লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ
চাষাভুষা
আমরা বাবু চাষাভুষা
মাঠ আমাদের মিতা
কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা টুকু পাই
তাই গিলি, শাকপাতা- – –
বিদ্যালয়ের ধার ধারি না
মাড়াই না তার ছায়া
আল আমাদের ঝুল-বারান্দা
জমিন খানি দাওয়া।
খেতখামারের জল ঘুলিয়ে
মাছ টুকু পাই, গেঁড়ি-
কিংবা, সারা দিনটি উপোষ
উপুড় হাঁড়িকুড়ি!
ফাঁকা মাঠের ফোকট্ হাওয়ায়
শরীর খানি জুড়াই
ফ্যানের হাওয়া জানি না-
পা সেদিকে না বাড়াই।
কোথায় গাড়ি, কোথায় জুড়ি
রেস্তোরাঁ, পার্ক, লঙ্গর
কোথায় আপিস, শিক্ষানবিস
কে রাখে তার খবর?
আমরা বাবু কাদা ঘাঁটি
কর্ম- মাটিচষা
দূর অজানা আদুল গাঁয়ের
নেহাৎ চাষাভুষা।
নান্দনিক
যখন দুটি শালিখ
চিকন্-চিকন্ সবুজ ঘাসে
থমক্-থমক্ হাঁটে,
এক পলকে সটান্ এসে
হঠাৎ উঠোন জুড়ে-
তখন যেন কাহার কথা
ভীষন মনে পড়ে।
যখন বেলিফুল
বৃষ্টিস্নাত কোমল ডালে
হাওয়ায় মাথা নাড়ে-
তখন যেন কাহার কথা
ভীষন মনে পড়ে।
পৌষালি রাজপথ
হঠাৎ যখন দেখি- ছোট
নীলরঙ্গা এক গাড়ি
ছবির মতো ছুটে চলে
পিচের রাস্তা মেড়ে-
তখন যেন কাহার কথা
ভীষন মনে পড়ে।
ভীষন মনে পড়ে
যখন দেখি চোখের পাশে
সকল নৈসর্গিক- – –
অয়ি, আসলে নিজেই তুমি
চরম নান্দনিক।
লেখক পরিচিতি : প্রভঞ্জন ঘোষ
সাহিত্য অনুরাগী
সুন্দর