লেখক : রবীন বসু
সারারাত পুড়ে মরি, দগ্ধ হাড়ে ছাই
আমার আত্মার কোন কান্নাকাটি নাই;
লালচোখে চেয়ে আছে বিভৎস চেহারা
যেন আমারই দেহ নষ্ট পচা আর
কামজ সম্ভোগ নিয়ে উচাটন করে
বন্ধুর বিকৃত ইচ্ছা, বান্ধবীর সম্ভোগসুখ
ঋণের শর্তের কাছে কৃষকের হাড়ের কঙ্কাল
আমাদের অর্থনীতি, আমাদের সততা
সাবলীল মুতে দেয় পেতে রাখা মুখে। কার?
লবনাক্ত ধারাস্রোত গণতন্ত্র দেখে
রক্ষিতার তলপেটে মুখ রাখে রাজনীতি
অধ্যাপক মাকড়সা হয়ে জাল বোনে
লালা যেন সম্মোহন, ছাত্রীর উরুতে হাত
জিভেতে নাভির স্বাদ অলৌকিক শ্রীকৃষ্ণকীর্তন!
আহ মরি মরি বাপ, পুড়েও পোড়ে না দেহ
অতৃপ্ত আত্মার কাছে তাইতো সমর্পণ;
পুড়ে শুদ্ধ, পোড়ে জ্ঞান গরিমা অনেক
রেখেঢেকে কথা বলা, চাতুর্যের ভান
সবটাই কেরামতি যে, তাওতো বোঝা ভালো
শিরোধার্য আত্মকথা আহাম্মুকী চাল
আমাদের ঘিরে থাকে দগ্ধহাতে পাপ!
লেখক পরিচিতি : রবীন বসু
রবীন বসু। জন্ম ১৯৫৮। কলেজ জীবন থেকে লেখালেখি শুরু। কবিতার বই ৭, গল্পগ্রন্থ ৩, উপন্যাস ১। পুরস্কার মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি পুরস্কার সহ ১০টি।