ফুলকপি

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

দুধসাদা নির্মল
স্বাদে ভরপুর
ধোঁয়াওঠা ঝালে-ঝোলে
আহা কি মধুর!
কুয়াশা জড়ানো ভোর
সকালের হাটে
হিমের পরশ মাখা
ফুলকপি ওঠে।
বাড়ির গৃহিনী পেয়ে
ভরে করপুট
সমাদরে হেঁশেলের
পানে দেয় ছুট।
লাল নীল পিঙ্গল
ব্রকলির মেলা
সাথে সাথে …

বিয়ে

লেখক : খালেদ আহমেদ

বলতে হবে সত্য কথা, তাই তো বলতে হয়!

সত্যটা যদিও অবাস্তব, তবে মিথ্যা নয়।

আমি কহিলাম, প্রয়োজন আমার –

একা যে হয়েছি আমি,

সবাই বলে চাকরি করো

পেয়ে যাবে কুলনারী।

চাকরি আমি খুজবো কোথায়?

রয়েছি এখনও

আমার ফসল

লেখক : নারান মাহাত

শ্রাবণে ভাদরে আমি ভিজি কোথাও বন্যায়,
কোথাও বা অনাবৃষ্টিতে চোখের জল ফেলি।
নিরস্ত্র সৈনিকের ন্যায় লড়াই করে
যেটুকু ফসল ঘরে তুলি,
তা জলের দরে বেচে দিই।
বুঝি, সব বুঝি
এ যে ভারি অন্যায়।

হ্যাঁ জানি, তাও …

আমি এসব মানতে পারি না

লেখক : আলী ইব্রাহিম

এ পাড়ায় জোরাতালি দিয়ে দিয়ে সারাটা জীবন
তবলা আগলে রাখলো সুরুজ আলী,
আর এখন কোনো গানের অনুষ্ঠানে তার নাকি ডাক পরে না।
আমি সুরুজ আলীকে বাদ দিয়ে অন্য কারো তবলা বাজানোটা মানতে পারি না।

ও পাড়ায় …

বিষ

লেখক : কাশফিয়া নাহিয়ান

ফিরবোনা সেখানে যেখানে বিষের বাস
যেখানে প্রতিনিয়ত বন্ধ হয় আমার নিঃশ্বাস
যেখানকার বাতাস বিষাক্ত 
যেখানে সবাই এক অদ্ভুত নেশায় আসক্ত
যেখানে আমি একদম একা
যেখানে ভালো কিছুর সাথে হয়নি দেখা।
যেখানে কপটতার করা হয় অধ্যায়ন
যেখানে …

আমরা বিড়াল

লেখক : রাফিয়া নূর পূর্বিতা

তোমার রেশম গুটির সোনালী চুলে
অভেদ্য টানা টানা চোখ,
তোমার রক্তজবার নাক,আঙুলে
মাতাল প্রেমের ঝোঁক!

আমি উন্মত্ত মাতাল ,নেশা নেশা ঘোর
অমোঘ প্রেমের মায়ায় ,
প্রাণ পেয়ে যাই তোমার ছোঁয়ায়
কাব্য লিখি কথায় !

তুমি …

আবার তোমার শহরে

লেখক : সুমিত কুমার পতি

আবার তোমার শহরে ,
ছিলাম অনেক জীর্ণতা নিয়ে তোমার থেকে অনেক দূরে,
বছরখানেক পর আবার ফিরলাম তোমার শহরে।

বছরখানেক আগে কি যে হয়েছিলো?
এক দমকা হাওয়া সব শেষ করে দিয়েছিলো।
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল মনের …

কবিতার ভিতরে সুখ খুঁজে পাই

লেখক : মিটু সর্দার

কবিতা কেন লিখি?
কবিতা কি ঠাসা করে বুভুক্ষু পেট?
কবিতা লিখে কি উপার্জিত হয় অর্থ?
কবিতা লিখে কি বন্ধ করা যায় তকদিরে খোঁড়া গর্ত?

কবিতা উদর পূর্তি করে না তা সত্য, কিন্তু
কবিতা তৃষ্ণা মেটায়, মানুষ …

চাকরি করব

লেখক : সুমন সূত্রধর

চাকরি করব, চাকরি করব
হিড়িক উঠে ভাই,
চাকরি কী যে ভাতের খাবল-
মুখে পুরি তাই।

খেয়ে দেয়ে নেইকো কি কাজ?
মাথার মধ্যে ঘোরে,
ব্রেনের মধ্যে চাকরি ছাড়া–
আর কিছু কী চড়ে!

এই দুনিয়ায় চাকরি পাওয়া
ভাগ্যেরই

জোড়া শব্দের গল্প

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

নিভু আলো পিটপিট,
মেজাজখানা খিটখিট!
গাছে ওঠা তরতর,
কানে বাজে ফরফর!
নদীতটে ঝিরঝির,
চোখ কাঁপে তিরতির!
মেঘ ডাকে গুড়গুড়,
কাঁচ ভেঙে চুরচুর!
লোকের ভীড় গমগম,
ভয়েতে গা ছমছম!
বুক করে ধুকধুক,
বউটি লাল টুকটুক।
খুশির …

পেটুক

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

টাক মাথার পেটুক গগন
বেঢপ তাঁর ভুঁড়ি,
থালার খাবার সাবাড় করতে
লাগে এক তুড়ি।
রোদের আলোয় ঝলমলায়
তেল চুকচুকে টাক,
ভুঁড়ি দেখে মনে হবে
মধু ভরা চাক।
রুচি মুখে খেতে পারে
থালা ভরা ভাত,
আহার …

শীতের সকাল

লেখক : আমীর হামজা

শীতের সকাল!
কুয়াশাতে ঢাকা,
অন্ধকারে পথ হারিয়ে
চলছি আঁকাবাঁকা।

কনকনে এই শীতের দিনে
সবাই লেপের তলে,
গাছি ওঠে খেঁজুর গাছে
রস নামাবে বলে।

শীতের পিঠা! শীতের পিঠা!
গরম তেলে ভাজা,
বেশি করে খেয়ে খেয়ে
করি অনেক …

সুরবালা

লেখক : বিপ্লব চন্দ্র দত্ত

সুরেশবাবু মরে গেলো
একা সুরবালা,
খবর পেয়ে ছুটে এলো
সুরেশবাবুর শালা।
বিষয় সম্পদ দখল নিল
দুয়ারে দিল তালা,
দিদি পেলো বাড়ির পাশে
টিনের একখান চালা।
একটা করে দিল তাকে
গ্লাস-বাটি-থালা।
আরো দিল স্বামীর দেয়া
একজোড়া …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum