সেই মেয়েটি
লেখক : আলী ইব্রাহিম
তার পায়ের আওয়াজ পেয়েই এগিয়ে গেলাম
তার চোখে চোখ পড়তেই ভ্রষ্ট হলাম
তার চোখে চলতে গিয়ে সব হারালাম!
সেই মেয়েটি
হারিয়ে গেলো,
কষ্ট পেলাম!
সেই মেয়েকে
খুঁজতে গিয়ে
হৃদয় পুড়ে ক্লান্ত হলাম!
সেই মেয়েটি
সেই যে …
তার পায়ের আওয়াজ পেয়েই এগিয়ে গেলাম
তার চোখে চোখ পড়তেই ভ্রষ্ট হলাম
তার চোখে চলতে গিয়ে সব হারালাম!
সেই মেয়েটি
হারিয়ে গেলো,
কষ্ট পেলাম!
সেই মেয়েকে
খুঁজতে গিয়ে
হৃদয় পুড়ে ক্লান্ত হলাম!
সেই মেয়েটি
সেই যে …
আমরা হলাম জাত বাঙালি
সর্বশ্রেষ্ঠ সবার সেরা
তুলনায় তো নস্যি সবাই
এই সীমানার বাইরে যারা
হিন্দুস্থানী, খোটটা মেড়ো
ওরা হ’ল অশিক্ষিত
টক খেকো, আর কালো রঙের
দক্ষিণীরা অনার্য তো!
মঠ মন্দির আছে সেথায়
লোকেও দেখি যায় …
ভোর সকালে
ঘুম ভাঙালে
করিয়া আহ্বান
আপন মনে
মুয়াজ্জিনে
দিতাছে আজান
শুকরিয়া তাই
তোমাকে ভাই
জাগাও মোদের রোজ
ভোরের পাখি
দিচ্ছে ডাকি
চির শান্তির খোঁজ
আহা কি সুর
মিষ্টি মধুর
হৃদয় জুড়িয়ে যায়
নিদ্রা হতে
জলদি …
মাঘের তীব্র শীত শেষে,
রুক্ষ প্রকৃতি উঠিল হেসে।
ঘরের পেছনের মেহগনি বন
ঝরে গেল সব দুঃখ তার ;
শাখায় শাখায় নতুন পাতায়
উৎসব নব সবুজের উন্মাদনায়।
থেকে গেল শুধু হৃদয়ের স্তব্ধতা।
বসন্তের আগমনে রাস্তার দু’ধারে
সাদা …
কোথায় যেন যাবার ছিল, কোথায়?
কী যেন কী করার ছিল, কী?
আমার কোথাও যাবার নেই
করার কিছুই ছিল না কাল।
সময় এবং স্রোতের এ সব মিথ্যে প্রতীকী!
লেখক পরিচিতি : স্বপন নাগ
জন্ম দশ জুলাই, ১৯৫৭
আজও চলে বুজরুকি
গোষ্টীপ্রথার গোঁয়ার্তুমি
এখনও হায় গেল কি?
আর কতদিন সময় দেবেন
উদারমূর্তি ভগবান
আজও সমান চৌর্যবৃত্তে
দস্যু-ডাকাত মূর্তিমান- – –
একলা খাবার দিনগুলো
(ফলমুল-দুধ-মাখন-ঘৃত)
আজও কি হায় শেষ হল!
আর কতকাল রশ্মি টেনে
এইভাবেতে …
ভেজা আষাঢ়ের মধ্য বিকেল,
সারা পৃথিবী যেন অশ্রু সিক্ত
আষাঢ়,
এক বেদনাবিদ্ধ অস্ফুট ডাক
আমার চারিদিক,
এখন আবছা কালোয় বিষন্ন
আকাশ বাতাস,
কোথা থেকে একটা ডাক
ভেসে আসে থেকে থেকে-
যেন দূরের কোনো শব্দ-
ক্লিষ্ট,দীর্ন …
অজানাকে জয় করে
লিখেছ বিজয়গাথা,
সভ্যতা
তুমি অজাতশত্রু নও।
পদচিহ্ন মাঝে
নিটোল স্বার্থের জাল,
মদির আঁখিতে ধরা দেয়
ধর্মজীবির দল।
নোনা আস্বাদে শ্বাপদের হাসি
রক্ত নদীতে ডাকে বান।
হিংসার গরল স্রোত
রাজপথ, গলিপথ জুড়ে,
দেবালয়, শান্তির …
কল্পনাতে তুমি বটবৃক্ষ।
ফাঁকা মেঠোপথের ধারে
যেখানে গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে
মেঠো কৃষক, রাখাল, ক্লান্ত রমনী, হাঁটুরের দল
শান্তি খুঁজে পাই।
আমি এর ব্যতিক্রম নয়,
তোমার ছায়াতলে, হাতের নাড়ালে, শুভ্র চরণে
কী শান্তি তা কি বোঝান যায়?…
তিন্নী আমার বন্ধু।
তিন্নী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ভালোবাসতো।
‘কেউ কথা রাখেনি, আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি’
আবৃত্তি করে বলতো, আহা! সুনীল কী লিখেছে মাইরি!
তিন্নী আসাদ চৌধুরীর ‘বারবারা বিডলারকে’ পড়ার পর খুব কেঁদেছিল।
আর বলেছিল, এরকম কবিতাও …
আমরা বাবু চাষাভুষা
মাঠ আমাদের মিতা
কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা টুকু পাই
তাই গিলি, শাকপাতা- – –
বিদ্যালয়ের ধার ধারি না
মাড়াই না তার ছায়া
আল আমাদের ঝুল-বারান্দা
জমিন খানি দাওয়া।
খেতখামারের জল ঘুলিয়ে
মাছ টুকু …
তখন থেকে বলছি, তুই নাই শুনা পাছিস ন-কি রে! ফোনটা ইবার রাখবি নাকি কাচড়াই ভাঙে দিবো। দশ-দশ বারো হাজার টাকার ফোন লিবেক আর কাজের বেলাই ফাঁকি। বলেছিলি ন বরটাঁড়ে জাঞে এক হাল কাড়া ছেইলা কিনে দিব …
লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন