউম্যান ব্রেন, বডি, অ্যান্ড অ্যাবাভ অল, এভরিথিং আন্ডার দি সান। সো উই শুড টেল দেম দ্যাট লুক ইনটু ওয়ান্স ইনার সাবজেক্ট। মানুষকে বোঝাতে হবে তুমি নিজের দিকে তাকাও, সমস্যাগুলো বোঝো, অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিতে – কোন ধর্মগুরু বা অন্য কোন গুরুদেবদের এখানে প্রয়োজন নেই। একমাত্র গুড ডক্টরস বা কিছু ননপ্রফিটেবল অর্গানাইজেশন যদি থাকে, যারা সত্যটাই বলবে কোন ধরনের ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ছাড়া, শুধুমাত্র তাদের কথা শোনা যেতে পারে। আর সবার আগে মানুষকে যদি এডুকেট করা যায়, তাহলে তো কেল্লাফতে।

আজ এই অবধি, সি ইউ সুন।

অম্লানটাইমস। কলকাতা।


আগের ও পরের পর্বের লিঙ্ক<< অম্লানটাইমস-২

লেখক পরিচিতি : অম্লান ভট্টাচার্য
জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭, কলকাতা। স্কুল - ঢাকুরিয়া রামচন্দ্র হাইস্কুল, কলেজ - সেন্টপলস, বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক, কলা বিভাগে স্পেশাল স্নাতক, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ডিপ্লোমা ও টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ অবসর। এযাবৎ তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত, মূলত কবিতা প্রাধান্য পেয়েছে লেখালেখিতে এবং এই সূত্রে চতুর্থ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।