রঙের দিনে লেখা দুটি কবিতা
লেখক: রুবাই শুভজিৎ ঘোষ
দোলের দিনে লেখা
অবশেষে হতাশ লাগে
যখন ফিরি বাড়ির পথে
খুঁজে বেড়ায় মন
একটা স্পর্শ, একটা অনুভূতি –
আসলে একটা হাতের ছাপ!
তোমার কপালে লাল রঙ এখন
আমার কপালে কালো
আর মন হাতড়ে বেড়ায়
অতীতের রঙিন …
অবশেষে হতাশ লাগে
যখন ফিরি বাড়ির পথে
খুঁজে বেড়ায় মন
একটা স্পর্শ, একটা অনুভূতি –
আসলে একটা হাতের ছাপ!
তোমার কপালে লাল রঙ এখন
আমার কপালে কালো
আর মন হাতড়ে বেড়ায়
অতীতের রঙিন …
।। ১ ।।
কী ভীষণ পাগল ছিলে
হোলিখেলার আবির
কপালে সিঁদুর করেছিলে
কী ভীষণ পাগল ছিলাম
সিঁদুর দান শেষ
হোলির শেষে ভেবেছিলাম
কী ভীষণ পাগল আজও
প্রতিটি হোলির দিনে
তোমার আমার বৈধব্য
।। ২ ।।
কে যেন …
এক সমুদ্র নোনা জল শুকিয়ে
মনের আকাশে মেঘ হয়ে উড়ে চলে
সুবিশাল এক পাহাড়ের ঠিকানায়
যার পাদদেশে আমার স্বপ্নের বাড়ি।
পাহাড়টি আমার সুপরিচিত
আমি প্রতিদিন তার যত্ন করি,
পাহাড়ই আমার স্বপ্ন বাড়ি।
আমি পাহাড়টি দিয়েই সূর্য …
বাদ পড়ে আছে বহু প্রকল্প
আজ বড় ভিড়
সুললিত তীর্থে
আজ অভিমানে বেড়াতে গেছে
নবনির্মিত কোলাজের বহু সংকল্প
তবু, বিষাদের কথা যদি বলতেই হয়
তবে বলতেই হয়,
আজ কারোর সাথে দেখা হয়নি
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
আর বিচ্ছিন্ন …
বৃত্তায়ন এর ভেতর থেকে এগিয়ে চলার নাম নারী,
সন্তানের পাশে নির্ঘুম রাত কাটানো নারী।
স্বামীর অবহেলার পাত্রী নারী,
আবার স্বামীর ভালোবাসার মানুষটিও সেই নারী।
সংসার জীবনে মূল্যায়ন না পাওয়ার নাম নারী,
আবার চাকরিতেও কটু কথা শোনার …
শুনছি নাকি আজ কবিতা দিবস!
চলো মন ময়ূরপঙ্খী নাও এ ভেসে
শুক্লা পঞ্চমীর রাতে কবিতা পড়বো আজ।
তুমি দেবে সাত সাগরের ভাষা
আমি দেব সপ্তনদীর সুর।
হৃদয় টাকে ইচ্ছে হলে
খোলা আকাশে ঘুড়ির মত,
উড়িয়ে দিতে পারো।…
বিকেলে আকাশের গা কমলা হলে
আমি কমলালেবু খাই
ওদের টেবিলটাতে পা ছড়িয়ে যেমন পড়ে থাকে খোসা আমি গন্ধ খাই
তারপর আকাশ গোলাপী হঠাৎ
মনে পড়ে, ছাদের গোলাপ বাগানে জল দিতে হবে ঝাঁঝরি হাতে ছুটে যাই
আকাশ …
চলো না একটু ভালোবাসি
চলো না একটু কাছে আসি
চলো না একটু মন খুলে আসি
চলো না উড়ি ঐ নীলাকাশে
চলো না ভাসি মৃদুমন্দ বাতাসে
চলো না ভিজি বৃষ্টিতে,
শুধু দুজনের ছবি থাকুক একে অন্যের দৃষ্টিতে।
চলো …
আসবে না অনুমিতা
বলে গেছে তোমার সঙ্গে আড়ি
ছিলো কিছু ভুল কথকতা
অনেক মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
আসো ফিরে যদি
দেবো তোমায় পুরো পর্বত আর বনভূমি
আর কি চাও? দূকূল ছাপানো নদী
পথের ধারে একটা বাগান বাড়ি।
লেখকের কথা: …
কোনো কোনো মানুষ এক একটা ব্রীজ
একই সঙ্গে ক্ষয়শীল ও সহনশীল
বিষাদময় অথচ কর্তব্যপরায়ণ
নানা সম্পর্কের বজ্রাঘাত সহ্য করেও তারা দেয় নীলাঞ্জনছায়া
বৈধ অবৈধ সম্পর্কের সংগ্রাম চেতনায় ভস্মমেঘ সরিয়ে
শতাব্দীব্যাপী ডানা মেলে তারা দাঁড়িয়ে
তারা তোমার …
সামান্য প্রশান্তি অনতিদূরে
খেদ প্রাক্তন বনিবনার
ছেড়ে যায় জাহাজ বন্দর পুকুর
বিষণ্ণ মুখ মুকুরে
বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর
যদিও কৃষি সামান্য অনতিদূরে
হৃদয়পুরে
সামান্য সামান্য সব কিছু সমস্তপুরে
নিমগ্ন ভাপ
অলীক বোধন
খড়ের কাছে নিমিত্ত তাপ
বেজে …
কি হতে চাও
ছেলেটি বলল, ঈশ্বর …
ক্ষুদে ছোকরা এখনও মনে মনে তাই মানে একবার ঈশ্বর হতে হয় …
এভাবেই গত শীতে চাদর জড়িয়ে ঘুম মেপে নিয়ে ফেরিওয়ালা সে …
গত সন্ধে ফের শুনতে পাচ্ছে এসে …
গর্ভে সহ্য করেছ অসংখ্য লাথি,
তবু,দিনের শেষে,
ঘরে ফেরা তোমার বৃদ্ধাশ্রমে।
আত্মবলিদানের মূর্তি, সখ-সাধ বিসর্জনের প্রতিমা তুমি।
কখনো অমুকের মেয়ে,কখনো অমুকের স্ত্রী, কখনো অমুকের মা;
ভুলেছ তোমার নিজ পরিচয়।
এক চিলতে সিঁদুর শেষে,
বহুপরিচিত পদবিটাও,আর তোমার …
লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন