কবিতা পাঠ
লেখক : শংকর ব্রহ্ম
বিশেষ প্রকারের আনন্দ দেওয়াই কবিতার প্রধান কাজ। কবিতা পাঠের আনন্দ আর অন্য পাঁচ রকমের আনন্দ থেকে আলাদা, বুঝতে হবে। আর তা না হলে, সাধারণ আমোদ প্রমোদ বা কবিতা পড়ার আনন্দের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না।
কবি …
বিশেষ প্রকারের আনন্দ দেওয়াই কবিতার প্রধান কাজ। কবিতা পাঠের আনন্দ আর অন্য পাঁচ রকমের আনন্দ থেকে আলাদা, বুঝতে হবে। আর তা না হলে, সাধারণ আমোদ প্রমোদ বা কবিতা পড়ার আনন্দের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না।
কবি …
হেমেনের আঁকা নারীর শরীরে যৌনতার আভাস আছে। ভেজা শাড়ির ওপর ফুটে ওঠা নারীর শরীরের ভাঁজ, বাঁক, পেশি, হাড় মুগ্ধ নয়নে দেখবেন যেকোনো পুরুষই, এমনকি অনেক নারীও চোখ ফেরাতে পারবেন না নিশ্চিত। এখানে আরেকটি লক্ষণীয় …
ময়মনসিংহের গচিহাটার মজুমদারবাড়ি। সাত আট বিঘা জমি, বসতবাড়ি, ধানের গোলা ছাড়িয়ে সামান্য এগোলেই টল-টল করছে পুকুর, পাশে বাঁশঝাড়, মাঝেমধ্যেই দুলে উঠছে হাওয়ায়। আবহে ভাসছে তাদের শিরশিরে পত্রালাপ। সকাল থেকে নিঝুম দুপুর জুড়ে এমনটাই চলতে থাকে। এরই …
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাতজি জার্মানি ইউরোপিয় ইহুদি দের উপর যে হত্যা কান্ড চালিয়ে ছিল সেই ঘটনাকে হলোকস্ট বলা হয়।
এই হলোকস্ট শব্দ টা প্রাচীন গ্রিক শব্দ holokaustos থেকে এসেছে, যার অর্থ, হল SACRIFICE BY FIRE, যদিও …
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের ভিতর দিয়ে ইংরেজরা বাংলার শাসন ক্ষমতা লাভ করে। ইংরেজরা তাদের নতুন শাসনব্যবস্থা ও ভূমিব্যবস্থা প্রবর্তন করে বাংলার গ্রাম্য সমাজের পুরনো কাঠামোকে ভেঙে ফেলল। ব্রিটিশরা বাংলার ক্ষমতা লাভের পর ক্রমাগত করের চাপে, …
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস শুরু হয় ৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে। ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ অবধি সময়কালের ব্যাপ্তিকে বলে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ। এর পরবর্তী দেড়শ বছর, অর্থাৎ ১২০০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত ছিল বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ। এই …
এখন আমরা সে ভাবে তাজ মহলকে দেখতে পাই না যে ভাবে শাহজাহান চেয়েছিলেন, বর্তমানে আমরা তাজ মাহলে যেদিক থেকে প্রবেশ করি সেটা আসলে তাজ মহলের পিছনের দিক। মোগল আমলে তাজমহল পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল নদী, …
সিরাজ সাঁই এর সংস্পর্শে এসে লালন জেনেছেন মহাযোগের খবর। সে খবর যোগেশ্বরী কে ধরে জানতে হয়। যোগেশ্বরী—কি বিশাখা? (মতিবিবি)
হ্যাঁ বিশাখা এগিয়ে এসেছে। এযে বাউলের সাধনা, সাধনা করতে সঙ্গিনী লাগে। অথচ সাধন হয় একার! এ কেমন সাধনা?…
লালন সাঁই দেহভান্ড কাব্যে পঞ্চভূতের অবস্থান বোঝাচ্ছেন ।
আকাশ বা ব্যোম –শব্দগুণ কানে স্থিতি–কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, লজ্জা।
বাতাস স্পর্শ গুণ–চামড়ায় স্থিতি–ধারণ, চালন, সঙ্কোচন, প্রসারণ।
আগুন–রূপগুণ–চোখে স্থিতি –ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা, ভ্রান্তি, আলস্য।
পানি বা অপ — রসগুণ-জিহ্বায় …
“কানাই কার ভাবে তোর এ ভাব দেখিরে/ব্রজের সে ভাব তো দেখি নারে
পরনে ছিল পীতধড়া, মাথে ছিল মোহন চূড়া—করে বাঁশি রে! “—লালন।
বাঁকা নদীর ধারে ভোর আলতো করে ঘোমটা খুলছে। গায়ে একটা সাদা কাপড় জড়ানো, একদৃষ্টে পুবের …
এ যে বড় আজব কারখানা–
সিরাজ সাঁই এর কাছে দীক্ষা গ্রহণের পর একটা আমবাগানে বসে লালন গান বাঁধতেন মুখে মুখে, আর একতারা নিয়ে বিভোর হয়ে থাকতেন। তাঁর গান মানুষের মুখে মুখে ফিরত। কুষ্টিয়ার কাছে ছেঁউড়িয়ায় নদী কিনারে …
সে যে মনের মানুষ, কেন তারে বসিয়ে রাখিস নয়নদ্বারে ?
ডাক না রে তোর বুকের ভিতর, নয়ন ভাসুক নয়নধারে —রবি কবি।
সন্ধ্যা নামছে ধীরে, পাখিরা ফিরছে আপন কুলায়। দূরে শাঁখের শব্দ শুনতে পেল মানুষটা। চোখের সামনে ভেসে …
লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন