ডিপ্রেশানের ডায়েরি

লেখক: রুবাই শুভজিৎ ঘোষ

মানুষের মন মাঝে মাঝেই খারাপ থাকে। আমারও হয়। কখনও অতীত থেকে বেশ কিছু ঘটনা এসে আবার ঘেঁটে দেয় আমায়। আমি লিখতে বসি ডায়েরি।

ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্নবার ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলাম। বিভিন্নবার অবশ্য আমার বলা সাজে না, কারণ আমি কখনও কোন ডাক্তার দেখাই নি। তাই একই রোগ বারেবারে ফিরে এসেছে কিনা জানা নেই। এমনকি এটাকে ডিপ্রেশন বলে নাকি মন খারাপ, না হতাশা, নাকি অনেকের ভাষায় ‘আমার দুঃখবিলাস’ আমি জানি না। কিন্তু আমার জন্য সেগুলো ডিপ্রেশনই ছিল। আর এই বিষয়গুলো যে কোন কারোরই বলতে লজ্জা করে, আমারও তাই। এতদিন বলিওনি। আজ হঠাৎ ইচ্ছা হল, সাহস হল।

এই হতাশা বা ডিপ্রেশনের বেশিরভাগ কারণটাই ছিল “তোর দ্বারা এটা হবে না” এই কথাগুলো। বিশ্বাস করুন এই কথাগুলো খুব ভয়ঙ্কর। স্কুলে একটা শিক্ষক যদি একটা ছাত্রকে বলে এটা তার দ্বারা হবে না আর সঙ্গে গোটা ক্লাস হাসে, সেটা তার ওপর কি প্রভাব ফেলে শুধু সেই জানে। আমার সাথে প্রথম এটা ঘটে ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে। শুধুমাত্র একজন দিদিমনির কাছে না পড়ার কারণে আমার রোল নাম্বার ছিল সবার শেষে। যে কোন ছোট অপরাধেই ক্লাসে আমায় নিয়মিত মারত, এবং সবার সামনে এটাই বলত আমার দ্বারা কিছু হবে না। আমার খুব পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হত। ওই বয়সে মার খেতে কার ভালো লাগে! স্কুলে টিফিন বেলায় লুকিয়ে কাঁদতাম।

এরপর আসি পারিবারিক ব্যাপারে, যেটা আমায় সবথেকে বেশি ডিপ্রেসড করে রাখত। বাড়িতে একজন বিশেষ ব্যক্তি ছিল, অতি নিকট আত্মীয়, যৌথ পরিবারের মাথা। সে ক্রমাগত জিজ্ঞেস করে যেত কিকরে আমার দ্বারা কিছু সম্ভব। আদৌ আমার দ্বারা কিছু হবে কিনা। আমি জবাব দিয়ে যেতাম নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু ক্রমাগত সে বলে যেত কিছু হবে না। শুধু বলাই না, কখনও বিনা কারণে বাবা মা’র অলক্ষ্যে মারধরও করত। আমি ফুঁপিয়ে কাঁদতাম। তাছাড়াও পারিবারিক আরও কারণ ছিল হতাশায় ডুবে যাবার। সেগুলো আরও মারাত্মক এবং এখানে লিখতে পারব না। সেই সাহস এখনও করে উঠতে পারিনি। অনেক বড় বয়স অবধিই সেই কারণগুলো আমায় তাড়া করে বেরিয়েছে। হয়ত অন্য কোন সময় সেগুলো লিখব। কিন্তু এটা বলতে পারি এক্ষেত্রে বাবা মায়ের বিশেষ ভূমিকা থাকে। বাবা মাকে বন্ধুর মত হতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। মা সবসময় আমায় বলত আমি পারবই, আমি কিছু করবই। নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস তৈরি করিয়েছিল মা। আমি যখন বলতাম, আমি বিজ্ঞানী হব, মা বলত “আচ্ছা হবি, এখন খেয়ে নে”। আমি মাকে বলতাম, “আমি কবি হব”। মা কোলে বসিয়ে আমার জন্য ছড়া রচনা করে দিত, সেই প্রথম আমার কবিতার হাতেখড়ি। আমার আঁকার ইচ্ছা হলে আমায় কোলে বসিয়ে ছবি আঁকাত। পরবর্তীকালেও তাই হয়েছে। যে কোন সমস্যা নিয়ে চলে আসতাম মায়ের কাছে। মন খুলে কথা বলতাম। আমার ক্ষেত্রে মায়ের সাথে কথা বলা ছিল এক বড় ওষুধ। মা আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু। ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে দিতে রাত হয়ে যেত। মায়ের শরীর খারাপ লাগলেও মা আমার কথা শুনতে থাকে। আমার কথা না শুনে কখনও শুতে যায় না। আমার অনেক ডিপ্রেসনের শেষ হয় ওখানেই। আসলে মনের না বলা কথাগুলো, দুঃখগুলো জমে জমেই পরবর্তীকালে আরও ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। সেটার জন্য দরকার একজন মানুষের। আমার ক্ষেত্রে মা সেই ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু যত বয়স বাড়ে, মায়ের সাথে বন্ধুত্ব একটু হলেও কমে। কিন্তু পরিস্থিতির চাপ কমে না। কমে না সমাজে থাকা সেই সব মানুষগুলো যারা বলতে থাকে, “তোর দ্বারা কিছু হবে না”। আবার উল্টোদিকে এমন কিছু মানুষও আছে, যাদের জন্য হেরে যাওয়া হয়না। ক্লাস ইলেভেনে আমার একজন কেমিস্ট্রির শিক্ষক ছিল, যাকে বলে ফ্রেন্ড-ফিলোশাফার-গাইড। আমাকে আমার থেকেও বেশি বুঝত। একদিন ডেকে পাঠাল বাবা-মাকে। বাবা ব্যস্ত ছিল, মা এল। জিজ্ঞেস করল নিশ্চয়ই পড়াশোনা করছি না। উল্টে স্যার জিজ্ঞেস করল আমার মধ্যে কোন পরিবর্তন বাড়িতে খেয়াল করেছে কিনা। স্যারের সেইদিনের কথাগুলো আজও মনে আছে, “আপনার ছেলের মত ছেলে আমি কম দেখেছি। কিন্তু ও কিছু সমস্যায় ভুগছে। আপনি জানেন কি হয়েছে?”
মা জানত না। এমনকি আমিও জানতাম না। কিন্তু স্যারের অনেক প্রশ্ন উত্তর পেরিয়ে আমরা সকলেই জানতে পারলাম আমার পছন্দের সাবজেক্ট ফিজিক্স হলেও পরবর্তীকালে আমি তা নিয়ে এগোতে পারব না, আমার দ্বারা তা হবেনা। কেন? না আমি যার কাছে ফিজিক্স পড়তাম সে খুব সুন্দরভাবে এটা আমায় বুঝিয়েছিল। আর এটা ভেবে ভেবেই আমার মধ্যে এক হতাশার জন্ম হয়েছিল। তার বোঝানোর কারণ? তার কাছে জয়েন্টের জন্য আলাদা যে ব্যাচ হয় তাতে আমি ভর্তি হইনি। তারপর সোমনাথ স্যার (আমার কেমিস্ট্রির শিক্ষক) আমায় পড়ানোর শেষে রোজ কিছুটা করে সময় দিত। যে আত্মবিশ্বাস ভেঙে গেছিল, সেটা গড়ে তুলতে সোমনাথ স্যারের অবদান অনেক। আমি সুস্থ হয়েছিলাম। বাবা মায়ের পরেই শিক্ষকের এইরকম ভূমিকাই একজন ছাত্রের জীবন সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারে। শিক্ষককেও প্রয়োজনে বন্ধুর ভূমিকা পালন করতে হয়।

