ও বসন্ত ; একটু দাড়াও

লেখক : তন্ময় দাস

ও বসন্ত তুমি না, প্রেমের চিঠি বাও?
একটি চিঠি আমার জন্য , তুমি চাও
ভ্রমরের কানে তুমি গুঞ্জর তুলি-
মালঞ্চ, মাধবিতে সখা প্রেম বুলি-
নিমের ডালে টুনটুনিরে একটু সুধাও।
ও বসন্ত তুমি না, প্রেমের চিঠি বাও?…

প্রতিক্রিয়া

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

যার ধনে ধনী-
হাতে হীরে দেখাই
পাতে দেখাই কাবাব,কস্তুরী
মাঠে তুলি সাধের মিনার,
শক্তির বাহাদুরিবলে
ঊর্ধ্বে অস্ত্র উৎক্ষেপণ করি, –
সে আজ উপেক্ষিত,কুপিত
ওজোনের স্তর ফুটো ক’রে
সে সূর্যালোককে করি নিয়ত উদ্ভ্রান্ত!

যার গর্বে গর্বী
অঙ্গের …

দ্বন্দ্ব

লেখক : পূর্বালী দে

ঘুমের ভিতর আর এক ঘুম
তন্দ্রা চেয়ে থাকে,
যোদ্ধা চোখে শুকনো পলি,
জলের প্রবাহ বাঁকে।

দীর্ঘ বিরোধ নিষ্পত্তি হোক
ক্ষয়ীভূত চারিপাশে,
জটিল ধাঁধার উত্তর জেনে
সহজিয়া পরিহাসে।

অন্ধ করা বিবেক হেরে,
বসে থাকে ধর্মান্ধ
একতারাও বেঁধেছে …

লিমেরিক

লেখক : দীপেন দে

বহুমূত্রে কাবু ধনীরাম বাবু
ভূ-নিম্ন উৎপাদন খায় না যে কভু
মিষ্ট-ফল-আখ
বলে থাক-থাক
ধূমপানে তাহার সংযম নিভু!


লেখক পরিচিতি : দীপেন দে
আমি দীপেন দে। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আনোয়ারা গ্রামে। জীবনের প্রথম দিকে …

মহাশয়

লেখক : মোঃ রহমত আলী

সহিলে মহাশয়,
না সহিলে কিছু নাহি শয়,
দুঃখ শয় তো সুখ নাহি শয়,
সুখ শহিলে দুঃখ নাহি রয়।
তবে সুখ সুযোগ বুঝে সরে যায়,
দুঃখ সে তো অতি আপন
সবারই সাথে সাথে কিছু তো রয়,…

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা

লেখক : আলী ইব্রাহিম

নক্ষত্রের আলোয় মাঠে মাঠে বীজ বুনে যাই।
তোমার ধ্যানে সন্ন্যাসী সড়কে সরল রোদ ওঠে।
ঝলমলে মাঠের বিস্তারে তুমি ছড়িয়ে আছ বাক্য হয়ে,
আমাদের প্রতিজ্ঞা ও উপলক্ষ হয়ে।

মৃত্যু বিনাশ নয়; হে মহানায়ক,
তোমার স্বভাবসৌরভ আর কথকপ্রিয়তায় …

ইন্টিম্যাসি

লেখক : শোয়েব শাহরিয়ার

এই যে; অসীম নিস্তব্ধতা— ভর সন্ধ্যেবেলায়
মনে পড়ে জানিনে ইন্টিম্যাসি ঠিক কদ্দূর তোমাদের
নিঃস্ব হয়ে পড়ি— পাঁজর খুলে নিয়েছে কে যেনো
বালকতা ক্রিয়া শুরু করে— হাবুডুবু খাই
কাল যে কথা, তুমি রেখে গেছো ঘরে
জপতে থাকি …

শিল্পের শহরে ভালোবাসা নেই

লেখক : দালান জাহান

জলদাসের জলকষ্টে
শ্বাস ভাঙে মাতা মহুরী
বিম্বিত সাহসে শহীদের মতো
পবিত্র হয় বসন্ত পাতা
চার রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্রু ছাড়ে
মোড়ল বাড়ির বিধবা কুকুর
কালের গর্ভে ঢুকে সন্ধ্যার ধ্বনি
নিজের সামনে উলঙ্গ করে নিজেরই উচ্চারণ
কোথাও কেউ …

অকপটে

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

সোজাকথা সোজাভাবে বলি
ব্যাঁকা যত বেঁকিয়ে-বেঁকিয়ে বলা
ভেদ্য সবই সিধে-তলোয়ারে,
শ্বেত-শ্যাঁকালু নিয়ে পথ চলা।

ঠ্যাঁট-ভণিতা-আদিখ্যেতায় এসে
ঘুলোই না শির ঘোলাট ধূলিঝড়ে
ঘূর্ণিজলের বৃত্তে নিত্য নয়,
ঝর্ণাধারায় শরীরখানি জোড়ে।

আজ পোলাও,কালকে বিরিয়ানি
কাঁচকদলীর পত্রে মজে না,
সাদা …

অপাংক্তেয়

লেখক : নিরাভরণ

অপাংক্তেয় শব্দগুচ্ছ আমার রাজ্যপাট।
তুমি দুর্ভিক্ষের মত। খরতার ত্রাসে-
শ্রান্ত বুকে দুঃসহ এক সন্ধ্যা নেমে আসে।
লজ্জা ঢাকার মুখোশ বেচে ছন্দপুরের হাট।

বলো, যুদ্ধ তেমন হলো কই? অস্ত্রাগার লুঠ!
রথের চাকা তলিয়ে গেছে, অপার শান্তিঘুম।
অমোঘ অভিশপ্ত …

একগুঁয়ে

লেখক : ডঃ অসীম কুমার নস্কর

সময় – তুমি বড়ই একগুঁয়ে,
কাউকেই তুমি করো না তোয়াক্কা।
কার কী ঘটল, কে মরল, কে বাঁচল –
তাতে তোমার কিছুই যায় আসে না!
তাতে নেই তোমার মাথা ব্যথা।
তুমি বড়ই পবিত্র স্বার্থপর।
সব …

অজানা মেয়ে

লেখক : মুমতাহিনা

কিছু লেখা হবে অল্প
তাতেই পূরণ হবে একটা জীবনের গল্প।।
একটি মেয়ে, নাম যার অজানা
কখনো বলে না সে পারিব না।।
বাবা যখন চলে গেল,
আড়াই বছর তার।।
তখন থেকে সে যে
নয়নের মনি মার।।
বাবা ছিল …

ইতিবৃত্ত

লেখক : আলী ইব্রাহিম

প্রজাপতির দহনে রক্ত ছুঁয়ে দিয়েছি। বীজের কাহিনি হয়েছি।
আর কোনো ভূমিকা নেই। উদ্ভিদের অন্তরে সুদীর্ঘ প্রণয়।
অথচ ঘাসফুল পরাজয়ের টিপ পরে আগুনের ইতিহাস হয়।
মেঘের কান্না থামে না। আঁধারে আমি টিকটিকির উল্লাস দেখি।
কাম ও কামনায়, …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।