কি যেন এক আলো
লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ
ধরি ধরি,ঠিক পারি না
কি যেন এক আলো
নিত্য করে আনাগোনা।
চুনির আলোর গুন ছাপিয়ে
শরীর করে চাঙ্গা
মোতির আলোর রূপ ছাপিয়ে
বক্ষ করে চোখা…
সকল রত্নরাশির আলো
সেই আলোতে মেশে,
ধরি ধরি ঠিক পারি না…
ধরি ধরি,ঠিক পারি না
কি যেন এক আলো
নিত্য করে আনাগোনা।
চুনির আলোর গুন ছাপিয়ে
শরীর করে চাঙ্গা
মোতির আলোর রূপ ছাপিয়ে
বক্ষ করে চোখা…
সকল রত্নরাশির আলো
সেই আলোতে মেশে,
ধরি ধরি ঠিক পারি না…
তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়
ছেঁড়া মস্তিষ্কের কগনিটিভিটি,
দলে দলে ছেড়ে যায় আপন
নাবালিকা পিঁপড়ের গতি !
আজও আমি স্তব্ধ
অপলক নিঃশব্দ,
অনাবিল আবরণে
নিঃশ্বাস সূর্যাস্ত!
নাতো লড়াই নাতো ভাঙন
নাতো গড়ার স্বপ্ন ,
নাতো …
তোমার প্রতি আমার ব্যাকুলতার জন্যে,
আমি এখন খুব নিস্তব্ধ হয়ে গেছি,
যদিও আমার ব্যাকুলতা কখনো তোমার অনুভবে আসে না!
তবুও আমার মমতার দৃষ্টি
সব-সময় তোমার প্রতি,
কিন্তু তুমি যে অভিমানে খুবই অনল!
যদিও তোমার নির্লিপ্ততা দেখে, …
সরোবরের শীতল শীতল
স্ফটিক-স্বচ্ছ জলে
শঙ্খশুভ্র হাঁসগুলি সব
চপল খেলা খেলে।
কোমল-কোমল পাঁপড়ি মেলা
স্নিগ্ধ দৃশ্যাবলি-
এদিক ওদিক খিলখিলানো
শ্বেত পদ্মগুলি।
হঠাৎ কখন রাজহংস
আকাশ থেকে প’ড়ে
সাদা শোভার বহর আরো
বাড়িয়ে দিল নীরে!
—————————————————————————————
লেখক …
শীতের সন্ধ্যাবেলা এক পশলা বৃষ্টি এসেছিল
হঠাৎ করেই কোথায় যেন কে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলেছিলো
আমার শীতের সন্ধ্যাবেলার এক পশলা বৃষ্টি তোমাকে দিলাম
তোমাকে সাজাবো আজ বৈষ্টমী সাজে
কবিতার ছন্দে সুরে নেচে নেচে
সন্ধ্যার সেই ঠান্ডা …
যে তুমি লালিত্যে গৃহকোণ গড়েছ,
হাত ধরে প্রতিদিন সাতপাকে বেঁধেছো,
রেখেছ তাদের সবকিছু বাঁচিয়ে।
সেই তুমি কাঁধে কাঁধ হাতে হাত রাস্তায়,
বিচার চাই বিচার দাও হুঙ্কার দিয়েছো।
লেখা থাক ইতিহাসে, লেখা হোক কাব্যে,
বেঁচে থাক প্রতিবাদ …
তোমার স্বপ্নে আমি অনেক রঙ দেখি,
নদীর জল আর মিষ্টি বাতাসের গন্ধ পাই।
সূর্য যখন ডোবে, আকাশ লাল হয়ে যায়,
কিন্তু আমি একা, কারণ তুমি পাশে নেই।
মেঘের মাঝে লুকানো তারা যখন আসে, …
তখন ধুলোর শয্যা ছেড়ে
সূর্যদেব পাটে উঠলেন
আর কালপুরুষ পরে নিলেন
তাঁর সান্ধ্যকালীন শীতপোশাক
শহর জুড়ে রঙিন আলোয়
রাতভর বেচাকেনা চলল
আর পথ হারিয়ে এক দুঃখী মেয়ে
কেঁদে কেঁদে শেষ করলো তার হাসবার সময় …
অবশেষে …
মুখে বিষ ঢেলে কবিও একদিন ছবি হতে চেয়েছিল।
এক কাকের মৃত্যুতে অসংখ্য কাকের সমবেদনা কী বিস্ময়ের!
এবং ঘরে মৌলিক স্বরে সংঘাত। শিল্প হন্তারক রাজকোকিল।
আজ পাখিরা আলো চায়। ছায়া চায়। আধিপত্য চায়।
অথচ শৌখিন কবি মুখিয়ে …
তুমি এখন টাইগার হিল -এ দাঁড়িয়ে সূর্যের আলোয় ভেজা, ঢেউ খেলানো কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্য কিনতে ব্যস্ত।আমি আমার জন্মভূমিতে দাঁড়িয়ে, শুকনো বালিয়াড়ির প্রখর যন্ত্রনা কিনছি আজকাল। পাগলী বুড়িটা সকাল থেকে সন্ধ্যা কুড়োতে থাকে ছেঁড়া কাগজের টুকরো,আর পতনশীল …
বারিদ থেকে বারি পরলে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি মনের জমানো কথা গুলো হয়।
মেঘ করলে গুড় গুড়,
বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর।
পূর্ণ নদী,নালা,ডোবা,পুকুর।
জাল ঝারতাম সকাল দুপুর,
পাইতাম হরেক রকম মাছ।
কই,পুটি আর টাকি মাছে…
আমার স্বাধীনতায় বারবার পোকা কাটে,
বারবার,
আহত মন নিয়ে ছুটে যাই
বহমান নদীর কিনারায়,
পৃথিবীর সব মানুষ, সব ভাবনা নিজেদের
মধ্যে কাটাকুটি খেলায় মত্ত,
আমি যতই আকাশ দেখি
বাতাসকে বুকে জড়িয়ে ধরি
গাছেদের ফুলে পাতায় নিঃশ্বাস …