কিন্তু এমন কিছু কথাও থাকে যা শিক্ষকদের বলা যায়না। এক্ষেত্রে দরকার বন্ধু। সঠিক বন্ধু। কারণ ভুল বন্ধু একজন শত্রুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। তারা জীবনে থাকলে নিজের অজান্তেই জীবন বিষ হয়ে ওঠে। আমার অনেক সময়ে অনেক বন্ধু ছিল। আমি তাদের নিজের খুব কাছের মানলেও তারা আসলেই ছিল না। অনেক বন্ধুরূপী মানুষেরা অনেক ভাবেই ক্ষতি করেছে। কেউ আর্থিকভাবে, কেউ শারীরিকভাবেই ( একটা উদাহরণ আমার অপারেশনের পর যখন আমি হসপিটালে ভর্তি আমার এক বন্ধু এসে নিয়মিত জোকস শোনাত, হাসিতে আমার সেলাইয়ে টান ধরত। ডাক্তারেরা বলে যেত ঐ বন্ধুর সংসর্গ ত্যাগ করতে)। তবে যে ক্ষতি আমি কোনোদিন ভুলতে পারিনি, সেটার কথা বলি। আমার এক প্রিয় বন্ধু ছিল। আমি তাকে প্রিয় বলেই ভাবতাম। তার কাছে আমার দুটো কবিতার খাতা ছিল। প্রেমের কবিতার দুটো খাতা বাবা মায়ের ভয়ে ওর বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম। জয়েন্টের রেজাল্ট ভালো হওয়ার পর যখন ওর বাড়ি থেকে খাতাদুটো আনতে যাই, ও বলে ও বেচে দিয়েছে। সেই ক্ষতি আমি কোনোদিনও ভুলতে পারিনা। এইরকম বন্ধু ত্যাগ করা খুব দরকার বলে আমি মনে করি। আবার উল্টোদিকে ভালো বন্ধুও আছে। আমার দুজন বান্ধবী আছে যাদের কাছে ঘ্যানঘ্যান করি খুব। একজন একেবারে ছেলেবেলার বান্ধবী আরেকজন কলেজ জীবনের। প্রথমজন বিরক্ত হলেও আমার কথা শোনে। শুনে গালাগালিও দেয়। কিছু কিছু সমস্যা গাল খেয়ে মনে হয় আসলে কোন সমস্যাই না, সত্যিই তো সমস্যাটা খুব ছোট। আর ভুলেও যাই তখন। হতাশার কিছু জায়গায় এরকমও দরকার। আরেকজন মনোযোগ সহকারে শোনে। তারপর এমন এমন প্ল্যান আমরা বানাই যে হতাশাই গায়েব হয়ে যায়। আমাদের না হওয়া প্ল্যানগুলো এখন ভাবলে হেসে উঠি। কিন্তু এরম বন্ধু সত্যিই খুব দরকার।

আবার বন্ধুত্বের মত সঠিক সম্পর্কেরও খুব দরকার, ঠিক যেমন দরকার বিষাক্ত সম্পর্ক সরিয়ে ফেলা। যে সম্পর্কে সবসময় নিজেকে নিয়ে সন্দেহ জাগে, সেটা ত্যাগ করাই যথাযথ। একটা একটা সম্পর্ক ছিল, যখন মনে হত আমার দ্বারা কিছু হচ্ছে না। আমি পারছি না। আমার সাথে সারাক্ষণ অন্য কারও তুলনা করলে হীনমন্যতা আসবেই। আর হীনমন্যতা থেকে জন্ম নেয় ডিপ্রেশনের। একসময় ডিপ্রেশন থেকে অ্যালকোহলের স্বাদ পাওয়া। সেই বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে শুরু হয় অ্যালকোহল সেবন। যতদিন সেই সম্পর্কে ছিলাম আমার মনে হত আমি অপদার্থ। কখনও কখনও জীবনের অর্থ নিয়েও নিজের কাছে প্রশ্ন তুলেছিলাম। আবার সঠিক সম্পর্ক এসে তা থেকে মুক্তিও পাই। সঠিক মানুষ জীবনে খুব প্রয়োজন। সেই সঠিক মানুষ আজ আমার জীবনসঙ্গিনী। তার ভূমিকা জীবনে মায়ের পরেই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। জীবনসঙ্গিনীকে খুব ভালো শ্রোতা হতে হয়। আমি ভাগ্যবান সেরকম একজনকে পেয়েছি। সে আমার সব কথা শোনে। কখনো আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিই যেগুলো হয়ত রিস্কি, ও যুক্তি দিয়ে বোঝায় কোনটা করা দরকার। কিন্তু আমার দ্বারা হবেনা, এটা ভুল এটা কেন করলাম সেটা বলে না। আর সেটাই খুব দরকার।

পেশাগত কারণে চাকরির শুরুর দিকে বেশ কিছুটা সময় ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে গেছিলাম। বিস্তারিত এখানে লিখতে পারব না। একটা সময় ডিপ্রেশন থেকে শরীর প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যায়। ডাক্তার দেখাই। দ্বিতীয়বার যখন ভিজিট করি, সে আমায় বুঝিয়ে বলেছিল আমার শারীরিক রোগ নেই। আমি মানসিক সমস্যায় ভুগছি। বাবা-মা বিশ্বাস করেনি। করা স্বাভাবিকও নয়। কিন্তু পরে বুঝেছিলাম সে ঠিক। তারপর আমি অনেকটা সুস্থও হয়ে উঠি।

সবশেষে আসি প্যাশনের কথায়। সাহিত্য আর লেখালিখি নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কলেজ জীবনে তৈরি করা নিজেদের কবিতার সংগঠন যখন কলেজ শেষে ভেঙে যায়, আমিও ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু হার মানিনি। সাহিত্যসাধনা করে গেছি। একটা সময় এমন হয় যে সাহিত্যতেই মনোনিবেশ করব ঠিক করে নিই। কিন্তু বাস্তব জগত একেবারেই আলাদা। যখন প্রকাশকেরা একে একে ফিরিয়ে দেয়। মুখের ওপর বড় প্রকাশনা সংস্থা বলে দেয় আমার দ্বারা হবেনা। মুখের ওপর কোন প্রকাশক বলেই দেয় তারা আমার বই ছাপবেনা কারণ আমি বড় লেখক নই। আমি ভেঙে পড়েছিলাম খুব। হতাশা গ্রাস করছিল আমায়। তখনও দরকার ছিল এক বন্ধুর, যে এই স্বপ্নগুলো বুঝবে। আমার সেই বন্ধু অয়ন। আমরা ছোট থেকেই একসাথে স্বপ্ন দেখতাম, রোজ স্বপ্ন ভাঙত, আবার দেখতাম, রাত জেগে আড্ডা দিতাম। দিনের শেষে অনেক ভালো লাগা নিয়ে ঘরে ফিরতাম। সেই সুদূরে একসাথে প্রকাশকের বাড়ি যাওয়া থেকে শুরু করে রাত জেগে ব্যাটম্যান বা নোলানের সিনেমা নিয়ে মোটিভেশানাল কথাগুলো খুব কাজ করত। আমরা দুজন দুজনকে বলতাম, “আমি তোর ব্যাটম্যান, তুই আমার আলফ্রেড”। আমরা জানতাম কিছু একটা করতেই হবে আমাদের। তারপর আমাদের ইচ্ছার সাথে যোগ দেয় আরেকজন, সম্বিতদা। আমার জীবনে একমাত্র ব্যক্তি যে অনায়াসে আমায় বলতে পারে “তোর থেকে পাড়ার নেংটিপড়া বামুন ভালো” আবার ভাইয়ের মত ভালোওবাসতে পারে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তারপর জন্ম নিল সববাংলায়। এখন দিনের শেষে নিয়মিত পাঠক সংখ্যা যখন দেখি, তখন আগের অনেক হতাশা ভুলে যাই, ভুলে যাই প্রকাশকের বাড়ি থেকে খালি হাতে ফেরা দিনগুলো।

আমি মনে করি বন্ধুর খুব দরকার জীবনে। তা নাহলে অনেক ক্ষেত্রেই হতাশা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে তা থেকে নিস্তার পাওয়া মুশকিল। তবে অনেক কথাই বন্ধুর সাথেও শেয়ার করা যায়না। কিছু পারিবারিক কথা, কিছু শারীরিক অসুস্থতার কথা, কিছু অন্যান্য একান্তই ব্যক্তিগত কথা। আর যে কথা কাউকেই বলা যায়না, তার জন্য ডায়েরি। মনকে হালকা করতে ডায়েরির ভূমিকা অনেক। এই যেমন এখন লিখছি। আগেও লিখেছি, এর থেকেও বিস্তারিত ভাবে লিখেছি, আবার কেউ পড়ে ফেলার ভয়ে ছিঁড়েও ফেলেছি।

কিন্তু এত কিছু বলার পরেও কিছু বাকি রয়ে যায়। মন ছটফট করে। কিছু এমন কথা, এমন বিষয় যা কারো সাথে শেয়ার করা যায় না, যা ডায়েরিতেও লেখা যায় না। এটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে পারব না। কিন্তু এরমও হয়। তখন আমি চলে আসি সকলের আড়ালে। আমার নিজস্ব কিছু জায়গা আছে। ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির বাগানের এক কোনায় আসতাম। কলেজের সময় আসতাম লিলুয়া ঝিলে। আরও জায়গা আছে। সব বলা যায়না, সব বলতেও নেই। সেইসব জায়গাগুলোয় আমি কথা বলি নিজের সাথেই। দিনের শেষে নিজের সমস্যা তো নিজেকেই সমাধান করতে হয় কিনা! যদি নিজের সাথে কথা বলেও সমস্যার সমাধান করতে না পারি, চলে আসি আমার ঈশ্বরের কাছে। আমরা কথা বলি গোপনে, সকলের আড়ালে। ছোটবেলা থেকেই করতাম। আমরা বন্ধুর মত মিশি। আমার সব কথা আমার ঈশ্বর শোনে, একেবারে নির্বাক শ্রোতা হয়ে। আর এই জন্যই মনে হয় সবার শেষে আমি তাঁর কাছে আসি। যখন কোন পথ খোলা থাকে না, তখন তাঁর কাছে আসি। আমার কাছে এই কারণেই ঈশ্বরের খুব প্রয়োজন। মন হালকা হয়। আমি ভালো থাকি।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।