আমি ভুলিনি

লেখক : মিশাল

আমি ভুলিনি,
আমি ভুলিনি, একাত্তরের নির্মম নির্যাতন,
আমি ভুলিনি,

আমি ভুলিনি, সেই পলাশীর প্রান্তরে হারানোর ব্যথা,
তুমি হয়তো জানো না,

তুমি হয়তো জানো না বন্ধু,
হারানোর বেদনা,
জানে পলাশীর প্রান্তর,

তুমি হয়তো জানো না,
যেখানে জাফরগঞ্জের কয়েদখানায় নিশিতে নিভে গেছে বাংলার স্বাধীনতার প্রহর,
তুমি হয়তো জানো না, যেভাবে নিশিতে নিভে গেছে জাফরগঞ্জে সিরাজের স্বর্ণোজ্জ্বল প্রহর,

আমি তোমাকে জানাতে এসেছি,
কারণ আমি তা ভুলিনি,

তোমার জানতে হবে,
কারণ তোমরা বীর,
তুমি সাহসী,
তুমি শান্ত মনের এক গভীর যোদ্ধা,

তুমি যে সিরাজেরই এক প্রতীক!

সিরাজ তো চাইনি বাংলার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক,
বাংলার স্বাধীনতা চিরতরে বিলিয়ে যাক।

আমরা কি তার প্রতীক নই?

হ্যাঁ, আমরা তো তারই প্রতীক,
বাংলার বুকে যতবার এসেছে ঝড়, ততবারই করেছি মোরা দমন,

সিরাজ ছিলেন সাহসী যুবক,
আমরাও তো সাহসী যুবক,
সে বাংলার স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন,
আমরা কি দিইনি তবে?

হ্যাঁ, দিয়েছি তো,

আমাদের অধিকার আদায়ে দিয়েছে রক্ত,
দিয়েছি একাত্তরে স্বাধীনতার জন্য রক্ত,
দিয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে রক্ত,
দিয়েছি জুলাই আন্দোলনে রক্ত,

তুমি কি তোমার ভাইয়ের রক্ত দেবার কথা ভুলে গেছ?

যেও না তবে ভুলে, এ ইতিহাস রেখ মনে,

বলো আমি ভুলিনি,
আমি ভুলিনি,
আমি ভুলিনি,


লেখক পরিচিতি : মিশাল
মিশাল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।