শিখা চক্রবর্তী
আমাদের দেশে লেখা
দুই মহা কাব্য কে
ধর্ম গ্রন্থ ভাবে
এখনো অনেক লোকে
এদেশের কত লোক ই
এর সিরিয়াল দেখে
সাময়িক সন্তোষ
তারপরই ভোলে তাকে
এই দুটি বই নিয়ে
বানানো যে সিরিয়াল
খ্যাতি তার কতখানি
রেখেছ কি সে খেয়াল
গল্পটা ভালো বলে
অনেকেই পড়ে তাকে
তারপর ঝেড়ে ঝুড়ে
তাকেতে গুছিয়ে রাখে
গল্প যে আছে এতে
সন্দেহ নেই তাতে
তবু দেখি একে নিয়ে
কত লোক ই থাকে মেতে
প্রশ্নটা এখানেই
তাই জিজ্ঞেস করা
সবটাই গাঁজা হলে
তাকে নিয়ে কেন পড়া
বিদেশীরা কেন পড়ে
কেন হয় মাটি খোঁড়া
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা
করে কেন নাড়াচাড়া
কাব্যেতে লেখা স্থানে
আজও কেন যায় লোকে
ওই সব স্থান গুলো
কেন আজও পড়ে চোখে
অযোধ্যা আজও আছে
সরযূ নদীর পাড়ে
মথুরা বৃন্দাবন
যমুনার দুই ধারে
অযোধ্যা লখনৌ
দেরাদুন যেতে পরে
দুটোই এক লাইন এ
একবার দেখো ঘুরে
অযোধ্যা রাম নামে
সকলেরই সেটা জানা
কোত্থেকে এলো তবে
লখনৌ নাম খানা
লখনৌ লক্ষ্মণ
লখখনা বতী থেকে
শত্রুঘ্নের রাজধানী
জেনো মথুরাকে
চিত্রকুট টা দেখে
পমপার ধারে ঘুরে
লছমন ঝোলা গিয়ে
এসো এ রামেশ্বর এ
রামেশ্বরম স্থান
অনেকের ই ঘোরা আছে
কেন বলো এতে আজ ও
রাম নাম জোড়া আছে
রাবণের লঙ্কা তো
এর বেশ কাছাকাছি
নাসা থেকে তোলা ছবি
রাম সেতু দেখেছ কি
রাবণকে মনে করে
শ্রীলঙ্কা যেতে পারো
বেশ কিছু চিহ্ন তো
সেখানেও আছে আরো
আরো আছে বহু নাম
তবে আজ থাক সেটা
মহাভারতে কী আছে
এইবারে দেখি সেটা
মথুরা বৃন্দাবন
যমুনার দুই পাড়ে
স্বচক্ষে দেখে নিও
সন্দেহ রেখে ঘরে
বিহার, মগধ ছিল
বেনারস ছিল কাশী
আরো চল উত্তরে
সেখানে কী দেখে আসি
দিল্লি ও মীরাটের মাঝে
যে যমুনা নদী
ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল ওখানেই
আগে বুঝি
হস্তিনাপুর আছেআজও
মীরাটের পাশে
কুরুক্ষেত্র তুমি যেতে পারো
রেলে, বাসে
ব্যাসগুহা রয়েছে তো
উত্তরাখণ্ডেতে
ভীম পুল, ভীমশীলা
ভীমগোড়া সব এতে
হিড়িম্বা কালী
তার মন্দির কুলু যেতে
দ্বারকা দেখতে হলে
চলে যাও গুজরাতে
চার পাঁচ হাজারের পুরনো
প্রাচীন স্থান
সব স্ব স্ব মহিমায়
আজও যে বিরাজমান
গল্পই যদি হবে
নাম এলো কোত্থেকে
বই এ বলা নাম ও স্থান
মিল খায় কার থেকে
যারা কিছু মানেই না
তারা থাক একধারে
যারা আছে সন্দেহে
লেখা টা তাদেরই তরে
জন্ম,বিবাহ কি বা
পূজাদি অনুষ্ঠানে
গোত্র বলতে হয়
মুনি কত সেই নামে
বাবা,মা, বা দাদু, দিদা,তোমার
নামের পাশে
গোত্রের মাঝে আজও
এতো মুনি কেন বসে
বশিষ্ঠ, কাশ্যপ
কিম্বা ভরদ্বাজ
আরো কতো ঋষি, মুনি
করেন কেন বিরাজ
অন্যের সবটাতে
আমরা সেলাম ঠুকি
নিজের টা দেখে কেন
ভুরু কুঁচকিয়ে রাখি?
রাম নাম হরিনাম
কেন লোকে আজ ও করে?
ভালো করে ভেবে নিয়ে
উত্তর দিও পরে।।
লেখকের কথা: শিখা চক্রবর্তী
হাউস ওয়াইফ- নানা ধরনের লেখা পড়তে এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে দেখতে ভালো লাগে। প্রিয় বই তো অনেক। তার মধ্যে মহাভারত একনম্বরে। এছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ, কালকূট খুবই পছন্দের। নির্মল বুদ্ধি যুক্ত হাস্যরস খুব আকর্ষক লাগে তাই সুকুমার রায় খুব পছন্দের। উপেন্দ্রকিশোর এবং সত্যজিৎ রায় তো আছেনই। সত্যি বলতে আরো কত নাম যে ভালো লাগার লিস্টে আছে তা বলে শেষকরা যাবে না। কবিতার চেয়ে ছড়া একটু বেশিই টানে এবং তাই মাঝে মাঝে একটু চেষ্টা করা হয় আর কি।