প্রিয়তমা
লেখক : স্বস্তিক মাইতি
হ্যাঁ, তুমি খুব সুন্দর।
কিন্তু, আমার অগোছালো চুল কি তুমি ঠিক করে দেবে ?
ঠিক করে দেবে জামার কলার ?
আটকে দেবে কি গলার কাছের বোতামটা ?
সহ্য করতে পারবে, আমার অসময়ের বকবক আর সময়ের নিস্তব্ধতা …
হ্যাঁ, তুমি খুব সুন্দর।
কিন্তু, আমার অগোছালো চুল কি তুমি ঠিক করে দেবে ?
ঠিক করে দেবে জামার কলার ?
আটকে দেবে কি গলার কাছের বোতামটা ?
সহ্য করতে পারবে, আমার অসময়ের বকবক আর সময়ের নিস্তব্ধতা …
নিজেকে খুঁজি ভাঙা প্রতিচ্ছবির ভিতর—
যেখানে তুমি ছিলে এক সময়,
এখন কেবল শূন্যতা জেগে থাকে চোখে।
হাসি আছে, আলোও আছে,
কিন্তু আত্মাটা কোথায় যেন পথ হারিয়ে গেছে।
সব কিছু ঠিকঠাক মনে হলেও,
আয়না জানে—আমি আর …
আমি এক অতি সাধারণ লোক
অথবা যাকে ব্যঙ্গ করে বলাই যায় “অ-সাধারণ!”
নিতান্ত সাদামাঠা ছোটবেলা – ম্যাড়ম্যাড়ে, সাদা-কালো।
সেই “সুবোধ বালক”কে মনে আছে?
যার গল্প শুনে সবাই বলে “আহা! ছেলেটা কি ভাল!”,
যার কথা লেখা আছে …
যেখান থেকে শুরু-
তার কথা তো বলে না,
সিংহাসনের কথা বলে
মাটির আসন চলে না।
যার কারণে বেড়ে ওঠা
সে নয় চেনা ততো,
গড়ের মাঠের ভূমি প্রিয়
চাষের জমি তেতো।
যে সব সরল বাক্য নিয়ে
শুরু …
2ND WORLD WAR —
NAZI বাহিনীর মধ্যে দিয়ে –
যে সব মানুষেরা গিয়েছে –
আমি তাদের কিছু কিছু কথা জেনেছি –
আইনস্টাইনটা এখনও বেঁচে আছে কি করে?
এ কথা আইনস্টাইনকে শুনতে হয়েছে বারে বারে –
আমাদের সবই লোকাল …
একদিন তো ঘুমোবো বলে
ঘুম থেকে উঠেছি
জাগার সময় ফুরোলেই বলি:
“সবে তো ঘুম থেকে উঠেছি”
লেখক পরিচিতি : নাঈমুল হক
লিখতে ভালবাসি। আমার আর গল্পঃ আছে প্রকাশিত, এই নামে বিগত বছর, ভালো লাগলে জানাবেন।
তোমার কোলের সেই উষ্ণ আলিঙ্গন, রাতের গল্প, স্বপ্নের প্রথম সঞ্চারণ।
তোমার হাতের পরশে জীবন রঙিন, দুঃখে-সুখে তুমি আমার চিরঅন্তরীণ।
মনে পড়ে সকালের মিষ্টি ডাক,
তোমার হাসিতে লুকানো অশ্রুর মাক।
কত ত্যাগ, কত ভালবাসার দান,
তোমার ছায়ায় …
আমি চলে যাওয়ার পরেও
তোমার শহরে বসন্ত আসে।
আমি চলে গেছি বলে তোমার
হাতঘড়িটা বন্ধ হয়ে যায় না।
আমি চলে যাওয়ার পরেও
তুমি প্রতিদিন তোমার জগতে থাকো।
তোমার জগতে ফুল ফোটা
পাতা ঝরা একদিনও বন্ধ…
পাখিরও ভাষা আছে।
মায়ের কাছ থেকে যেটি সে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে।
তার প্রাণের স্পন্দন।
অদৃশ্য ঐশ্বরিক শক্তি।
তবে, আমি পাখির ভাষা বুঝি না।
কী আছে তার মধুর কণ্ঠে?
যে এক অজানা আকর্ষণে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাই।…
১. স্বপ্নের তীরে
সে রাতে ছিল নিঃসঙ্গ এক স্তব্ধতা,
ঝিঁঝি পোকার ক্ষীণ সুর,
চারিদিকে বিশাল এক শূন্যতা;
চাঁদের ফিকে আলো তখন
সময়ের বুকে ক্ষণিকের পদচিহ্ন।
আমার অপূর্ণতা
পরাজয়ের দীর্ঘ প্রতিচ্ছবি,
ভাল-মন্দের ক্লান্ত দোলাচলে বন্দি;
নামহীন এক …
বকুল নাকি রক্ত জবা!
তোমার ইচ্ছে তোমাদের ইচ্ছে।
শক্তিতে জবা, অবলায় বকুল।
জবায় গন্ধ নেই, অথচ মায়ের পায়ে গায়ে লেপ্টে থাকে।
বকুল ক্লান্ত গন্ধ বিলিয়ে, অথচ নারী হতে পারেনি
মা হতে পারেনি, আদিখ্যেতা ওই গন্ধে,
এরপর ছুড়ে …
মহাশূন্যের নীরবতা, প্রলয়ের পূর্বাভাস।
হৃদয়ের অতলে ঢেউ ক্লান্ত সময়ের ভারে নুয়ে পড়ে
অপেক্ষার দৃষ্টিতে রক্তাক্ত স্মৃতির ভার।
তারার আলোয় আঁকা অচেনা মায়াবী মুখ।
পূর্ণিমার চাঁদ খুঁজেছিল তোমার হাসির উজ্জ্বলতা,
আজ সেই আলো ঢেকে যায় সাগরের উত্তাল …