জীবনের জোড়াতালি

লেখক : শারমিন শিলা রিয়া

রোদের আলোয় নারকেল গাছের উপর
বসে থাকা কাকের ঊজ্জ্বলতা যেন দ্বিগুণ দেখায়!!
পাশের বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ের
কাঁচা মেহেদিপাতা বাটার সুবাস যেন ছড়ায়ে পড়ে!
দেনা টাকার ঋণ শোধ করতে না পেরে
কাজলীর মা গ্রাম ছেড়ে …

বালকবেলার পুজোর তিন কাহন

লেখক : রতন চক্রবর্তী

এক

ঠাকুর দেবতারা যেখানে থাকার থাকেন। ছোটবেলা থেকে আমাদের বাড়িতে তাদের থাকার মত বিশেষ কোন বন্দোবস্ত দেখিনি। দাদু-ঠাকুমার ভরা সংসার। দু’টো মাঝারি মাপের ঘর আর দু’টো ঘরের মাঝে বিভাজন সরিয়ে নিয়ে টানা একটা হলঘর। জনা ষোল …

ভূত দেখা

লেখক : সঞ্জিত রায়

ছোট বেলায় গিয়েছিলাম আমার মামার বাড়ি,
সেথায় আমি দেখেছিলাম বিশাল হানাবাড়ি।
লোক মুখে শোনা সেথায় অনেক ভূতের বাস,
সকাল বেলায় হট্টগোলে করত প্রাতঃরাশ।
আমরা ক’জন প্ল্যান করিনু যাব দিনের বেলা,
দেখব সেথায় কেমন ক’রে ভূতে করে

ফিনিক্স

লেখক : মধুমিতা ঘোষ

গাড়িতে হর্ণ দেওয়া মাত্র মুন্যা নিচে নেমে এল। দেখলাম হ্যাণ্ডব্যাগ ছাড়াও আর একটা ছোট ব্যাগ নিয়েছে। সেটা আমিও নিয়েছি। বলা তো যায় না, আজ যদি ফিরতে না পারি! মুন্যা আমার বড়মামার মেয়ে। লেকটাউনে থাকে। আমি থাকি …

ঘর

লেখক : ফালতু লোক

মেয়েটি বলল, তুমি ঘর বাঁধতে পারো?
বাবুই না ঘুঘু, দোলাচলে তখন আমি
বাবুইয়ের বাসা! অতিরিক্ত সুন্দর
মা আলপনা দিত, নিখুঁত সীমানায় বাঁধা
গুঁড়ো চালের গন্ধে বিশাখার উম
অথচ আমার হাতে বিস্তর প্রতিবন্ধ
চুম্বনের ঢেউয়েও কাঁটা ছড়ায়…

আয়নার চোখে দেখি আমায়

লেখক : স্বর্ণালী সরদার দাস

আকাশ বাতাস জল মাটি আর পৃথিবীর ধূলিকণা
চেনো কি আমায়? তোমাদের কাছে হয়ত আবর্জনা
তাই দূরে থাকি, সরে থাকি ভয়ে, সইতে পারিনা ঘৃণা
শুধু আরশিতে যখন তাকাই বেজে ওঠে মনোবীণা

এই আলো এই জীবনের কাছে …

উপলব্ধি

লেখক : ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রত্যাশার গভীরে হাত রেখে
ফেলে এসেছি একটি আশ্চর্য সকাল

নদীর ঢেউ ফিরে ফিরে খুঁজেছে
দু’-চারটে আয়তক্ষেত্র এবং একটি তীর

মধ্য বলাকা আজ আর শ্বেত নয়
তার পাখায় এবং পালকে
রাত্রির ধূসর দাগ

তবু ঐ তীর …

ঈশ্বরীয় কণা

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

আলোর মতো উড়ে বেড়ায়
ঈশ্বরীয় কণা
বুকের শূন্যে ঠোকা খেয়ে
মেলে স্বচ্ছ ডানা
যেই ফুলকে আঁকড়ে ধরে
চিকন ডালে-ডালে
সেই ফুলকে দিব্য জেনো
স্বর্ণ চাঁপা বলে।
চোখের থেকে ফিরে গিয়ে
আকাশ মাঝে জেনো
যেথায় উজল জ্বলে-…

শিকড়ের টানে

লেখক : অর্পিতা চক্রবর্তী

শিকড়ের টানে – প্রথম পর্ব

(শেষ পর্ব)

মায়ের পুজো শুরু হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ষষ্ঠী থেকে দশমী এসে গেল। অনেক বছর পর গ্রামের মেয়ে-বৌ থেকে শুরু করে প্রত্যেকে আনন্দে মেতে উঠেছে। এখন সকলের একটাই প্রার্থনা – …

নো ম্যান’স ল্যাণ্ড

লেখক : শম্পা সাহা

নো ম্যান’স ল্যাণ্ড – প্রথম পর্ব

(অন্তিম পর্ব)

বসিরহাট স্টেশনে মাকে ট্রেনে তুলে দিতে এসেছিল শুভ। ট্রেন আসছে বিশ মিনিট বিলম্বে। প্ল্যাটফর্মের এক কোণে, ডুমুর গাছটার ছায়ায় বসে আছে দু’জন ভবঘুরে। তাদের একজন তারই সমবয়সী কিশোর। …

শিকড়ের টানে

লেখক : অর্পিতা চক্রবর্তী

(প্রথম পর্ব)

“মনিমা, ও মনিমা, আমাকে এবার পুজোতে একটা নতুন জামা কিনে দেবে গো? একটা জামা দাও না। আমার তো মাত্র দুটোই ভালো জামা তারমধ্যে একটা আবার ছোট হয়ে গেছে।”
“তা বলি আমার মাথাটা না খেয়ে …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।