ধাঁধা নিয়ে ঘোরাঘুরি
লেখক : শিখা চক্রবর্তী
গাড়ি ঘোড়া নিয়ে ঘোরা
মানে শুধু ঘোরাফেরা
ধাঁধা নিয়ে ঘোরা হলো
মগজের নাড়াচাড়া
সেসুত্র মেনে আজ লিখলাম
যেই ছড়া
মানে তার মানে খুঁজে
সময়কে পার করা
***
হা করে ওড়া দেখি
হালুয়ার ভাই এ কি
ঘণ্টা …
গাড়ি ঘোড়া নিয়ে ঘোরা
মানে শুধু ঘোরাফেরা
ধাঁধা নিয়ে ঘোরা হলো
মগজের নাড়াচাড়া
সেসুত্র মেনে আজ লিখলাম
যেই ছড়া
মানে তার মানে খুঁজে
সময়কে পার করা
***
হা করে ওড়া দেখি
হালুয়ার ভাই এ কি
ঘণ্টা …
চোখের কাছে যাই
চোখ বলে কি চাই?
হাতি-ঘোড়া, চিরুনি, দেশলাই
সোনা-রুপো, পুতুল, বাঁধানো বই
ইত্যাদি-ইত্যাদি-
পায়ের কাছে যাই
পা বলে কি চাই?
পাহাড়-পর্বত, রাজপথ
উচ্ছল নদী-প্রান্তর
ঘর-বারান্দা, ছাদ, সিঁড়ি,
দুব্বো দিতে পারি,
পিচ, ঝামা, বাতা-বাখারি
ইত্যাদি-ইত্যাদি-…
আগুনঘরে রাষ্ট্রের কুশপুত্তলিকা দাহ
যাজকতন্ত্রে জলজমিন ক্রমাগত বৃদ্ধ হয়।
সদাইমাছি রাজপুত হতে চায়,
নিদারুণ কাল; ধ্বংসযজ্ঞে
ত্রিশ লক্ষ মানুষের ইতিহাস ছিঁড়ে খায়।
ভূমিরেখায় আর্নিকা কষ্ট;
সজারু বাতাসে জল প্রার্থনায়
আমাদের দেবদারু বন অপেক্ষমাণ।
অতলান্তে জেগে ওঠে …
বৃষ্টি এলো ঝরঝরিয়ে কুসুমতলী গাঁয়ে,
নরম ঘাসের লাগলো ছোঁয়া খুকুর মণির পায়ে,
ফুটল কদম ফুটল কেয়া, ফুটল টগর ফুল,
চিলে এসে নিয়ে গেল খুকুর কানের দুল,
আকাশ পাতাল খোঁজার পরে পড়লো ধরা চিল,
হাতে পেয়ে চিলের …
।।১।।
যে জাতি যতই হোক সভ্য,
কোনও অর্জুনই চাইবে না আর এক একলব্য।
আমি হই আইনস্টাইন,
তোর বাপ নিশ্চয়ই চায়না!
সবারই মধ্যে লুকিয়ে থাকে হিংস্র এক হায়না।
।।২।।
নীতি ধুয়ে যাক বাস্তবতায়,
মানুষেরও কিছু অন্ধকূপ …
নিশ্চুপ-নীরব
শান্ত-সমাহিত প্রকৃতি
বুদ্ধবৎ,
তাকে তুমি যতই ধমক্ দাও
প্রত্যাঘাত নেই,
নেই কোন দ্বিরুক্তি
দন্দ্ব-কোঁদল
বিপরীত, দিয়ে যায় নৃত্যের দোল।
পেলব, চিকন,
নমনীয়,
ফুরফুরে তনু:
তাকে তুমি যত ডলো
কুটি করো অবয়ব সবি’
বিনিময় দিয়ে …
নদীর ঘাটে পাঠশালা ফেরত ছেলের দল কি ডুবসাঁতার খেলে?
ওপারের হিজল তলায় বসে ছিপ ফেলে বসে থাকে কি
কলু বাড়ির ছােট ছেলেটি?
খেয়াঘাটে মাঝিবউ কি ভাত হাতে অপেক্ষা করে তার
দেবতার তরে?
গােধুলি লগনে জল তুলে …
আমি ছিলাম ভালোই আগে।
এখন করি শুধুই পাগলামী।
না না না, তবুও কিন্তু আমি
খুবই দামী।
কারণ – আমার মনে যে কবিতা জাগে।
আমার কবিতা চাঁদের গায়ে গিয়ে লাগে।
তারাদের পিছে ভাগে।
আমার কবিতা পেয়ার …
তার পায়ের আওয়াজ পেয়েই এগিয়ে গেলাম
তার চোখে চোখ পড়তেই ভ্রষ্ট হলাম
তার চোখে চলতে গিয়ে সব হারালাম!
সেই মেয়েটি
হারিয়ে গেলো,
কষ্ট পেলাম!
সেই মেয়েকে
খুঁজতে গিয়ে
হৃদয় পুড়ে ক্লান্ত হলাম!
সেই মেয়েটি
সেই যে …
আমরা হলাম জাত বাঙালি
সর্বশ্রেষ্ঠ সবার সেরা
তুলনায় তো নস্যি সবাই
এই সীমানার বাইরে যারা
হিন্দুস্থানী, খোটটা মেড়ো
ওরা হ’ল অশিক্ষিত
টক খেকো, আর কালো রঙের
দক্ষিণীরা অনার্য তো!
মঠ মন্দির আছে সেথায়
লোকেও দেখি যায় …
ভোর সকালে
ঘুম ভাঙালে
করিয়া আহ্বান
আপন মনে
মুয়াজ্জিনে
দিতাছে আজান
শুকরিয়া তাই
তোমাকে ভাই
জাগাও মোদের রোজ
ভোরের পাখি
দিচ্ছে ডাকি
চির শান্তির খোঁজ
আহা কি সুর
মিষ্টি মধুর
হৃদয় জুড়িয়ে যায়
নিদ্রা হতে
জলদি …
মাঘের তীব্র শীত শেষে,
রুক্ষ প্রকৃতি উঠিল হেসে।
ঘরের পেছনের মেহগনি বন
ঝরে গেল সব দুঃখ তার ;
শাখায় শাখায় নতুন পাতায়
উৎসব নব সবুজের উন্মাদনায়।
থেকে গেল শুধু হৃদয়ের স্তব্ধতা।
বসন্তের আগমনে রাস্তার দু’ধারে
সাদা …
কোথায় যেন যাবার ছিল, কোথায়?
কী যেন কী করার ছিল, কী?
আমার কোথাও যাবার নেই
করার কিছুই ছিল না কাল।
সময় এবং স্রোতের এ সব মিথ্যে প্রতীকী!
লেখক পরিচিতি : স্বপন নাগ
জন্ম দশ জুলাই, ১৯৫৭